মানুষ মানুষের জন্যে কথাটা সত্য। বন্যা নিয়ে সবার কপালেই তখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ভাবছিলেন, কী করা যায়। বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচটি (৪৭তম আবর্তন) ঘোষণা দেয়, বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হবে। শুরু হয় টাকা তোলার কাজ।
শিক্ষার্থীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে চলে যায়। আরেক দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নেয়। লোকাল ও দূরপাল্লার বাস থেকে টাকা তুলতে থাকে তারা। কয়েকজন পথচারীও এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান খান বলেন, ‘প্রতিটি বাসে উঠেই সাহায্য চেয়েছি। অবাক করা বিষয় হলো, এমনও হয়েছে যে একজন লোকই দুই হাজার টাকা দিয়েছেন৷ পাঁচ শ, দুই শ, এক হাজার করেও দিয়েছেন কেউ কেউ।১০ টাকাও পেয়েছি, তবে সেটা একদমই কম।’
২২ আগস্ট বেলা ১টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম। এর মধ্যেই ৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৮১ টাকা সংগ্রহ করেন তাঁরা। আর অনলাইনে আসে আরও প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। কম সময়ে এত টাকা তোলা কীভাবে সম্ভব হলো? আবিদ হাসান খান বলেন, ‘আমার মনে হয় মূল শক্তিটাই ছিল একতা। আমরা ভেবেছিলাম রাত পর্যন্ত কাজ করলে হয়তো ৮০ হাজার টাকার মতো তুলতে পারব। সেভাবেই পরিকল্পনা এগোচ্ছিলাম। কিন্তু মানুষ যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, এটা অকল্পনীয়।’ এরই মধ্যে পুরো টাকা ফেনীতে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রঃ প্রথম আলো
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।