ভালোবাসায় প্রতারণার ক্ষেত্রে ছেলে আর মেয়েরা কম-বেশি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। এবং সমাজের উচ্চ শ্রেনিতে মেয়েদের দ্বারা পুরুষদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাই বেশি ঘটে। পুরুষদের যৌনতা পুরুষ মানেই যৌনক্ষুধায় জর্জরিত পশু মাত্র— এমন ধারণা আছে অনেকেরই। চারদিকে মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন যত বাড়ছে তত পাকাপোক্ত হচ্ছে এই ধারণা। কিন্তু সত্যি কি তাই? যৌন বিজ্ঞানের জগতে নানা গবেষণা ও সমীক্ষা কিন্তু অন্য কথাই বলছে। জানা যাচ্ছে, ছেলেদের যৌন জীবন সম্পর্কে সাধারণভাবে গড়ে ওঠা অনেক ধারণাই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ধোপে টেকে না। আসুন জেনে নিই তেমনই কয়েকটা ভুল ধারণার কথা—
যৌন
১. ছেলেরা নাকি প্রতি সাত সেকেণ্ড অন্তর যৌন চিন্তা করে!
তাই নাকি! তাহলে অন্যান্য কাজকর্ম তারা কখন করে! নাকি যৌন চিন্তা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই তাদের জীবনে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌন গবেষণাকেন্দ্র কিনসে ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষা কিন্তু জানাচ্ছে ৫৪ শতাংশ পুরুষ দিনে মাত্র একবার কি দু-তিনবার সেক্স-এর কথা ভাবে, ৪৩ শতাংশ পুরুষ ভাবে মাসে ১০ থেকে ১৫ বারের মতো। আর ৪ শতাংশ পুরুষের মনে যৌন চিন্তা আসে মাসে একবারের চেয়েও কম। প্রতি ৭ সেকেন্ডে একবার করে যৌনতা নিয়ে ভাবতে গেলে ছেলেদের কাজকর্ম সব লাটে উঠত।
২. প্রেমের ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা প্রতারণা করে বেশি!
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা কিন্তু উল্টো কথাই বলছে। সেই সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, ভালোবাসায় প্রতারণার ক্ষেত্রে ছেলে আর মেয়েরা কম-বেশি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। এবং সমাজের উচ্চ শ্রেনিতে মেয়েদের দ্বারা পুরুষদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাই বেশি ঘটে। তার মানে এই নয় যে প্রেমে প্রতারণা কোনও সমর্থনযোগ্য বিষয়। কিন্তু তার জন্য একতরফা ছেলেদের দায়ী করা অনুচিৎ।
৩. সঙ্গিনীকে সুখী করতে হলে ছেলেদের দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ থাকা অত্যন্ত জরুরি!
একবারেই ভুল ধারণা। এই বিষয়ে সেক্সোলজিস্ট প্রকাশ কোঠারি জানালেন, ‘‘যোনি গড়ে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি গভীর হয়। তার মধ্যে কেবল বাইরের দিকের এক তৃতীয়াংশ অনুভূতিপ্রবণ। পুরুষাঙ্গ যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন প্রবিষ্ট হওয়ার পরে যোনির ওই অংশটির সংস্পর্শে আসবেই। কাজেই দীর্ঘ পুরষাঙ্গ মেয়েদের বেশি পরিমাণে যৌনসুখ দিতে পারে, এমন ভাবার কারণ নেই।’’
৪. ছেলেরা প্রেমের চেয়ে সেক্সকে বেশি গুরুত্ব দেয়!
ওয়েক ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অ্যান্ড্রিউ স্মাইলার ঠিক উল্টো কথাই বলছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ছেলেদের মানসিক ও শারীরিক গঠন এমনই যে তাদের পক্ষে কখনওই যৌনতাকে প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়েরা হার্দিক ভালোবাসাকে যতটা গুরুত্ব দেয় ছেলেরাও ঠিক ততটাই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’’