ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না। মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র প্রাকৃতীকভাবে নির্ধারিত।( জেনে নিন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ১১ টি ভেষজ চিকিৎসা )এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস হিসেবে ধরা হয়।
ওষুধ বা কনডম ছাড়া যৌন মিলন করলেও সন্তান হবে না
এই দিবসগুলোতে স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন করলেও স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না। এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতি গতভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো।
এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন। আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।
ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিনগুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই যৌন মিলন করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র।
নারীদের যোনি চোষার বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নিন
মহিলাদের কনডম কি ? এই কনডম ব্যবহারের উপকার বা সুবিধা কি?
তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার যৌন মিলনের জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস। ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাঁধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাঁধ যৌন মিলন করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে।
উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাঁধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়।
এছাড়া প্রাকৃতীক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটাকে বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে যৌন মিলন বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্র্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন। জেনে নিন
ফেসবুক পেজ
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,