Friday , 20 September 2024

কুয়াশা ঢাকা শীত শেষে রুপমাধুরী

কুয়াশা ঢাকা শীত শেষ হতে চললো। ফাল্গুনের আগাম বার্তা বইছে প্রকৃতিতে। শীতের শেষের দিকে ত্বক, চুল, ঠোঁট ও পা আরও রুক্ষ হতে থাকে। তাই রূপের চর্চা বহাল রাখতে হবে শীতের শেষেও।তাই রুপের যত্ন নিতেই হয়।

কুয়াশা
কুয়াশা ঢাকা শীত শেষে রুপমাধুরী

ত্বকের যত্ন

ত্বক সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পরিষ্কার রাখা। কুয়াশা ঢাকা শীতে সব ধরনের ত্বক অনেকটা মিশ্র ত্বকের মতো আচরণ করে। তাই ধরন বুঝে ত্বকের চর্চা করলেও এই সময়টায় বাড়তি যত্ন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে শুষ্কতা বেড়ে গেলে ক্লেনজিং মিল্ক বা অল্প মধু ও পানির সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। আর তৈলাক্ত হয়ে গেলে তেলের পরিমান কম এবং পানির পরিমান কম আছে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাই শুষ্ক ত্বকে ভারি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই সময়টায় মধু বেশ কার্যকর সমাধান হতে পারে। কলা বা টমোটোর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিতে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আর তৈলাক্ত ত্বকে শশার রসের সঙ্গে মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে লাগিয়ে নিলে তেলতেলে ভাব কমবে। যেহেতু শুষ্কতার কারণে মরা কোষ জন্ম নেয় সেজন্য ফেসিয়াল করে নিতে হবে এই সময়। অ্যালোভেরার ব্যবহার ত্বককে নরম ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

চুলের জন্য

শীতের ধুলোবালি আর শুষ্ক আবহাওয়া চুলকে রুক্ষ করে তোলে। নির্জীব চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। রুক্ষতা দূর করতে তেলের রয়েছে জাদুকরি গুণ। স্কাল্পে ও পুরো চুলে কুসুম গরম নারিকেল তেল ধীরে ধীরে লাগিয়ে নিতে হবে তাহলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুলের আগা ফাটা দূর হওয়ার পাশাপাশি নরম ও মসৃণ হয়। সপ্তাহে একদিন অন্তত অলিভ অয়েলের সাথে মধু মিশিয়ে আধ ঘন্টা লাগিয়ে ধুয়ে নিলে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি ঝলমলে হয়ে উঠে।

ঠোঁটের যত্ন

শুধু শীতই নয় সারা বছরজুড়ে ফাঁটতে থাকে ঠোঁট। তাই শীতে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। ভ্যাসলিন দিতে পারে ভালো সমাধান। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন ঠোঁটের মরা কোষ তুলতে মধু, দুধ ও চিনির মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আলতো করে তুলে নিতে হবে। এতে ঠোঁট স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে পাশাপাশি দেখতেও সুন্দর দেখাবে। শুষ্ক হওয়া ঠোঁট কোনোভাবেই জিব দিয়ে ভেজানো যাবে না। এতে ঠোঁট আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। অনেকে ঠোঁটের মরা কোষ দাঁত দিয়ে কামড়ে বা নখ দিয়ে ছেঁড়ার চেষ্টা করে। এই বদ অভ্যাসগুলো অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

পায়ের পরিচর্যা

পুরো শীতজুড়েই পা ফাঁটতে থাকে। তাই পায়ের যত্ন নিয়মিত গোড়ালিতে গ্লিসারিন, ভেসলিন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে পা ফাঁটা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পা ঢাকা জুতো বা মুজো ব্যবহার করা ভালো। কারণ ধুলোবালি আর বাতাস গোড়ালির ত্বক নষ্ট করে দেয়। বাইরে থেকে এসে পা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।কুয়াশা ভেজা ঘাস থেকে ময়লা ঢুকে পায়ের শ্রী নষ্ট করে না দেয় সেজন্য কেটে রাখতে হবে।

সুন্দর করে কথা বলবেন যেভাবে জানুন

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

ব্রণ

পিঠ ভরে গিয়েছে ব্রণ? খরচ না করেই ঘরোয়া উপকারে মিলবে মুক্তি!

অষ্টমীর দিন পিঠখোলা ব্লাউজ পরে কেতা তো দেখাতেই হবে। কিন্তু সেই সময় যদি পিঠে জ্বলজ্বল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *