বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চার উচ্চতা ঠিকঠাক না বাড়লে মা-বাবার মনে ওঠে চিন্তার ঢেউ। তারা বুঝতে পারেন না ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তানের ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে। তাই তারা যেখানেই যা দেখেন বা শোনেন, তাই সন্তানের ওপর প্রয়োগ করেন। আর তাতে সমস্যা বাড়ে।
যেসব খাবার সন্তানের উচ্চতা বাড়াবে
তাই এই ভুলটা এবার থেকে আর করবেন না। তার বদলে সন্তানের ডায়েটে জায়গা করে দিন কয়েকটি উপকারী খাবার। তাতেই তার উচ্চতা হু হু করে বাড়বে। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকবে সন্তান।
এবার জিজ্ঞেস করতেই পারেন, ঠিক কোন কোন খাবার তার ডায়েটে রাখলে দ্রুত সেরে উঠবে সে? সেই উত্তর জানতে ঝটপট পড়ে নিন এই প্রতিবেদন। তারপর এসব খাবার সন্তানকে প্রতিদিন খাওয়ান।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার:
সন্তানের যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে, তাহলে তাকে প্রতিদিন দুধ খাওয়াতেই পারেন। কারণ, এই পানীয়তে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই।
সেই সঙ্গে এতে ভরপুর ক্যালশিয়ামও রয়েছে। আর ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম উচ্চতা বাড়ানোর কাজে একাই একশ। তাই আজ থেকেই তাকে গরুর দুধ খাওয়ান। আর সে দুধ খেতে না চাইলে দই, পনির, ছানার মতো দুগ্ধজাত খাবারও রোজ খাওয়াতে পারেন। তাতেও উপকার মিলবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
হোল গ্রেইন:
সন্তানের উচ্চতা বাড়াতে চাইলে তাকে গোটা শস্য খাওয়াতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন বি, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরিও রয়েছে। যার কারণে হোল গ্রেইন খাবার খেলে দ্রুত উচ্চতা বাড়ে বাচ্চাদের। সেই সঙ্গে দূর হয় পুষ্টির ঘাটতি। তাই আজ থেকেই তার খাবারে ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, হোল গ্রেইন পাস্তার মতো খাবারগুলোকে জায়গা করে দিন। তাতেই হাতেনাতে উপকার মিলবে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদেরা।
রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পেয়েছে যে লক্ষণে বুঝবেন
প্রতিদিন কাজল দিলে চোখে হতে পারে যে ক্ষতি
ডিম:
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, যা পেশি গঠনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কুসুমে মজুত ভিটামিন বি২ বা রাইবোফ্লাভিন উচ্চতা বাড়াতে পারে। তাই ছোট্ট সোনার রোজের ডায়েটে ডিম রাখতে ভুলবেন না যেন! আর অবশ্যই তাদের গোটা ডিম খাওয়ান। এক্ষেত্রে ২টি গোটা ডিম খাওয়ালেও সমস্যার কিছু নেই।
সয়াবিন:
আপনার সন্তানের ডায়েটে যত দ্রুত সম্ভব সয়াবিনকে জায়গা করে দিন। আসলে এই উদ্ভিজ্জ খাবার হলো প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হাড় ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এতে কিছুটা পরিমাণে ক্যালশিয়ামও থাকে। যার ফলে সন্তানের উচ্চতা বাড়তে সময় লাগে না। তাই সন্তানের ডায়েটে অন্ততপক্ষে ৫০ গ্রাম সয়াবিন রাখতে ভুলবেন না।
শাক:
সন্তান শাক দেখলেই নাক সিঁটকায়। কিন্তু তারপরও তাকে নিয়মিত শাক খাওয়াতে হবে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি খনিজ ও ভিটামিন। আর এসব উপাদান ছোটদের হাইট বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও মিটিয়ে দেয়।
সূত্র : এই সময়
বউ-শাশুড়ির মধুর সম্পর্ক করবেন যে উপায়ে
রূপচর্চায় জবা ও গোলাপ ফুলের ব্যবহার
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।
