বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় স্মার্টফোনের মধ্যে অন্যতম হলো আইফোন । Apple কোম্পানি প্রতিনিয়ত আইফোন এর নতুন নতুন মডেল বাজারে নিয়ে আসে । বিশেষভাবে বলতে গেলে এর ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেজ ও স্ম্যাপি পারফরম্যান্স এর জন্য বেশি জনপ্রিয় । Apple কোম্পানি প্রতিবছরই নতুনত্ব আনার জন্য চেষ্টা করে যেটা টেক লাভারদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে । আইফোন বরাবরের মতই তার ক্যামেরা , ডিজাইন এবং নিরাপত্তা ফিচার এর জন্য জনপ্রিয় । একটি মডেলের পর যখন আর একটি মডেল বাজারে আসে সেটি নতুন প্রযুক্তির সাথে আপডেট হয় ,উদাহরন হিসাবে বলা যায় 5G , উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি এবং উন্নত প্রসেসর । আইফোন পরিচালিত হয় ios অপারেটিং সিস্টেমে যে কারণে এর ব্যবহার হয় খুবই সহজ এবং স্মুথ । এর সিস্টেম অপটিমাইজেশন অন্যান্য ফোনের তুলনায় অনেক ভাল , আর ব্যাটারি লাইফ এবং পারফরম্যান্স বেশ ভাল । এই ফোনের মার্কেট ভ্যালু অনেক বেশি হওয়ার পরও এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক কেননা এর লং টার্ম ভ্যালু অনেকের কাছে সন্তুষ্টিদায়ক । চলুন এবার একনজরে দেখে নেয়া যাক আইফোন -১৬ এ কি কি ফিচার রয়েছে——
*ডিজাইন :
প্রতিটা নতুন ভার্সনে কিছু না কিছু নতুন আপডেট বা নতুন ফিচার যুক্ত হয় । কিন্তু i phone 16 Pro তে অ্যাপল আগের ডিজাইনে পরিবর্তন আনেনি । তারা আগের প্রিমিয়াম ডিজাইনটি রেখেছে । যেটি তৈরিতে টাইটানিয়াম ফ্রেম এর ব্যবহার করেছে যেটা ফোনটিকে আল্টা -থিন এবং হালকা করেছে । এর বিল কোয়ালিটি একদমই টপ – নচ ।
*ডিসপ্লে :
Apple তার 16 Pro ভার্সনে super Retina XDR OLED Display ব্যবহার করেছে । ডিসপ্লের সাইজ 6.3 ইঞ্চি করেছে সেটা iPhone 15 Pro এর 6.1 এর থেকে বড় এবং ইউজার ফেন্ডলি । এতে রয়েছে Promotion 120Hz – রিফ্রেশ রেট যেটা ফোনের স্ক্রোলিং এবং অ্যানিমেশনকে অত্যন্ত মসৃন করে ।
*ক্যামেরা :
আইফোন ১৬ প্রো – তে ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করেছে যেখানে প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে রয়েছে 48 MP ক্যামেরা, 12 MP আল্ট্রা ওয়াইড এবং ও x টেলিফটো লেন্স । এটি আপনাকে সব ধরনের পরিবেশে সুন্দর ছবি দিবে যার গুনগতমান নিখুঁত হবে । অন্যান্য ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট মোড , ডিপ ফিউশন, পোর্ট্রেট মোড এবং ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি । সেগুলো আপনাকে বেটার এক্সপ্যারিয়েন্স দিবে ।
*ফিচার ও সফটওয়্যার :
আইফোন তার এই ভার্সনে ios 17 ব্যবহার করেছে যেটা অনেক বেশি স্লিক এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি । এবারের নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে লক স্ক্রিন কাস্টমাইজেশন ,নতুন অ্যাপ এবং সিকিউরিটি আপডেট । আগের তুলনায় face ID ও আরও দ্রুত এবং নিরাপদ হয়েছে ।
*পারফরম্যান্স :
I Phone 16 Pro- তে রয়েছে A17 Bionic চিপ যেটা সেকেন্ড -টু – নোয়ান পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে । এ ধরনের চিপ স্ন্যাপড্রাগন 8 Gen 3 এর থেকে বেশি শক্তিশালী । ফোনটিতে ভারী ধরনের গেমিং , মাল্টিটাস্কিং এবং 4K ভিডিও সহজে এডিটিং করা যায় ।
*ব্যাটারি এবং চার্জিং :
আইফোনের পূর্বের মডেলগুলোর তুলনায় এবার ব্যাটারি লাইফ আরও কিছুটা উন্নত করেছে । আপনি পুরো দিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন যদি আপনি হালকা বা মাঝারি ইউজার হন । ফাস্ট চার্জিং সুবিধা , Magsafe প্রযুক্তির জন্য আপনি দ্রুত চার্জ করাতে পারবেন ।