Friday , 20 September 2024

সাহাবিরা যে আয়াত নাজিলের পর ভয় পেয়েছিলেন

সাহাবিরা ভয় পেয়েছিলেন! সুরা হুজুরাত নাজিল হওয়ার পর অনেক সাহাবি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ এই সুরায় আল্লাহ বললেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপরে নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না। আর নিজেদের মধ্যে যেভাবে উঁচু গলায় কথা বল, তার সঙ্গে সেভাবে উঁচু গলায় কথা বলো না। কারণ, এতে তোমাদের ভালো কাজ বরবাদ হয়ে যাবে আর তোমরা তা টেরও পাবে না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ২)

সাহাবিরা
সাহাবিরা যে আয়াত নাজিলের পর ভয় পেয়েছিলেন

এই সুরাকে সুরাতুল আদব বা আদবের সুরা বলা হয়। সুরাটি আদব শেখায়।

সুরা হুজুরাত নাজিল হওয়ার পর সাহাবিরা ভীত হয়ে পড়েছিলেন। প্রথম দুটি আয়াতে আল্লাহ সাহাবিদের উপদেশ দিচ্ছেন। আল্লাহ সাহাবিদের উপদেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)–এর সামনে তাঁদের গলার স্বর নিচু করার জন্য। হজরত উমর (রা.) ছিলেন উচ্চ কণ্ঠস্বরের অধিকারী। এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর তিনি আস্তে কথা বলতে শুরু করেন।

আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর ভীত হয়েছিলেন সাহাবি সাবিত ইবনে কায়েস (রা.)–ও। তিনি মদিনাবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতেন। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল সবচেয়ে উঁচু। যুদ্ধ ও সমাবেশে তিনি ছিলেন খতিব (খুতবা পাঠকারী)। উঁচু স্বরে রাসুল (সা.)–কে ডাকতেন। সুরা হুজুরাতের দ্বিতীয় আয়াত নাজিল হওয়ার পর সাবিত (রা.)–কে কিছুদিন দেখা গেল না। রাসুল (সা.) সাবিত (রা.)–কে আশপাশে দেখতে না পেয়ে সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.)–কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সাবিতের কী হয়েছে? সে কোথায়? সে কি অসুস্থ? তাকে যে কিছুদিন ধরে দেখছি না, আমাদের উচিত তাকে দেখতে যাওয়া?’

সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.) বললেন, ‘সাবিত (রা.) আমার প্রতিবেশী, তিনি অসুস্থ হলে জানতাম। আমার মনে হয় না তিনি অসুস্থ। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

সাদ (রা.) তাঁর প্রতিবেশীর খোঁজ নিতে গেলেন। সাবিত (রা.) দরজায় এসে দাঁড়ালে সাদ (রা.) দেখতে পেলেন, অশ্রু বিসর্জনের কারণে তাঁর দুই চোখ লাল হয়ে আছে। সাদ (রা.) কারণ জানতে চাইলেন।

সাবিত (রা.) বললেন, ‘এই যে সুরা হুজুরাতের এই আয়াত নাজিল হয়েছে, আপনারা জানেন আমার কণ্ঠস্বর উঁচু। রাসুল (সা.)–এর কণ্ঠের চেয়ে আমি আমার কণ্ঠকে উঁচু করেছি। কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য আমি। নিশ্চয়ই আমি জাহান্নামের একজন। আল্লাহ আমাকে তিরস্কার করে কোরআনের একটি আয়াত নাজিল করেছেন। তাই জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

সাদ (রা.) রাসুল (সা.)–এর কাছে ফিরে এসে পুরো ঘটনা বললেন। রাসুল (সা.) সব শুনে বললেন, সে বরং জান্নাতবাসী!

রাসুল (সা.)–এর কাছ থেকে জান্নাতের কথা শুনে সাবিত (রা.) উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবির দিতে শুরু করলেন। এর পর রাসুল (সা.)–এর কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।

সুরা হুজুরাত পবিত্র কোরআনের ৪৯তম সুরা। সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়। নেতার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে এবং রাসুল অন্দরমহলে থাকলে কেমন ব্যবহার করতে হবে, এতে তার উল্লেখ রয়েছে।

সুরায় আরও বলা হয়েছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশের প্রতীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। মুসলমানরা পরস্পরের ভাই। তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে হবে। গুজবের সত্যতা যাচাই করতে হবে। বিদ্রূপ বা রটনা পরিত্যাগ করতে হবে। মানুষের মর্যাদা বংশ বা জাতির ওপর নির্ভর করে না।

সূত্রঃ প্রথম আলো 

আন্দোলনে নিহত রিকশাচালক পরিবারকে সিরিজসেরা প্রাইজমানি দিবে মিরাজ

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

Spread the love

Check Also

পরকালে

পরকালে মুক্তি লাভের বিশেষ তিন কাজ

আল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় বান্দাকে সহজে পরকালে মুক্তি লাভের পথ নির্দেশ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *