পুরুষের যে কয়টি বৈশিষ্ট্য নারীর চোঁখে ব্যক্তিত্ববান করে তোলে । নারী মনে মনে বিশ্বাস করে যে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ কখনোই তাঁকে আঘাত করবেন না, বাজে ব্যবহার করবেন না এবং এমন পুরুষের সাথে তিনি নিরাপদ থাকবেন । একজন পুরুষের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নারীদের তীব্র ভাবে আকর্ষণ করে থাকে ।
পুরুষের চেহারা কিংবা অর্থের চাইতেও নারীকে বহুগুণে বেশী আকর্ষণ করে পুরুষের ব্যক্তিত্ব । নারীর চোখে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষের আবেদন যতখানি বেশী, তেমন আর কারোরই নেই ।
জানতে চান, পুরুষের যে কয়টি বৈশিষ্ট্য নারীর চোঁখে ব্যক্তিত্ববান করে তোলে ?
১। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হবে ধৈর্যশীল ও হাসিখুশি। সমাজে দশ জনের সামনে অত্যন্ত মার্জিত হবে তার ব্যবহার।
২। ব্যক্তিত্ববান পুরুষেরা সবসময় ঈর্ষা বাদ দিয়ে অন্যকে সহযোগিতা করতে পছন্দ করেন। এবং নারীদের চোখে এটি খুব ভালো একটি গুণ।
৩। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ সবসময় নারীদের সম্মান দিয়ে কথা বলে। আর যারা সম্মান দিতে জানেনা, তাদেরকে পুরুষ হিসেবেই গণ্য করেন না নারীরা ।
৪। আজও আমাদের সমাজে একজন পুরুষ তার পরিবারের প্রধান সিদ্ধান্তদাতা। ভালো মন্দ সব কিছুই তিনি দেখাশোনা করেন।
তার কাঁধে দায়িত্ব থাকে পরিবারের সকলকে সুখী রাখা।
এবং এই কাজ নিষ্ঠার সাথে যারা করতে পারেন, নারীর চোখে তারাই ব্যক্তিত্ববান পুরুষ।
৫। একজন নারী যার ওপরে চোখ বুজে নির্ভর করতে পারেন, নারীর কাছে তিনিই ব্যক্তিত্ববান। নারী সবসময় ভরসার স্থান খোঁজেন।
৬। কেবল মানসিক ভাবে নয়, শারীরিক আঘাত বা লাঞ্ছনা থেকেও যে পুরুষটি নিরাপত্তা দিতে পারেন, প্রেমিকা বা স্ত্রীর চোখে তিনি রীতিমত সুপারম্যান।
৭। তিনি কাউকে নিয়ে নোংরা উপহাস করেন না, আগ বাড়িয়ে গায়ে পড়ে কারো সাথে আলাপ করতে জান না।
৮। তাঁকে কিছুই বোঝাতে হয় না, তিনি নিজের মত বুঝে নেন প্রিয় নারী ও পরিবারের মনের খবর। নিজের আগ্রহেই খেয়াল রাখেন চাওয়া-পাওয়ার।
৯। ব্যক্তিত্ববাণ পুরুষ সঙ্গিনীকে কেবল নারী হিসাবেই দেখেন না, নিজের একজন ভালো বন্ধু ভাবেন ও সুখ-দুঃখ-কষ্টের কথা বিনিময় করেন।
১০। মানুষের ভুল হতেই পারে। কিন্তু নিজের ভুল সঙ্গিনীর ওপরে চাপিয়ে না দিয়ে শুধরে নিতে জানেন একজন ব্যক্তিত্ববাণ পুরুষ।
১১। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ জানেন নিজেকে সামলে নিতে। জীবনের কোন ঝড় ঝাপটাই তাঁকে টলাতে পারেন না।
প্রচণ্ড ঝগড়ার পরিস্থিতিতেও নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারান না তিনি ।
১২। পুরুষরা নিজের পরিবার ও সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু । সন্তানদের চোখে তিনি আদর্শ পিতা
১৩। তারা কখনোই খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন না। মেয়েদের সামনে তো মোটেও না ।
১৪। ব্যক্তিত্ববাণ পুরুষ অযথা কারো সাথে ফ্লাট করেন না, কোন মেয়েকে উত্যক্ত করার তো প্রশ্নই আসে না । প্রেম করার জন্য ডেস্পারেট আচরণ করেন না মোটেও ।
১৫। পুরুষরা যখন নিজের ভালোবাসার মেয়েটিকে পেয়ে যান, নিজের জীবনের কেন্দ্র বিন্দুতে তাকেই রাখেন এবং একসাথে সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন ।
একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ অবশ্যই নিজের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল ।
চোঁখে চোঁখ রাঙ্গান নানা সাঁজে
আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
ফেসবুক পেজ
আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।