শীতকাল আসলেই ত্বক অনেকটা সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শীতের বাতাস ও শুষ্কতা ত্বকে মেছতার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। মেছতা বা স্কিন ট্যানের কারণে ত্বক তমুজ ও অস্বাভাবিক রঙ ধারণ করে, যা দেখতে খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায় এবং সঠিক পরিচর্যায় মেছতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন, শীতে মুখে মেছতা হলে কী করতে হবে, তা জানি।

শীতে মুখে মেছতা হলে কি করবেন?
১. আদা ও মধু
আদা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আদার রস ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি দিনে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাবেন।
২. লেবুর রস
লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস সরাসরি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং পরবর্তীতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে এবং মেছতা হালকা করবে।
৩. টমেটো প্যাক
টমেটো ত্বকের রং উন্নত করতে খুবই কার্যকর। এতে থাকা লাইকোপিন নামক উপাদান ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। টমেটো স্লাইস করে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মেছতা কমাতে সাহায্য করবে।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন গায়ে মাখুন রোদ!
৪. মধু ও দারুচিনি প্যাক
মধু এবং দারুচিনি একসঙ্গে মেশালে তা ত্বকের ট্যান দূর করতে সহায়ক। ১ চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি মেছতা দূর করতে সহায়ক।
৫. সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যা মেছতার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ত্বককে আর্দ্র রাখবে। ত্বককে সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ত্বকের শুষ্কতা মেছতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬. সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত ট্যানিং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এবং ত্বককে সুস্থ রাখবে।
যেসব রোগের কারণে মুখের বিভিন্ন স্থানে ব্রণ হয় দেখে নিন
প্রাকৃতিক উপায়ে ভ্রু ঘন করুন ঘরে বসেই
৭. পানির পরিমাণ বাড়ান
শীতে পানি পান কম হয়ে যায়, কিন্তু ত্বককে সজীব ও আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে আর্দ্রতা বজায় রাখা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
শীতে মুখে মেছতা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও উপরের কিছু ঘরোয়া উপায় ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনি এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নিয়মিত এই অভ্যাসগুলো অবলম্বন করলে ত্বক থাকবে সুন্দর ও সতেজ। তবে যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে একজন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এরপরও আপনাদের কোন প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।