Friday , 20 September 2024

হলুদের ব্যবহার রূপচর্চাতে যেভাবে করবেন

হলুদের বলা হয় সোনালি মসলা। উৎপত্তিস্থল পাশ্চাত্যে হলেও ভারত উপমহাদেশে মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার ব্যাপক। এ ছাড়াও রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও এ অঞ্চলে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। এসব ছাড়াও এন্টিসেপটিক, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিএজিং, এন্টি ইনফ্লেমেটরিসহ বিভিন্ন ভেষজ গুণের জন্যও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। ত্বক, চুল ছাড়া দাঁতের যতেœও হলুদের রয়েছে বিভিন্ন কার্যকর ক্ষমতা।

হলুদের
হলুদের ব্যবহার রূপচর্চাতে যেভাবে করবেন

রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার :

হলুদে রয়েছে ত্বক ফর্সা করার উপাদান। তাই ফেসিয়াল প্যাকের সাথে অল্প হলুদ বাটা মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। এটি নিষ্প্রভ ত্বককে করে তোলে সতেজ। ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতেও হলুদের জুড়ি নেই।

২ চামচ হলুদ গুঁড়ার সাথে অল্প গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মেছতা ও ব্রণপ্রবণ ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে এসব সমস্যা কমে আসবে। ত্বকের দাগ দূর করতে অল্প হলুদের পেস্টের সাথে আধা চামচ মধু ও ১ চা চামচ টকদই মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন।

হলুদে থাকা এন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রোপারটিস ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে ত্বককে রাখে শীতল। এর জন্য এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ার সাথে আধা কাপ টকদই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

যাদের মুখে অবাঞ্ছিত লোমের আধিক্য দেখা যায় তারা যদি নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করেন তাহলে ধীরে ধীরে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এর জন্য এক চামচ হলুদের বাটার সাথে দুই চামচ দুধ ও তিন চামচ বেসন মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে হেয়ার গ্রোথ কমে আসবে।

ফেসপ্যাক হিসেবে হলুদের ব্যবহার :

রোদে পোড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে হলুদ এর তৈরি ফেসপ্যাকগুলো দ্রুত কাজ করে। কাঁচা হলুদ বাটা, কাঁচা দুধ অথবা টকদই একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে এবং ১৫ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেললে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

ত্বকের বলিরেখা সারাতে হলুদ বাটা, বেসন, কাঁচা দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের বলিরেখা ও মেছতার সমস্যার চমকপ্রদ সমাধান হয়। কাঁচা হলুদ অ্যান্টিওক্সিডেন্ট হিসেবেও বেশ কার্যকরী। ত্বকে ব্রণের এবং ব্রণের দাগ মেলাতে কাঁচা হলুদ বাটা, লেবুর রস, কেশর এক সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক, স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য হলুদ এর ব্যবহার সব ফেসপ্যাকেই হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদ বাটা, কমলার খোসা বাটা, মুলতানি মাটি, মধু একসাথে মিশিয়ে হাত, মুখ, পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, কোমল, মসৃণ। নারকেল তেলের সাথে এটির বাটা মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে কিংবা পায়ের তলার ফাটা অংশে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলে পায়ের ত্বক কোমল-মসৃণ হবে এবং পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন।
আধা কাপ হলুদ এর রসের সাথে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়।

ফিটকিরি ম্যাজিকের মতো কাজ করে ত্বকের যত্নে

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

ব্রণ

পিঠ ভরে গিয়েছে ব্রণ? খরচ না করেই ঘরোয়া উপকারে মিলবে মুক্তি!

অষ্টমীর দিন পিঠখোলা ব্লাউজ পরে কেতা তো দেখাতেই হবে। কিন্তু সেই সময় যদি পিঠে জ্বলজ্বল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *