নারীর মন নাকি দেবতারাই বুঝেন না, তা মানুষ তো কোন ছার! সেই আদম-ইভের কাল থেকে মেয়েদের ওপর পুরুষদের এহেন এক বোকা বোকা আস্ফালন চলে আসছে ।
পাশের বেঞ্চের প্রিয় বান্ধবী, কলেজের প্রেমিকা, বাড়িতে বউ, অফিসের পরকীয়া রমণী নাকি আদতে কী পেলে যে খুশি হবে, তা মানুষ হয়ে জন্মেও পুরুষ বুঝে উঠতে পারে না ।
এমনই রহস্যময় এই নারীকুল বলে দাবি পুরুষদেরই ।
অথচ প্রিয় পুরুষকে আদরে-সোহাগে-অশান্তিতে নিজের চাহিদাটুকু প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নারী বহুবার বোঝাবার চেষ্টা করে।
কিন্তু মোটা মাথায় যাঁদের কিছুই ঢোকে না, তাদের (নারীরা এক্ষেত্রে পুরুষ পড়তেই পারেন) খানিক খুঁচিয়েই বলতে হয় আর কী- নারীর মন কী চায় !
প্রেয়সীর মান ভাঙাতে ব্যাগভর্তি শপিং প্রয়োজন, নাকি চাই হাতে-হাত ছুঁয়ে নীরব কথোপকথন, এই সবটাই ঠিক ঠিক সময়ে বুঝতে গেলে চাই প্রিয় নারীর চরিত্র বিশ্লেষণ ।
দিনের শেষে নিজেকে নিয়ে খানিক ভাবার আগেই ঘুমের জগতে পাড়ি দেওয়ার এই গতিময় জীবন, তখন রহস্যময়ী (?) নারীটির চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিয়ে অত মাথাব্যথার সময় কোথায়?
কিন্তু ভাইটি, তেমনটা ঠিক ঠিক না হলেই যে সংসারে-এসএমএসে-ফেসবুকে ঘোর অশান্তি ।
শান্তি বজায় রাখতে এই রইল কিছু টিপস । মেয়েরা যে আসলে কী চায়, তার গোড়ার কয়েকটি কথা সোনামুখ করে মাথায় রাখলেই দেখবেন আপনার সম্পর্ক এবং তাকে ঘিরে আপনার মন অলওয়েজ গার্ডেন গার্ডেন ।
নারীকে কবি যেমন প্রকৃতির সঙ্গে তুলনা করেছেন, তেমনই আবার আধুনিকতার পরিবর্তনে সে নারী কবির কাছে পোষা মার্জারীর মতো আদুরে ।
মেয়েমাত্রই পুরুষের কাছ থেকে খানিক যত্নের প্রত্যাশী ।
তাই প্রেমিকা বা স্ত্রীর আদুরে আবদার বা মাঝরাতে রাজনীতিচর্চা যতই মাথা গরম হতে হতে জ্বলন্ত উনুন বানিয়ে দিক, একটু বিরক্তি দূর হটিয়ে মুগ্ধ শ্রোতার মতো তার কথা শুনুন। দেখুন ম্যাজিকের মতো বাকি রাতের মোহময়তা কেমন ঝরে পড়ে ।
এও জানি, মেয়েদের ‘ইমোশনাল ফুল’ বলে ডাকতে পারলেই ছেলেদের হেভি আনন্দ ।
কিন্তু অনুভূতি ছাড়া যে মানুষের মনুষ্যত্বে প্রশ্ন ওঠে, সেটা মাথায় রাখবেন । বৃষ্টি হলে ভেজার আনন্দে মশগুল প্রেমিকাকে বকাঝকা না-দিয়ে তার অফুরান প্রাণশক্তিকে খানিক ইমোশনের চোখে দেখুন বরং ।
প্রিয় পুরুষ ইমোশনাল হোক, এমনটা কিন্তু সব মেয়েই চায় ।
আবার অনেক পুরুষদের ভুল ধারণা আছে, মেয়েদের মেজাজ খারাপ বা মুড খিটখিটে মানেই মেয়েলি শারীরিক সমস্যা চলছে ।
আরে ভাই, এ যে নারী! প্রকৃতির রূপ বদলের মতোই বিনা কারণে তার মন-মেজাজ বদলাতে পারে ঘন্টায় ঘন্টায় ।
এই বিষয়কে বেদবাক্য বানিয়ে সবটা মেনে নিয়ে নিজেকে ‘নিউট্রাল’ মোডে নিয়ে চলে যান- খুঁজে পাবেন সব দিকে শান্তি ।
এ বাদে পুরুষ নিয়ে নির্বিচারে নারীর আর একটি ক্ষোভ থাকে ।
স্বামী বা প্রেমিকের বন্ধুমহল বা আত্মীয়দের আপ্যায়ন-যত্নে নারীরা যত উদ্বেল থাকে, তার সিকি ভাগও পুরুষের থেকে মেলে না ।
এ একেবারে নিয্যস খাঁটি কথা । এই অভিযোগের সার মনে মনে স্বীকার করলেন তো? নিজেকে শুধরে নিন ।
বন্ধু বা আত্মীয়মহলে আপনার প্রশংসা শুনে আনন্দে আপনার নারীর চোখে জল আসবেই।
তার প্রথম ধাপ হিসেবে কী করতে পারেন? হাত পুড়িয়ে বউ তো রোজই রেঁধে খাওয়াচ্ছে ।
একদিন নিজে হেঁশেলের দায়িত্ব নিয়ে গিন্নিকে ছুটি দিন দেখি । সংসারে আসলি শান্তি আনার এহেন পন্থা মহাপুরুষরাও স্বীকার করে থাকেন ।
তা, পুরুষরা কি ইমোশনাল হতে জানে? প্রেয়সীর ফোনের অপেক্ষায় দিন কাটে বলে পুরুষদের কবিতা গানের শেষ নেই ।
অথচ দিনের বেশিরভাগ সময়ে বা রাতের শেষ ফোনে বা নিভৃত আলাপে সেই পুরুষ প্রেমিকার সামনে অজানা কারণে বোবা হয়ে যায় ।
বাকস্বাধীনতা ব্যবহার করার এমন সুযোগ নারী ছাড়া কেউ দেবে না ভাইটি! তাই কথা বলুন, সব কিছু শেয়ার করুন।
বাচাল না হোক, আপনাকে সাবলীল মানুষ হিসেবেই যে আপনার নারী চায় ।
আর পৌরুষ? সেটা মেয়েরা চায় তো? আলবাত, আলবাত! ‘মাচো’ পুরুষ কোন নারী না-চায়?
সবশেষে যা সত্য, তা হল ‘কথা অমৃতসমান’। কথা বলতে এখনও ট্যাক্স লাগে না । মোবাইলেও এখন হাজারও অফার । দিনে চার দফা ‘আই লাভ ইউ’ নামক অমোঘ বাণী না-হয় প্রেয়সীর কানে শোনালেন । এতে কিচ্ছু ব্যক্তিত্বের হানি ঘটে না । উল্টে মেয়েরা বড্ড খুশি হয় । বাকি রইল শুধু বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণটুকু- সামান্য মিথ্যেও কিন্তু একটি মেয়ের মন প্রতিকূল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । অতএব সততাই একমাত্র পথ ।
কোন রাশির জাতকরা যৌনতায় ভরপুর হয়
আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
ফেসবুক পেজ
আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।