Friday , 20 September 2024

সপ্তাহে এক কেজি ওজন কমিয়ে ফেলুন এই উপায়ে

সপ্তাহে এক কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে এই টিপস। ‘ওয়েট লস’র সময় আমাদের চিন্তা থাকে কীভাবে এক মাস বা এক সপ্তাহে নির্দিষ্ট পরিমাণ কেজি শরীর থেকে ঝরানো যাবে। নানা রকম ডায়েট প্ল্যান, ঘরোয়া বা বাইরের এক্সারসাইজ সবই আমরা করি। কিন্তু তাও দেখা যায় দিনশেষে ওজনের সেরকম তারতম্য নেই। এইটার পেছনে একটা বড়ো কারণ হলো ওজন কমার পেছনের ‘সাইন্স’ সম্পর্কে ধারণা না থাকা। আজকে সেই সাইন্সটাই বুঝার চেষ্টা করবো আমরা।

সপ্তাহে
সপ্তাহে এক কেজি ওজন কমিয়ে ফেলুন এই উপায়ে

এক কেজি ওজন কমাতে কত ক্যালরি বার্ন করতে হয়?

যারা ওজন কমাতে চান তাদের মধ্যে এই প্রশ্নটা আসাটা খুব স্বাভাবিক যে কতোটুকু ক্যালরি বার্ন করতে পারলে আমার ১ কেজি ওজন কমবে। তাহলে চলুন আগে একটু অংক কষে আসা যাক, এরপর প্রক্রিয়া জানা যাবে কীভাবে এই সংখ্যাগুলোকে আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারি।
এক কেজি ওজন কমানোর জন্য আমাদের মোটামুটি ৭৭০০ ক্যালরি কম গ্রহণ করতে হবে অথবা বার্ন করতে হবে। এর মানে হলো আপনি যদি এক সপ্তাহে একটি হেলদি ডায়েট ও কিছু এক্সারসাইজ ফলো করে এক কেজি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে টোটাল ৭৭০০ ক্যালরি ঘাটতিতে থাকতে হবে।

সপ্তাহে এক কেজি ওজন কমানো কি আসলেই সম্ভব? 

প্রত্যেকের শরীরের গড়ন ও গঠন ভিন্ন, তবে সঠিক উপায়ে চললে খুব স্বাস্থ্যকরভাবেই এক সপ্তাহে এক কেজি ওজন আপনি কমাতে পারেন, এবং সেইটা ফ্যাট লস। শুধু আপনার শরীরের পানির পরিমাণ কমবে না।

শারীরিক গড়ন বা গঠন আলাদা হলেও ফ্যাট লসের ক্ষেত্রে কয়েকটা ফ্যাক্টর সবার জন্য সমান, এগুলো হলো-

  • শুরুর ওজন
  • অ্যাকটিভিটি লেভেল
  • পুষ্টির পরিমাণ
  • ঘুম
  • হরমোনাল ফ্ল্যাকচুয়েশন

এই ব্যাপারগুলোকে মাথায় রেখে যদি আপনার ডায়েট প্ল্যান এবং এক্সারসাইজ সাজান তাহলে সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহে খুব স্বাস্থ্যকরভাবেই ৭৭০০ ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব এবং এক কেজি ওজনও কমানো সম্ভব।

যেভাবে ওজন কমানোর সময়েও পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারেন 

ওজন কমানো মানে পুষ্টি কমানো না। এই বিষয়টা ওজন কমানোর সময় মাথায় রাখতে হবে খুব ভালোভাবে। নাহলে দেখা যাবে পুষ্টির অভাবে শরীর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে, মানসিকভাবে সমস্যা হচ্ছে এবং কয়দিনের মধ্যেই আপনার ওজন কমানোর মিশন থেমে যাচ্ছে। যেভাবে নিশ্চিত করবেন পুষ্টির প্রাপ্যতা নিয়ে-

প্রচুর পানি পান করা

যদি হুট করে খিদে পায় আগে এক গ্লাস ভরে পানি পান করে নিন, অনেক সময় দেখা যায় এইটা শুধু তৃষ্ণা ছিলো। আধঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও যদি ক্ষিদে পায়, একটু মৌসুমি ফল খেয়ে নিন।

ধীরে খান

গবেষণা বলছে খাওয়ার সময় যখন আমরা সময় নিয়ে চিবিয়ে পুরোটা খাই তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল পায় যে অনেক বেশি খাওয়া হয়েছে এবং পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকে, যদিও আপনি হয়তো পরিমাণ বাড়াননি খাবারের!

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান

ফাইবার বেশ কাজের একটা উপাদান যখন আপনি ওজন কমাতে চাচ্ছেন। ফাইবার অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে এবং এতে ক্যালরি থাকে না। এর সাথে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সহ অনেক শারীরিক জটিলতার সমাধান দেয়। তো এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইলে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে নিন ডায়েটে।

প্লেট সাইজ কমিয়ে নিয়ে আসুন

প্লেট বড় হলে মন চাইবেই একটু বেশি খেতে কারণ প্লেট ভরে খাবার না হলে আত্মিক শান্তিটা ঠিক আসে না, সারাদিন মনে হয় আবার ক্ষুধা লাগছে! কিন্তু ওজনও তো কমাতে হবে, কী করা যায়? প্লেটের সাইজ কমিয়ে নিন। বড় প্লেটের জায়গায় ছোটো প্লেটে খাবার খেলে প্লেট ভরেও খাওয়া হবে, মন ভরেও খাওয়া হবে আবার ওজনও কমে আসতে শুরু করবে।

প্রোটিন বাড়িয়ে দিন খাবারে

প্রতিবেলার খাবারে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাট কমিয়ে দিয়ে বাড়িয়ে দিন প্রোটিনের পরিমাণ। এতে করে আপনার সুবিধা দুই দিক থেকে। প্রোটিন আমাদের শরীরের বিল্ডিং ব্লক, তাই প্রোটিন কিছুটা বেশি খেলেও শরীরের জন্য কোনো ক্ষতি নেই। আর প্রোটিন আপনাকে অনেক সময় পর্যন্ত ‘পেটভর্তি আছে’ এমন অনুভূতি দেয়। তাই অস্বাস্থ্যকর আর চিনিতে ভরা স্ন্যাক্স খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়।

যতো কৌশলই থাকুক না কেনো দিনশেষে ওজন কমাতে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে আপনার নিজের ইচ্ছে এবং ধারাবাহিকতা। এই দুটো যত বেশি জিইয়ে থাকবে, ওজনও তত দ্রুত কমবে এবং আপনার নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। তাই ডায়েট, এক্সারসাইজ সবকিছুর সাথে নিজের মনের যত্নটাও জরুরী!

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ও চুল সুন্দর রাখার উপায়

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

Spread the love

Check Also

রুক্ষ ও নিষ্প্রভ

রুক্ষ ও নিষ্প্রভ ত্বকের কারণ ও প্রতিকার জানুন

রুক্ষ ও নিষ্প্রভ ত্বকে সমস্যা? আমার ত্বক খুব তৈলাক্ত কিন্তু রুক্ষ!”, “ত্বক খুব সেনসিটিভ, কিছু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *