Friday , 20 September 2024

শিশুর সঠিক বিকাশ কীভাবে নিশ্চিত করবেন জেনে নিন

শিশুর বিকাশের একটি পরিমাপ থাকে। আপনার শিশু বা কিশোর সন্তানটি যে বয়সে যে কাজ করতে সক্ষম, তাকে সেটি নিজ থেকে করতে দেওয়া উচিত। তবে হেলিকপ্টার প্যারেন্টস (সন্তানের বাবা–মা) সন্তানকে যে শুধু নিয়ন্ত্রণ করেন তা নয়, তাদের সামনের সব পথও বাধামুক্ত রাখতে চান। এ ধরনের মা–বাবা সন্তানদের সামনের রাস্তাটি কী হওয়া উচিত, নিজেরাই তা নির্ধারণ করে সেভাবে সন্তানকে পরিচালনা করতে চান। নিজেরা সাহায্য করে হলেও এই মা–বাবারা সন্তানকে সব সময় নিখুঁত বানানোর চেষ্টায় থাকেন।

শিশুর
শিশুর সঠিক বিকাশ কীভাবে নিশ্চিত করবেন জেনে নিন

হেলিকপ্টার প্যারেন্টের এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে থাকতেই পারে। এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। তবে আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে এ অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারেন।

নিজে করতে দিন

শিশুরা কোনো কাজ করতে গেলেই বড়রা তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে যাই। কখনো তাকে চিন্তা করতে না দিয়ে তাদের ওপরে আমাদের ধরাবাঁধা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিই। যেমন আকাশের রং নীল হবে, পাজলের কোন টুকরা কোথায় বসবে, অঙ্কটি কোন সূত্র দিয়ে করতে হবে—এসব আমরা সন্তানকে বারবার ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করি। এটা না করে তাদের পাশে বসে দেখুন সে কীভাবে এটি করছে। প্রথম চেষ্টাটা তাকেই করতে দিন। তারপর সে করতে না পারলে কীভাবে করতে হবে, দেখিয়ে দিন। তারপরও না পারলে নিজে করে দেখান এবং পরবর্তী কাজটা তাকে তার মতো করতে উৎসাহিত করুন।

হারতে দিন

জেতার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা আমাদের সবার মধ্যে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি একটা মানুষ শিখতে পারে যখন সে ব্যর্থ হয় এবং সেখান থেকে যদি শিক্ষা নিতে পারে। নিজের সন্তান কোনো কাজ পারছে না বা হেরে যাচ্ছে, এটাকে তার বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে নিন। এ ছোট্ট হারগুলো তাকে ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাসী করবে। ধৈর্য বাড়াবে।

কথা বলুন, কথা শুনুন

সন্তানের সঙ্গে যত বেশি কথা বলবেন, তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন, সে তত বেশি আপনার সঙ্গে সহজভাবে যোগাযোগ করবে। সন্তানকে আদেশ না করে কোন কাজ কেন করা হচ্ছে, বুঝিয়ে বলুন। তার চাওয়া কারও ক্ষতির কারণ না হলে সেটাকে প্রাধান্য দিন। সন্তানের জেদ কমাতে এমন কিছু দেবেন না বা এমন প্রতিশ্রুতি করবেন না, যা আপনি রাখতে পারবেন না।

কাজ করতে উৎসাহিত করুন

সন্তানকে ছোটবেলা থেকে খেলনা গোছানো, জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা, নিজের জুতা–মোজা গুছিয়ে রাখার মতো কাজে অনুপ্রাণিত করুন। একটু বড় হলে বিছানা-ব্যাগ গোছানো, ঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা, রান্না করতে সাহায্য করা—এ কাজগুলো করতে দিন। এতে করে তার নিজের মধ্যে কোনো কাজ করার আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। মা-বাবার ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমবে।

প্রত্যেক মা-বাবার সন্তান পালনের নিজস্ব কিছু ধারা থাকে। কারণ, প্রত্যেক মা-বাবাই তাঁর সন্তানকে রক্ষা করতে চান, সন্তানের ভালো চান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুর বেড়ে ওঠার প্রথম দিকে তাদের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আর বড় হয়ে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। কারণ, দিন শেষে সবার আগে আপনার সন্তানকে আপনার ভরসা আর বিশ্বাস করতে হবে।

ডার্ক সার্কেল দূর করুন সহজেই

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

চিনি

চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে ঘটবে যে পরিবর্তন

এখন কমবেশি অনেকেই প্রায় প্রত্যেকদিন চিনি খেয়ে থাকেন। বাড়িতে বানানো চা কিংবা প্রায় নাস্তায় কমবেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *