শাড়িতেই নারী বলতে গিয়ে মনে আসবে আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে/জানি নে, জানি নে/কিছুতেই কেন যে মন লাগে না—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটিই যেন যুগ যুগ ধরে বর্ষায় অঝোর ধারায় মন উদাসের কথাই জানায়। বৃষ্টিতে ভিজে যেতেও মন চায়। আবারও রবীন্দ্রনাথ, ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে এসো করো স্নান নবধারাজলে’। তবে বৃষ্টিতে তো আমাদের কাজও করতে হয়। তাই বৃষ্টিবিলাস করতে চাইলে অবশ্যই আরামদায়ক ও উপযোগী পোশাক পরতে হয়। সেক্ষেত্রে নীল রঙটাই বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু তারপরও আছে ভাবনা।
নীল শাড়িতে কিছুটা স্বস্তি
জর্জেট শাড়িতেই এ জাতীয় পোশাকে এ সময় কিছুটা স্বস্তি পাবেন। যদিও রোদ-বৃষ্টির খেলায় জর্জেট চলছে অনেকদিন থেকেই, তারপরও এর ধরন, মান আর নকশা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। একসময় দেশে ভারতীয় জর্জেট শাড়ির প্রাধান্য থাকলেও এখন দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা জর্জেট শাড়িতে ফুটিয়ে তুলছেন নানা ধরনের নকশা। ফ্যাশন সচেতন মানুষের দুর্বলতার একটা জায়গা হচ্ছে বর্ষা ঋতু। এই সময়টা আকাশজুড়ে হঠাৎ দেখা যায় মেঘ, তার পরেই নামে বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে সুতি কাপড়টা আরামদায়ক।
ঝামেলা হচ্ছে সুতি কাপড়টা ভিজে গেলে শুকাতে দেরি হয়। হঠাৎ যদি বৃষ্টি নেমে আসে আর কাপড়টা ভিজে যায় তাহলে বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় জর্জেটের কাপড়গুলো পরলে। পোশাকগুলো সিনথেটিক কাপড়ের হলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়। অনেক ফ্যাশন হাউজ জর্জেটে ভ্যান গঘের স্ট্যারি নাইটের ডিজাইনের শাড়ি আনছে। আবার নীলের ওপর ইসলামিক মোজাইকের ওপর সমুদ্র থিমের শাড়ি। অনেকে আবার মাইক্রো জর্জেটের ওপরে অনেকে এমব্রয়ডারি, কারচুপি করে। জর্জেটে ডিজিটাল প্রিন্ট খুবই চমত্কার দেখায়। বাংলাদেশে জর্জেটের ওপর অনেক ধরনের কাজই হচ্ছে। পলিয়েস্টার ফেব্রিকের মধ্যে জর্জেটই সবচেয়ে আরামদায়ক। বৃষ্টি না হলে বর্ষাকালে বেশ ভ্যাপসা গরম লাগে। সেই ঘাম শুকিয়ে নিতেও সাহায্য করে জর্জেট কাপড়। অন্যদিকে সুতি কাপড়ে ঘাম শুকিয়ে গিয়ে তিলা পড়ে যায়। ঘামে লবণের কারণে কাপড়ে দাগ পড়ে। জর্জেট কাপড়ে এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
পোশাকের মোটিফ
বর্ষার নানা মোটিফ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে ফ্যাশন হাউজগুলো। আগেই বলা হয়েছে, নীল রঙা শাড়িতে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘের পেইন্টিং দ্য স্টারি নাইট নিয়ে আজকাল অনেক কাজ হয়। আবার নীল আর সাদা রঙের শাড়িতে সূর্যমুখী ফুলের মোটিফ নিয়ে কাজ করা হয়। শাড়িতে ডিজিটাল প্রিন্ট এখন যেহেতু জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে তাই বর্ষার নানা ফুলের মোটিফও যায়। কাপড়ে মানুষ বা প্রাণীর ছবি নকশা বা আর্ট আকারে প্রিন্ট থাকে। এবারের বর্ষাতে ঝিলের শাপলা, পদ্ম ফুল মোটিফের জামা, শাড়ি, টপস, বৃষ্টির দৃশ্য নিয়ে বিশেষ নকশার ওড়না এসেছে। ব্লক প্রিন্ট, বাটিক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, হাতের কাজ ও এমব্রয়ডারির মাধ্যমে পোশাকে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ব্লাউজ তো লাগবেই
শাড়ির সঙ্গে তো ব্লাউজ লাগবেই। তবে ব্লাউজে পুরোপুরি নীল থাকলেও আজকাল দেশীয় আবহে একটু কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্লাউজেও রয়েছে অনেক কাজের নকশা। বিভিন্ন চিত্রকলা, নকশা, ধ্রুপদি চিত্রকলা, ভারতীয় চিত্রকলা, ইউরোপীয় চিত্রকলা, পটচিত্রের নকশা করা হয়েছে ব্লাউজের পিঠে। নকশাগুলো ইয়োক হিসেবে ব্লাউজের পিঠে ব্যবহার করে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। হাতের কাজের নকশা ও আলপনা জ্যামিতিক ফরমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্লাউজের পিঠে।
নীল কেন এত মানায় বর্ষায়
রবি ঠাকুর বলেছেন, ‘পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ’। বৃষ্টিস্নাত পরিবেশের সঙ্গে ঠান্ডা ধাঁচের রঙ নীল সবসময় মানানসই। সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট বা অন্যান্য পোশাকে নীলের বিভিন্ন শেড, যেমন টার্কিশ ব্লু, রয়্যাল ব্লু, সি ব্লু, আকাশি, নেভি ব্লু প্রভৃতি বেশ জায়গা করে নিয়েছে। রঙ পছন্দ করাটা একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। সাদা আর সবুজ তো এমনিতেও স্নিগ্ধতায় ভরা থাকে।
আম্বানিরা বিয়েতে মনীশ মালহোত্রার পোশাক পরে কিন্তু সব্যসাচীর পোশাক পরেন না কেন জানুন
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব