Thursday , 19 September 2024

ঘুমের ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ হিসেবে কাজ করে এসব খাবার

 

অনিদ্রা বা গভীর ঘুমের সমস্যার সমাধান পেতে অনেকেই হাত বাড়ান ঘুমের ওষুধের দিকে। কিন্তু ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের শরীরের জন্য ডেকে আনে মারাত্মক ক্ষতি। তাই এসব ক্ষতিকর ওষুধের বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা কিছু ঘুমের ওষুধ।

 

ঘুমের
ঘুমের ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ হিসেবে কাজ করে এসব খাবার

 

ঘুমের ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ হিসেবে কাজ করে এসব খাবার

দীর্ঘস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ঘুমের ওষুধ না খেয়ে গভীরঘুম এর জন্য বেছে নিন কিছু খাবারকে, যা প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করবে আপনার শরীরে।

কিছু এমন খাবার রয়েছে যা ঘুম পাড়ানি হিসেবে দারুণ কাজ করে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রকৃতির এসব ওষুধ বা খাবারগুলো ঘুম এরওষুধের বিকল্প হিসেবে দারুণ কাজ করে।

এসব খাবারের তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

পাকা কলা: এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান মাংসপেশিকে শিথিল রাখতে বেশ কার্যকরী।

কলা খাওয়ার পর শরীরে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হতে শুরু করে, যা ঘুম এর দেশে আপনাকে খুব দ্রুত নিয়ে যেতে পারে।

মধু: মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের নিউরোট্রান্সমিটারের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুম এর শত্রু এই উপাদানটিকে দূর করতে হলে রাতে চার ফোটা মধু খেতে পারে। মধু খাওয়ার পর মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দিতে শুরু করে।

তাই মধু খাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে আপনার ঘুম চলে আসতে শুরু করবে।

ঘুমের ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’ হিসেবে কাজ করে এসব খাবার

বাদাম: রাতে ঘুম এর সমস্যা থাকলে খাবারের পর ৭টি বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে রাতের ঘুম অনেকটাই গভীর হবে আপনার।

তবে যদি পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে রাতের পরিবর্তে বিকেলে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

আরও পড়ুন: অনিদ্রায় ভুগছেন? ঘরেই লুকিয়ে আছে কারণ

ওটমিল: ঘুম এর প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ওটমিলকেও কাজে লাগাতে পারেন। ওটমিলে রয়েছে ঘুম এরসহায়ক উপাদান মেলাটোনিন।

নিয়মিত ওটমিল খাওয়ার অভ্যাসে একদিকে যেমন ঘুমের সমস্যা দূর হবে, অন্যদিকে ওজনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

সিদ্ধ আলু: নিয়মিত ডায়েটে সিদ্ধ আলু রাখলে ট্রাইপটোফানের সাহায্যে হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এর ফলে খুব দ্রুতই আপনার মস্তিষ্ক ঘুমিয়ে

পড়ার সুযোগ পায়।

আরও পড়ুন: ফুসফুস থেকে দ্রুত ক্ষতিকর পদার্থ বের করে যে পানীয়

ইউরোপে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার ‘এক্সইসি’ নতুন ভ্যারিয়েন্ট

হালকা গরম দুধ: প্রাকৃতিক ঘুম এর ওষুধ হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ। দুধের ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রাইপটোফান

ব্যবহারে সহায়তা করে। যার ফলে মানসিক চাপ কমে এসে শরীর নিস্তেজ হয়ে ঘুম চলে আসে।

ফেসবুক পেজ

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

Spread the love

Check Also

অরুচি

পছন্দের খাবারেও অরুচি, রাগ হচ্ছে যখন-তখন? আর কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন, শরীর বিশ্রাম চাইছে?

দিনভর অনিয়মের বোঝা, উদ্বেগ-দুশ্চিন্তার পাহাড় ঠেলতে ঠেলতে শরীর এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে,অরুচি র মত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *