নখ পলিশের ব্যবহার প্রাচীন চীনে শুরু হয়েছিল। আপনি সুখ কিনতে পারবেন না, তবে নেইল পলিশ কিনতে পারবেন এবং ব্যাপারটা একই।কে বলেছিল কথাটা? না, তা জানা যায় না। তবে উক্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।সন্দেহ নেই, বক্তব্যটা হালকা চালের। তবে একেবারে ফেলনাও কিন্তু নয়।
অনেক নারীর কাছেই নখপলিশ সৌন্দর্যের এক অনন্য অনুষঙ্গ। তাঁদের মন যখন বিক্ষিপ্ত থাকে, যখন ‘মুড সুইং’ হয়, মানে মনের যখন ‘এই ভালো এই খারাপ’ অবস্থা, তখন মানসিক স্থিরতার জন্য নখপলিশ অব্যর্থ টোটকা হিসেবে কাজ করে।
একটু বেশি সাজসচেতন নারীদের কাছে তো নেইল পলিশের কদরই আলাদা। গায়ের পোশাক, হাতের ব্যাগ, পায়ের জুতা, অঙ্গের অলংকার—সবকিছুর সঙ্গে মিলিয়ে তাঁরা নখও সাজান যত্ন করে। আর এই সুন্দর নখ, তাতে বাহারি আলপনা নারীর সৌন্দর্যে যোগ করে অন্য মাত্রা।
নখ পলিশ কীভাবে এল
- প্রাচীন চীনে শুরু হয়েছিল নেইল পলিশের ব্যবহার
গবেষণা বলছে, প্রাচীন চীনে, ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রথম শুরু হয়েছিল নেইল পলিশের ব্যবহার। সে সময় অবশ্য রাজবংশের মানুষজনই কেবল এটি ব্যবহার করত। শুরুতে সোনালি ও রুপালি রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার করলেও পরে লাল ও কালো রংও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রাচীন ব্যাবিলনের সৈন্যরাও নখ রাঙাত বলে জানা যায়। এ কাজে তারা অবশ্য বিভিন্ন সবজি ও মেহেদির রং ব্যবহার করত। ১৮ শতকের শেষের দিকে ইউরোপের অভিজাত মহলে নেইল পলিশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে প্যারিসে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নেইল সেলুন’। একসময় নেইল পলিশের ব্যবহার, রঙের বৈচিত্র্য নারীদের সামাজিক অবস্থানের তারতম্য নির্দেশ করত। তবে সময়ের আবর্তে এটি এখন সাধারণ নারীদের অপরিহার্য সৌন্দর্য-উপকরণ হয়ে গেছে। - ১ জুন, নেইল পলিশ দিবস। মার্কিন এক প্রসাধনসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০১৭ সালে দিনটির চল হয়। আপনিও দিনটি পালন করতে পারেন। নারী হলে নতুন রঙে সাজাতে পারেন হাত-পায়ের নখ। পুরুষেরা প্রিয় নারীকে কিনে দিতে পারেন তাঁর পছন্দের ব্র্যান্ডের যেকোনো নেইল পলিশ।
ভালোবাসাগুলো ভালো রাখার টিপস
নিমপাতা ব্যবহার চুল ও ত্বকে জানুনফেসবুক পেজ
আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব