কনডম বিভিন্ন প্রকার যৌনবাহিত রোগসমূহকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।বর্তমান সময়ে ( sex ) যৌনমিলনের ক্ষেত্রে কনডম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । তাছাড়া কনডম পুরোপুরি ১০০% রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলেও এর সাফল্যের হার প্রায় ৯০%। জেনে নিন কনডম ব্যবহারে কি কি সুবিধা?
১। অনেক দম্পতি মনে করেন যে, কনডম ব্যবহার করে যৌনমিলন করলে যৌন আনন্দের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভূল। কনডম ব্যবহার করে যৌনমিলন করলে যৌন আনন্দের পরিমাণ বেড়ে যায়।
২। কনডম অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করে।
৩। কনডম ব্যবহার করে যৌনমিলন করলে এইডস, গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যদি যৌনরোগ থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
৪। অনেক পুরুষই হয়তো জানেন না যে, কনডম ব্যবহার করে অনেকক্ষণ যৌনমিলন করা যায়, যা কনডমবীহিন অবস্থায় পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয়।
৫। বিভিন্ন ব্রান্ডের কনডমে নরমাল এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের লুব্রিকেন্ট দেওয়া থাকে, যার ফলে আলাদাভাবে লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। খুবই প্রয়োজন হলে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন, তেল ব্যবহার করবেন না। কারণ তেল ল্যাটেক্সকে ভেঙ্গে দেয়, ফলে কনডমের কার্যকারিতা নষ্ট হয়।
৬। পৃথিবীর প্রায় ৫% নারীর পুরুষের বীর্যের এলার্জী রয়েছে। যদি আপনার নারী পার্টনারের বীর্যের এলার্জী থাকে সেক্ষেত্রে ৬-৭ মাস কনডম ব্যবহার করে এই এলার্জী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে যেসকল দম্পতির কনডম ব্যবহারে এলার্জী রয়েছে তাদের কনডম ব্যবহার না করাই ভালো।
৭। নরমাল কনডমের চেয়ে ডটেড কনডম ব্যবহার করে যৌনমিলন করলে বেশী আনন্দ পাওয়া যায়, এছাড়া আলট্রা থিন কনডমগুলোও সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে বর্তমানে অনেক দম্পতিই নরমালের তুলনায় বিভিন্ন ফ্লেভারের ডটেড কনডম পছন্দ করে।