Friday , 20 September 2024

ত্রিশের পরেও ত্বকের ‘গ্লো’ অটুট রাখবে যেসব খাবারগুলি

ত্রিশের পরেও ত্বকের ‘গ্লো’ অটুট যার জন্যে কিছু খাদ্যভাস পরিবর্তন দরকার ।ত্বকের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে ‘গ্লো’ শব্দটি এখন বেশ ট্রেন্ডি ও জনপ্রিয়। তবে ত্বকের গ্লো যতটা না বাহ্যিক, তার চেয়ে বেশি ভেতরকার বিষয়। এর মানে, ত্বক গ্লো করার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ, সুন্দর ও ফিট থাকতে হবে। এরপর বাহ্যিকভাবে নানা কিছু করে আপনি সেটাকে বাড়াতে পারবেন। তবে কেবল বাহ্যিক উপায়ের ওপর ভর করলে মোটেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জেনে নেওয়া যাক, বয়স ত্রিশ পার করেও যেভাবে অক্ষুণ্ন রাখবেন ত্বকের গ্লো।

ত্রিশের
ত্রিশের পরেও ত্বকের ‘গ্লো’ অটুট রাখবে যেসব খাবারগুলি

পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।ত্বক গ্লো করার প্রধানতম শর্ত হলো ত্বকে পানি থাকতে হবে। আলো ত্বকের সেই পানিতে প্রতিবিম্বিত হলে ত্বক চকচক করে। ত্বক যদি হাইড্রেটেড থাকে, ত্বকে যদি পর্যাপ্ত পানি আর খনিজ পদার্থ থাকে, তাহলে ত্বক গ্লো করবে। সে কারণে ডাবের পানি, ফল ও পানিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পনিতে একটু পিঙ্কসল্ট মিশিয়েও খেতে পারেন। পিঙ্কসল্টে ৮২ ধরনের খনিজ উপাদান পাওয়া গেছে।

ত্বকের কোলাজেন ভালো রাখতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের কোন গুরুত্ব নেইত্বকের ঘনত্ব ও নিবিড়তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য। আর ত্বকের ঘনত্ব নির্ভর করে কোলাজেন প্রোটিনের ওপর। বয়স ত্রিশের পর থেকে প্রতিবছর গড়ে ১ শতাংশ করে কোলাজেন উৎপাদন কমতে থাকে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের মানও কমতে থাকে। এ কারণে ত্বকে ভাঁজ পড়তে থাকে। অথচ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশ, যেমন চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশের মানুষের তারুণ্যোজ্জ্বল ত্বকের অন্যতম রহস্য কোলাজেন ডায়েট। তারা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখে, যা শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় এসব দেশের নাগরিকদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশি তরুণ দেখায়।

কী খেলে কোলাজেন বাড়ে

গ্লাইসিন ও প্রোলিন—এ দুই অ্যামাইনো অ্যাসিড মিলে শরীরে প্রোকোলাজেন তৈরি হয়। আর সব প্রক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে থাকে ভিটামিন সি এবং কপার। তাই কোলাজেন ডায়েটে এই চার পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে।

গ্রাইসিন: সবচেয়ে বেশি গ্লাইসিন পাওয়া যায় জেলাটিন, হাড়ের ব্রথ বা স্টক, মুরগি, হাঁস বা টার্কির চামড়ায়। এ ছাড়া অন্যান্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারেও গ্লাইসিন পাওয়া যায়।

প্রোলিন: ডিমের সাদা অংশ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কিছু শাকসবজি, যেমন বাঁধাকপি, ব্রকলি, বাঁশকোঁড়ল, মাশরুম, সামুদ্রিক শেওলা, পাটশাক, পালংশাক প্রোলিনের উৎকৃষ্ট উৎস।

ভিটামিন সি: লেবু ও বেরি-জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, স্কোয়াশ, টমেটোতেও অনেক ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

কপার: কলিজা, বাদাম, ডাল বা বিচি, কোকো পাউডার ও ডার্ক চকলেট কপারের সহজ উৎস।

এই খাদ্যতালিকায় আরও যুক্ত করতে হবে গরু ও মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, গাঢ় সবুজ শাক, ট্রপিক্যাল ফল—যেমন পেঁপে, পেয়ারা, নারকেল, কাঁঠাল, আম, লিচু, ড্রাগন ফল, আনারস, কামরাঙা—রসুন, ধনেপাতা, অ্যাভোকাডো, টফু, অ্যালোভেরা ইত্যাদি। ত্বকের কোলাজেনের মান ভালো রাখতে দেশীয় মসলা আদা ও হলুদের জুড়ি নেই।

সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলবেন অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড ও ফার্স্ট ফুড।

হলুদ ব্যবহার করছেন মুখে? জানুন ৫ টি ভুল

ফেসবুক পেজ

 

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

ব্রণ

পিঠ ভরে গিয়েছে ব্রণ? খরচ না করেই ঘরোয়া উপকারে মিলবে মুক্তি!

অষ্টমীর দিন পিঠখোলা ব্লাউজ পরে কেতা তো দেখাতেই হবে। কিন্তু সেই সময় যদি পিঠে জ্বলজ্বল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *