মোটা কাপড় মোটা ভাত বাংঙালির ঐতিহ্য। শাড়ি বাঙালি নারীর সাথে ওতপ্রেতোভাবে জড়িত।আধুনিকতা যদি বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে জায়গা দখল করে নিয়েছে তবুও শাড়ির স্থান কিন্তু ঠিকই আছে।ছোট বড় সব নারীদের গায়ে শোভা পায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রঙবেরঙের শাড়ি ।বাঙালি মায়াবীনিদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে শাড়ি।এমন অনেকে আছেন যে, এখনও শাড়ি পরার কৌশল রপ্ত করতে পারেননি। তাই অনেক সময় হাতের কাছে পরিয়ে দেয়ার মানুষ না পেলে পছন্দের শাড়িটি আকাঙ্খিত অনুষ্ঠানে পরতে পারেন না। তখন শুকনো মুখে অন্য কোন ড্রেস পরে অনুষ্ঠানে গিয়ে গাল ফুলিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। শাড়ি পরার পদ্ধতি নিয়েই আজকের আয়োজন।
প্রথমে নির্বাচন করুন পছন্দের শাড়িটির সঙ্গে কোন জুতা পরবেন। জুতা নির্বাচন করাটা প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ জুতার হিলের ওপর নির্ভর করবে আপনার শাড়ির লেন্থ কত টুকুতে পৌঁছাবে। শাড়ি পরার আগে তার সাথে ম্যাচিং পেটিকোট পরুন আর শাড়ির লেন্থের সাথে মিল রেখে পেটিকোটের লেন্থ রাখুন।
কোমরের চারপাশে শাড়ি গুঁজতে হবে:
শাড়ির আঁচলের অপর প্রান্ত কোমরের সাথে জড়াতে থাকুন। এমন ভাবে করুন যেন শাড়ির আঁচল বাইরের দিকে থাকে। একবারে গুঁজে ফেলতে চেষ্টা করুন, তানাহলে শাড়ি পরাটা অগোছালো দেখাবে। এইভাবে পুরো কোমরে একবার শাড়ি জড়িয়ে নিন।
কুঁচি দেয়ার পালা:
এইবার আরেকবার শাড়িটি নাভির বাম পাশ দিয়ে কোমরের সাথে পেঁচিয়ে নিন কিন্তু নাভির ডান পাশে এসে থেমে যাবেন। শাড়িটি এবার বাম হাতের তালু দিয়ে ধরুন আর একটি একটি কুচি দিতে থাকুন। এভাবে ৫-৬ টি প্লিট দিবেন। তারপর সব গুলো প্লিটের মাথা এক সঙ্গে নিয়ে একবারে পেটিকোটের ভিতর গুঁজে ফেলুন।
প্লিটগুলো গুছিয়ে নিন:
সবগুলো প্লিট একসাথে করে সেফটিপিন দিয়ে পিন করলে সুন্দর ভাজ হয়ে থাকবে। নাভি থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে পিন লাগাবেন।
আঁচল ঠিক করুন:
বাকি শাড়িটা এবার বাম কাঁধের উপর ছড়িয়ে দিয়ে সুন্দর ব্রুজ বা পিন লাগিয়ে দিন।
সব কিছুই প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী কয়েকবার শাড়ি পরুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি এটাতে এক্সপার্ট হয়ে উঠেছেন। তখন নিজের শাড়ি নিজে তো পরবেনই সাথে অন্যদেরও পরিয়ে দিতে পারবেন।
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন সমস্যার জন্য এখানে কমেন্ট করে জানান। তাছাড়া অপনারা কোন ধরণের পোষ্ট চান তাও জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ