Sunday , 10 November 2024

ওরাল সেক্স পজিশন 69 কি ?

ওরাল সেক্সে ছেলে এবং মেয়ে পরস্পরের সেক্সুয়াল অর্গান গুলো স্টিমুলেট করে মুখ দিয়ে। এভাবে স্টিমুলেট করার মাধ্যমে tripi লাভ করাই ওরাল সেক্স। এই স্টিমুলেশন দুইজন আলাদা আলাদা ভাবে দুইজনকে দিতে পারে আবার একই সময়ে দিতে পারে। ওরাল সেক্সের বিভিন্ন পজিশন আছে। তবে দুইজন একই সাথে দুইজনকে ওরাল দেওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ভাল পজিশনটা হল পজিশন সিক্সটি নাইন।

 

এই পজিশনটার নাম সিক্সটি নাইন হওয়ার কারণ তো সবাই ধরতেই পারছেন। সিক্স অঙ্কটির গোল অংশটিকে যদি একজনের মাথা, আর উপরের অংশটিকে তার পা ধরা হয়, তবে সিক্স এবং নাইন হিসাবে দুইজন মানুষ পরস্পরের উল্টা দিকে মুখ দিয়ে থাকে। এবং এতে একই সাথে দুইজন দুইজনকে ওরাল দিতে পারে।

জেনে নিন ওরাল সেক্স কি ? এটি করা কি ক্ষতিকর ?

এই পজিশনে মেয়েটি ছেলেটিকে ব্লোজব দেওয়ার মাধ্যমে হর্নি করে তোলে আর ছেলেটি মেয়েটিকে ভ্যাজায়নাল ওরাল দেয়। এভাবে দুইজনের অঙ্গ গুলো একই সাথে স্টিমুলেটেড হয়। সিক্সটি নাইন পজিশনে বিভিন্ন ভাবে করা যায়।

 

মেয়ে উপরে ছেলে নিচে: এই পজিশনে ছেলেটি শুয়ে থাকে, তার ঘাড়ের দুই দিকে পা দিয়ে মেয়েটি তার উপর উল্টা করে শোয়। এভাবে মেয়েটির ভ্যাজায়না উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভালমত সাক করা যায়। মেয়েটি ইচ্ছা হলে ভ্যাজায়না ছেলেটির মুখে আরও চেপে দিতে পারে যদি সে আরও ডিপে সে সাক করুক তা চায়। এভাবে ছেলেটি তার অ্যানালও সাক করতে পারে। এ পজিশনে মেয়েটার কন্ট্রলই বেশি থাকে। সে ইচ্ছা মত তার হাটু গেড়ে উপরে উঠতে পারে আবার ছেলেটার মুখে বসতে পারে। এবং সেও তার সুবিধা মত পেনিস সাক করতে পারে। টেস্টিকেলস গুলোকে আদর করতে পারে। তবে যদি মেয়েটির ওজন ছেলেটির থেকে বেশি হয় তবে ছেলেটির জন্য তা শ্বাসরুদ্ধকর হতে পারে। আর এ পজিশনে ছেলেদের তেমন কন্ট্রল থাকে না।

জেনে নিন ওরাল সেক্স বা মুখমেহন সম্পর্কে ইসলাম ধর্ম কি বলে?

 

ছেলে উপরে মেয়ে নিচে: এক্ষেত্রে ছেলেটি মেয়ের উপরে থাকে। এখানে ছেলেদের কন্ট্রল বেশি থাকে। এই পজিশনে মেয়ের ক্লিটরিসের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসা যায়। অন্য দিকে পেনিসও মেয়েটির মুখে ইচ্ছা মত ঢুকানো যায়। এই পজিশনে মেয়েরা ছেলেদের সেন্সিটিভ জায়গাগুলো সহজেই নাগালে পায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের তুলোনায় ছেলেদের ওজন বেশি থাকায় এ পজিশনটা মেয়েদের জন্য বেশ কষ্টকর। তাছাড়া পেনিস মুখের ভেতর বেশি ঢুকে গেলে দম বন্ধ ভাব হতে পার।আর এখানে মেয়েদের কন্ট্রল থাকে না। ফলে তার অর্গাসোম লাভে অসুবিধা হতে পারে। আর ছেলেটিরও সব সময় নিজের ওজন যেন মেয়েটির উপরে না পরে সে দিকে লক্ষ রাখতে হয়। তাই এই পজিশনটা তেমন আরামদায়ক না।

পাশাপাশি: এটি 69 এর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক পজিশন। এখানে ছেলে মেয়ে দুইজন পাশা পাশি শুয়ে থাকে এবং দুইজন দুইজনের উল্টা দিকে মাথা দিয়ে থাকে। এভাবে মেয়েটি সাধারনত তার পা ছেলেটির কাধের উপর তুলে দেয়। এভাবে কারও ওজনই কারও উপর পরে না। আর এভাবে ছেলেটি মেয়ের ভ্যাজায়নার সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকতে পারে। এবং দুইজনই দুইজনের সুবিধামত ওরাল দিতে পারে। এখানে কেউই কাউকে ডমিনেট করে না। এরকম পজিশনে মেয়েটির গায়ে সহজেই হাত বুলানো যায়, ব্রেস্ট নিপল ধরা যায়। সাথে ওরালও দেওয়া যায়। আবার মেয়েটিও মজা করে পেনিস খেতে পারে।

 

দাঁড়িয়ে: এই পজিশনটা বেশ অদ্ভুত, তবে কিছু ক্ষেত্রে বেশ মজারও। এই পজিশনে ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকে এবং সে মেয়েটিকে উল্টা করে ঝুলিয়ে রাখে, মেয়েটা তার ঘাড়ে দুই পা দিয়ে জড়িয়ে রাখে। এভাবে মেয়েটা ঝুলে ঝুলে পেনিস সাক করতে পারে। এক্ষেত্রে ছেলেটির যথেষ্ট শক্তিবান হতে হয়।

এই পজিশনটা অল্প কিছু সময়ের জন্য মজার হলেও বেশিক্ষন এভাবে থাকলে ছেলেটির মাসেল ব্যথা হয়ে যায় এবং মাথায় রক্ত উঠে যায় মেয়েদের। ফলে এটা আরাম দায়ক নয়। তবে মাঝে মাঝে বৈচিত্রময় সেক্সের জন্য কিছুক্ষণের জন্য এটা করা যায়।

 

69 পজিশন নিয়ে অনেকেরই অনেক দ্বিমত আছে। অনেকেই ওরাল সেক্স পছন্দ করে না, এবং মনে করেন এভাবে দুইজন দুইজনকে ওরাল দেওয়া টা একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। তাদের জন্য বলি, এই পজিশনটা ঠিক মত করতে পারলে তা অনেক বেশি মজার হতে পারে দুইজনের জন্যই। তবে এতে কিছু ব্যপার লক্ষ রাখা বাঞ্চনিয়।
– এই পজিশনে ভ্যাজায়না ও পেনিস পরস্পরের কাছে অনেক উন্মুক্ত থাকে। এখানে ছেলেটি যেমন মেয়েটির ক্লিটরিস ছাড়াও, অন্যান্য জায়গা ও অ্যানাসকে স্টিমুলেট করতে পারে তেমনি মেয়েটাও ছেলেটির টেস্টিক্লস অ্যানাস ইত্যাদি জায়গাকে সহজেই মজা দিতে পারে। অনেকের 69 পছন্দ না করার এটা একটা কারণ যে সে কারও কাছে সেক্সুয়াল রিলেশনেও এতটা উন্মুক্ত হতে চায় না। তবে পার্টনারের উপর বিশ্বাস থাকলে এই উন্মুক্ত অবস্থাটাই অনেক বেশি মজার হয়ে উঠবে।

অনেকের কাছেই একই সাথে নিজে উপভোগ করা ও সঙ্গিকে মজা দেওয়াটা কঠিন মনে করে। অনেকের মতে তাতে সে নিজের মজাটাও ঠিক মত পেতে পারে না এবং সঙ্গিকেও মজা দিতে পারে না ঠিক করে। এটা কয়েকবার অভ্যাস করলে ঠিক হয়ে যায়। তবে যাদের একেবারেই ভাল লাগে না তাদের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ওরাল দেওয়াই ভাল।
– এসময় দুইজনই অনেক বেশি হর্নি হওয়ার কারনে একজনের প্রতি আরেকজনের মনযোগ কমে যেতে পারে, নিজের মজা কে প্রাধান্য দিতে। তাছাড়া মেয়েদের অর্গাসোম লাভ করা টা বেশ জটিল হওয়ায় সামান্য পজিশন চেঞ্জেও তাদের অসুবিধা হতে পারে। সে ক্ষত্রে প্রথমেই দুইজনের সুবিধা মত একটা পজিশন ঠিক করে নেওয়া ভাল। আর বেশ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে একে অন্যকে এরৌসড করলে দুইজনই সমান মজা পায়।
– অনেক সময়ই মেয়েরা অনেক বেশি হর্নি হলে আচড়ে কামড়ে ফেলে। ওরাল সেক্সের সময় ছেলেদের সেসব জায়গায় তা করতে যাওয়াটা ভয়াবহ হবে। তাই মজা পেতে পেতে অমনযোগী হওয়া চলবে না। এবং দুইজনেরই মনে রাখতে হবে দুইজনের খুব সেন্সিটিভ জায়গা দুইজনের কাছে।

 

জেনে নিন কীভাবে ওরাল সেক্সকে (oral sex ) নিরাপদ করা যায়?
– ওরাল সেক্সের সময় অবশ্যই প্রয়োজন মত হাতের ব্যবহার করা যায়। মেয়েরা যেমন হ্যান্ড জব দিতে দিতে ওরাল দিতে পারে, তেমনি ছেলেরাও ফিঙ্গারিং(১),(২) করে ওরাল দিলে মেয়েরা অনেক বেশি মজা পায়। এছাড়া হাত দিয়ে শরীরের অন্যন্য স্থান স্পর্শ করলেও এই পজিশনটা আরও মজার হয়ে ওঠে।
– পাশাপাশি হলে দুইজনই বালিশ মাথার নিচে দিয়ে শুলে আরামদায়ক হয় ব্যপারটা। অন্যদিকে ছেলে নিচে থাকলেও মাথার নিচে তার একটা বালিশ থাকলে কষ্ট করে মাথা উচু করে ভ্যাজায়না পর্যন্ত পৌছাতে হয় না। ফলে অনেকক্ষণ ধরে আরাম দায়ক ভাবে এটি করা যায়।

– অনেকেই বোঝে না সিক্সটিনাইন পজিশনে কিভাবে যেতে হবে প্রথমে। এর কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। এমন হতে পারে সঙ্গিনী আপনার দিকে দুই পা দিয়ে বসে আছে আর আপনি তাকে ওরাল দিচ্ছেন, তখন সে উল্টা দিকে ঘুরে আপনাকে ওরাল দেওয়া শুরু করতে পারে। আবার সে যদি পাশ ফিরে শুয়ে থাকে তবে আপনি পেনিসটা তার মুখের দিকে দিয়ে তাকে ওরাল দেওয়া শুরু করতে পারেন। সে হর্নি হলে নিজেই আপনার পেনিস সাক শুরু করবে।
– 69 ছাড়া যদি আলাদা আলাদা পরস্পরকে ওরাল দিতে চান তবে তার জন্য বিভিন্ন রকম পজিশন আছে। ব্লোজবে ছেলে দাঁড়িয়ে শুয়ে এমনকি খাটে বসেও থাকতে পারে। মেয়েটি মাটিতে বসে, বা তার উপর এসে তাকে ওরাল দিতে পারে। আবার মেয়েকে টেবিলে বসিয়ে পা ফাক করেও ওরাল দিতে পারেন। নতুন নতুন পজিশন বের করুন। সেক্সে মজা পাবেন।

 

Spread the love

Check Also

সহবাস

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে ভুল ধারণা

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *