Friday , 20 September 2024

গর্ভপাত হতে পারে যে ৯ টি ফল খেলে দেখে নিন

গর্ভপাত হতে পারে যে ফল খেলে জেনে নিন। গর্ভধারণের পর প্রতিটি নারীকেই অনাগত সন্তানের কথা ভেবে খাবারের বিষয়ে সচেতন থকতে হয়। অনেক খাবার আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে ৯টি ফল যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভপাত
গর্ভপাত হতে পারে যে ৯ টি ফল খেলে দেখে নিন

কারণ কিছু ফল আছে যেগুলো গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন ৯ ফল খাবেন না-

  • প্রথম ত্রৈমাসিকের গর্ভাবস্থাকালে আনারস এড়িয়ে চলুন। কারণ আনারস খাওয়ার ফলে জরায়ুতে তীব্র সংকোচন হতে পারে। এর ফলস্বরূপ গর্ভপাতও ঘটতে পারে। আনারসে ব্রোমেলাইন থাকে। এটি একটি এনজাইম, যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। ফলে জরায়ু নরম হয়ে অকাল প্রসব ঘটতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় কখনো আনারস খাবেন না।
  • গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়াও এড়ানো উচিত। সবুজ ও কালো উভয় ধরনের আঙুরই ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে মিশ্র মতামত আছে। কারণ আঙুরে থাকা যৌগিক রেজভেরট্রোল গর্ভবতী নারীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কালো আঙুরের চামড়া হজম করা কষ্টকর হতে পারে। কারণ এ সময় হজম ব্যবস্থা দুর্বল থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় টকজাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে হলেই তেঁতুলের কথা ভাবতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা গর্ভবতী নারীদের এড়ানো উচিত।

এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরের প্রোজেস্টেরনের উৎপাদনকে কমে যায়। ফলে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। এমনকি ভ্রূণের কোষেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিকে খুব বেশি তেঁতুল খাবেন না। এড়িয়ে যেতে পারলে আরও ভালো।

  •  পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন থাকলেও গর্ভবতীদের জন্য এই ফল ততটা উপযুক্ত নয়। কারণ পেঁপে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই ফল ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ। যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত ও গর্ভপাত ঘটার কারণ হতে পারে। এটি ভ্রূণের বিকাশকেও বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খাওয়া এড়ানোই ভালো।
  •  গর্ভাবস্থায় এড়ানো উচিত এমন ফলের তালিকায় আছে কলার নামটিও। বিশেষ করে যেসব নারীরা গর্ভাবস্থায় অ্যালার্জিও বা ডায়াবেটিসে ভোগেন তাদেরকে কলা খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। কলাতে চিটিনেস থাকে। এটি একটি ল্যাটেক্স জাতীয় উপাদান।

যা একটি পরিচিত অ্যালার্জেন। এটি শরীরের উত্তাপ বাড়ায়। তাই চিটিনেসে অ্যালার্জিযুক্ত নারীদের কলা থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়া কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত কলা খাওয়া এড়ানো।

  •  গরমে তরমুজ খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শরীর আর্দ্রতা ধরে রাখারা পাশাপাশি দেহ থেকে সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম তরমুজ। তবে এর খারাপ দিকও আছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে শরীরের সব ধরনের টক্সিন ধ্বংসের পাশাপাশি ভ্রুণেরও ক্ষতি হতে পারে।

যদিও এই ফল গর্ভবতীর জন্য ততটা খারাপ নয়, তবে এর খারাপ প্রভাব শরীরে পড়তে পারে। আবার তরমুজ অতিরিক্ত সেবনে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। কখনো কখনো তরমুজের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে টক্সিনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলোও বের করে দিতে পারে। এছাড়া এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। ফলে গর্ভবতী নারীর সর্দি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি।

  • খেজুর অত্যধিক পুষ্টিকর এক ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। জানেন কি, গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ ফলের তালিকায় খেজুরও আছে। এর প্রধান কারণ হলো এই ফল শরীরকে উত্তপ্ত করে তোলে। জরায়ুর পেশীগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জরায়ুতে সংকোচনের কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খেজুর কখনো খাবেন না।
  • গর্ভবতী নারীদের উচিত হিমায়িত বা দীর্ঘ সময় ধরে শুকনো কোনো ফল না খাওয়া। এর মধ্যে হিমায়িত বেরি অন্যতম। গর্ভাবস্থায় সব সময় তাজা ফল খাওয়া উচিত। হিমায়িত খাবারে ফরমালিন বা প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে। এ কারণে এমন খাবার না খাওয়াই ভালো। এটি আপনার ও সন্তান উভয়ের জন্যই হতে পারে বিষাক্ত।
  • বিভিন্ন সুপারশপে ক্যানড টমেটো পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এতে থাকতে পারে ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ। যা দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখতে ব্যবহৃত হয়।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় উপকারী ফলের মধ্যে আছে আপেল, ডালিম, নাশপাতি, আম, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো ও পেয়ারা। তবে আপনার যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে আগে পরামর্শ নিয়ে তবেই খান। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী নারী ২-৪টি তাজা ফল খেতে পারেন।

বাসায় ম্যানিকিওর করবেন যেভাবে দেখে নিন

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

চিনি

চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে ঘটবে যে পরিবর্তন

এখন কমবেশি অনেকেই প্রায় প্রত্যেকদিন চিনি খেয়ে থাকেন। বাড়িতে বানানো চা কিংবা প্রায় নাস্তায় কমবেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *