Friday , 20 September 2024

বাবা দিবস আজ

বাবা দিবসের ভালোবাসা সবাইকে। ওয়াশিংটনের স্পোকাসে সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারী ছিলেন। তার বিপত্নীক বাবা ছয় মেয়েকে লালন-পালন করেছিলেন। আর বিয়ে থা করেননি। বাবার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ভালোবাসার প্রকাশস্বরুপই সোনোরা বাবা দিবসের প্রচলন করেন। কাজটি সহজ ছিল না। এই দিবসকে উদযাপনের উপলক্ষ্য করতে স্থানীয় চার্চ এবং ওয়াইএমসিএ-তে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে হয় তাকে। প্রশাসনের তরফে তিনি দ্রুতই সাফল্য পান। ১৯ জুন বাবা দিবস ঘোষণা করা হয় ওয়াশিংটনে।

বাবা
বাবা দিবস আজ

১৯১৬ ও ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট উইলসন ও ক্যালভিন কুলিজ নতুন এই ধারণায় খুশি হয়েছিলেন। তবে এই দিবসকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে যখন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন এই দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। তবে একমাত্র ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বাবা দিবস উদযাপনের সাফল্য এনে দেন। আস্তে আস্তে এই দিবস সারা বিশ্বেই পরিচিতি পায়।

যুক্তরাষ্ট্রে আচমকা বাবাদের হারিয়ে যাওয়ার বেদনাকাতর গল্পের অভাব নেই৷ পরিবারের দায়িত্ব নিতে না চাওয়া বাবারা আচমকা হারিয়ে যান। ফলে অনেকের শৈশব কাটে বাবার শূণ্যতায়। আমেরিকার বিস্তৃত, বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ডে বাবার সঙ্গে পর্বতে ক্যাম্প করা কিংবা মাছ ধরার অভিজ্ঞতার বর্ণনাও কি স্টেইনবেকে নেই? আছে। বাবাকে তাই সারাজীবন ক্ষত হিসেবে দেখা অনেক আমেরিকান তাও আকাঙ্ক্ষা করেন বাবাকে। গোটা বিশ্বের অন্যত্র তা একটু ভিন্ন।

এই দিবসকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখন গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করে। ইউরোপে পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে সারপ্রাইজ দেওয়া বা বাবাকে উপহার দেওয়ার হিসেবটিই থাকে কয়েকদিন আগে। বাবাকে একটু বিশেষ করা। ইউটিউবে গেলে এমন অনেক আবেগঘন ভিডিও দেখা যাবে।

এই দিবসকে অত সফলভাবে এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ ফুল বা উপহার বিতরণের মধ্যে পুরোষোচিত ভাবটি থাকে না। বাণিজ্যিকভাবেও উৎসবটি অত দারুণ নয়। তারপরও বিশ্বের অনেক স্থানে বাবা দিবস এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়ার এই অঞ্চলে বাবা মহীরুহ। আফ্রিকাতেও বাবা বুড়োটে হলেও তাকে যে সম্মানের স্থানে রাখা হয় তার আবেগ এই দিবসকে রঙিন এখনও করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফিডে তা পাওয়া যায়। দেখা যায়, বাবা কতটা বড় ছায়া। বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখেন। এই দিবসে তাই বাবাকে একটু বিশেষ ভাবনায় রাখার বিষয়টি থাকে। আমাদের দেশেও এই ট্রেন্ড আছে। অত জোরদার না। তবে বাবার সঙ্গে এক ধরনের সম্মানগত দূরত্ব থেকেই সবাই দিনটি উদযাপন করে।

এই দিবসে আর কি করার আছে? বাবার সঙ্গে আলাপ করুন। তাকে বলার প্রয়োজন নেই কতটা আশ্রয় পাচ্ছেন। জানান, আপনি আছেন। আর যার নেই তিনি স্মৃতিতে সুন্দর বেছে নিতে পারেন। সুন্দর করে নেওয়াটাই ত মূল এই দিনে।

উৎসব শেষে ফিট থাকতে যা করণীয়

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

চিনি

চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে ঘটবে যে পরিবর্তন

এখন কমবেশি অনেকেই প্রায় প্রত্যেকদিন চিনি খেয়ে থাকেন। বাড়িতে বানানো চা কিংবা প্রায় নাস্তায় কমবেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *