রুপ লাবণ্যে শসা খুবই উপকারি সবজি। এটি ত্বকের জন্য ভাল।রুপ চর্চা বা স্কিনকেয়ার রুটিনে শুধুমাত্র শসা রাখুন। অনেক উপকার পাবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। তা রুপ লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য রাখে। ত্বকে হাইড্রেটিং অনুভূতি দেয়। নিয়মিত এর ব্যবহারে আপনি নিজের আপনার ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। শসার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
-
ত্বক হাইড্রেট করে
- শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এটি ত্বককে পুষ্টি জোগায়। ত্বক হাইড্রেট করে। শসা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর নির্যাস ময়েশ্চারাইজার, টোনার এবং মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি শুষ্ক বা ডিহাইড্রেটেড ত্বকের জন্য উপকারি।
-
ব্রণ প্রতিরোধ করে
- শসা শক্তিশালী অ্যাস্ট্রিংজেন্ট হিসেবে পরিচিত। ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ছিদ্রগুলো কমাতে সাহায্য করে। ব্রণের চিকিৎসার জন্য শসা খুবই কার্যকর।
-
ত্বকের প্রদাহ কমায়
- ত্বকের প্রদাহ কমাতে শসা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্রাইটারপেনসের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্টে পরিপূর্ণ। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শসা ত্বকের প্রদাহ কমাতে খুবই ভাল ফলাফল দেয়।
-
সানবার্নের চিকিৎসা করে
- শসায় এক ধরনের শীতল অনুভব থাকে যা ত্বকের লালাভাব কমায়। ত্বকের অস্বস্তি দূর করতে পারে। জ্বালা কমাতে পারে। রোদেপোড়া যেকো দাগ দূর করতে পারে।
-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
- শসা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যা মেলানিন উৎপাদনে বাধা দেয়। মেলানিন ত্বকের ক্ষতি করে। শসা এই মেলানিনের উত্পাদন কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে। পিগমেন্টেশনকে হালকা করতে পারে।
-
ডার্ক সার্কেল কমায়
- শসাতে ভিটামিন সি থাকায় যে কোন দাগ দূর করে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। যা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। শসাতে ভিটামিন কে উপাদান রয়েছে। যা অ্যান্টি-ডার্ক সার্কেল হিসেবে পরিচিত।
-
ত্বক শক্ত করে
- শসা তাদের অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বককে টানটান করে। টিস্যু থেকে পানি বের করে ত্বক শক্ত করে। তাই ত্বকের যত্নে শসার টোনার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের ছিদ্রগুলো সঙ্কুচিত হবে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে শসার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
-
ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে
- শসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আপনার ত্বকের অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো অক্সিডেশন প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করে। যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যার ফলে বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা দেখা দেয়। ত্বক ঝুলে যায়। নিস্তেজতা দেখা দেয়।
-
অকাল বার্ধক্য রোধ করে
- শসা ফলিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেইক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। যা আপনার ত্বকে কোলাজেন উত্পাদন বৃদ্ধি করে। কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য। এটি বয়সের দাগ, সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার মতো বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকেও প্রতিরোধ করে।
-
সেলুলাইট কমাতে পারে
সেলুলাইটের উপস্থিতি কমাতে, ত্বকে সরাসরি শসার টুকরো প্রয়োগ করুন। শসার মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যালগুলো কোলাজেনকে শক্ত করে। সেলুলাইট কমতে থাকে
সূত্র- পিংকভিল্লা
কীভাবে শাড়ী পরবেন জেনে নিন?
বৈশাখী দুপুরে প্রাণ জুড়ানো “কাঁচা আমের শরবত”
আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।