Friday , 20 September 2024

মায়াবতী গোলাপজল রূপচর্চায় দেখে নিন

মায়াবতী গোলাপজল কথাটি মিথ্যা নয়।যুগ যুগ ধরে সৌন্দর্যের ধারণার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে গোলাপ। সাহিত্য, কাব্য থেকে শুরু করে চিত্রশিল্পের জগতেও বহুকাল দারুণভাবে সমাদৃত হয়ে আসছে গোলাপ। শুধু মায়াবী সৌন্দর্যই নয়, গোলাপের পাপড়ি কিংবা গোলাপজলের উপকারিতাও রয়েছে বিস্তর যার জন্যে মায়াবতী নাম হয়েছে। আর রূপচর্চায় তো এর জুড়ি মেলা ভার।

মায়াবতী
মায়াবতী গোলাপজল রূপচর্চায় দেখে নিন

 

গোলাপজলের সঙ্গে সঙ্গে গোলাপের তেল ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় দারুণ উপযোগী। এমনকি প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় নারীরা রূপচর্চায় চিরকাল গোলাপকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই নির্দ্বিধায় প্রতিদিনের রূপচর্চায় গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি দূর করতে পারে ত্বকের ক্লান্তি।

ইদানীং চোখের নিচের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এ ক্ষেত্রে এক টুকরো তুলো নিয়ে গোলাপজলে ভিজিয়ে এটিকে চোখের নিচের অংশে আলতো করে চেপে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় এবং মুখে ব্রণ ও কালো দাগছোপ থেকে থাকে তাহলে স্নানের জলে আধ কাপ গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে একমুঠো পুদিনা পাতা আর দুই টেবিলচামচ লেবুর রস দিয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এতে ত্বকের তেল–তেলেভাব নিয়ন্ত্রণে থাকবে। লেবুর রসে ত্বক জ্বালা করলে হোয়াইট ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে।

আজকাল অনেকেই ব্যস্ততার কারণে ত্বকের চর্চায় সময় দিতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল ত্বকে টোনার হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতিতে বাহির থেকে ঘরে ফিরে এক টুকরো তুলো গোলাপজলে ভিজিয়ে নিয়ে আলতো করে সম্পূর্ণ মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লার পাশাপাশি ব্যবহৃত মেইকআপ ভালো করে উঠে আসে। তা ছাড়া গোলাপের পাপড়িতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে; যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

এর আরও একটি বিশেষ গুণ হলো গোলাপের পাপড়িতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ফলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হতে থাকে। আর যাঁদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল, তাঁদের ক্ষেত্রে গোলাপের পাপড়িতে থাকা চিনি অনেক বেশি কার্যকরী।

আবার ফেইস স্ক্রাব হিসেবেও এটি বেশ উপকারী। এর জন্য একটা মাঝারি আকারের গোলাপের পাপড়ি জলে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পাপড়িগুলো চটকে তার সঙ্গে মিহি করে গুঁড়ো করা ওটস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মুখে আর গলায় বৃত্তাকারে মাসাজ করতে হবে। পাশাপাশি বাড়তি যত্নের জন্য সামান্য দুধ মেশানো জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। মুখ ধোওয়া হয়ে গেলে তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে সারা মুখ আর গলা মুছে নিয়ে সবশেষে আর একবার ঠান্ডা জলের ঝাপটায় মুখ ধুতে হবে। ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বক বেশ তুলতুলে ও নরম অনুভূত হবে।

জেনে রাখা ভালো, গোলাপজলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা রয়েছে, যা খুসকি দূর করতে সহায়ক। আর যেহেতু খুসকি থেকেই মাথায় অ্যালার্জি কিংবা জ্বালা হয়, তাই এর ব্যবহার বেশ আরামদায়ক। কারণ, গোলাপের নিজস্ব প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা মাথার ত্বকের জ্বালা কিংবা অ্যালার্জি দূর করে ত্বককে সুস্থ করে তোলে। আর স্ক্যাল্পের প্রতিরোধক্ষমতা ফিরে এলে খুসকি চোখে পড়ার মতো কমে যায়। তাই মুখের ত্বক কিংবা চুলের যত্নে ভালো ফলাফল পেতে হলে সৌন্দর্যচর্চার রুটিনে গোলাপজলের বিশেষ প্রয়োজন।

শীতের ফল ত্বকের যত্নে ব্যবহার

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

ব্রণ

পিঠ ভরে গিয়েছে ব্রণ? খরচ না করেই ঘরোয়া উপকারে মিলবে মুক্তি!

অষ্টমীর দিন পিঠখোলা ব্লাউজ পরে কেতা তো দেখাতেই হবে। কিন্তু সেই সময় যদি পিঠে জ্বলজ্বল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *