গ্রিন টি ওজন কমাতে স্বাস্থ্যসচেতনে অনেকেই খান। ওজন কমাতে সত্যিই কি গ্রিন টি কার্যকর? কিংবা গ্রিন টি খেলে কি আসলেই মেদ কমে? জেনে নেওয়া যাক আজ।গ্রিন টি এমন এক পানীয়, যাতে ক্যাফেইন ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান। তাই রোজ নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রিন টি খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে গ্রিন টি কখনোই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও শরীরচর্চার বিকল্প নয়। বরং এ দুইয়ের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। এমনটাই বলছিলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন।
মেদ ঝরাতে ও ওজন কমাতে এটি গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন এই চিকিৎসকের কাছ থেকে—
ওজন কমাতে সহায়ক গ্রিন টি
ওজন কমাতে হলে আপনাকে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থাৎ খাবারদাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি ক্যালরি পোড়াতে ব্যায়ামও করতে হবে। প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে এটি খেয়ে কী লাভ? উত্তরটা হলো,এটি খেলে বিপাকক্রিয়ার হার কিছুটা বাড়বে, ফলে আপনার শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর হার খানিকটা ত্বরান্বিত হবে।
কমতে পারে পেটের মেদ
যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে তো বটেই, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও কারও কারও পেটে মেদ জমতে দেখা যায়। রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে এটি খেলে পেটের মেদও কমতে পারে। এটি তে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর পাশাপাশি মেদ ঝরাতে সহায়তা করে বলে এই পানীয় গ্রহণে পেটের মেদ কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকে। তবে একেবারে লাগামহীন খাওয়াদাওয়া করলে কিংবা কোনো ধরনের শরীরচর্চা না করলে আপনি এটি র এই উপকার পাবেন না।
কতটা গ্রিন টি
এত সব উপকার পেতে আপনাকে রোজ এটি খেতে হবে। সেটিও এক-দুই কাপ নয়, রোজ পুরো চার কাপ। এই পরিমাণ এটি খেলে আপনার ক্ষুধাও কিছুটা কম অনুভূত হবে। তাই সব মিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাটা আপনার জন্য সহজ হবে। কমতে পারে পেটে জমা মেদও।
বেশি খেলে ক্ষতি আছে কি
সাধারণভাবে রোজকার চা-কফির পরিমাণ দুই কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শই দেওয়া হয়। কিন্তু এটি তে ক্যাফেইনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকায় রোজ চার কাপ এটি খেতে বাধা নেই। তবে বেশি উপকার পেতে আবার চার কাপের বেশি খাবেন না, তাতে ক্যাফেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
যাদের চার কাপ গ্রিন টি বারণ
কারও কারও ক্যাফেইনে সংবেদনশীলতা থাকে। তাঁদের জন্য চার কাপ এটি -ও অতিরিক্ত হয়ে দাঁড়াবে। চা-কফি খেলে যাঁদের বুক ধড়ফড় করে বা মাথাব্যথা হয়, তাঁদের এতটা এটি খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া যাঁদের আগে থেকেই বুক ধড়ফড় করার সমস্যা রয়েছে কিংবা হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাঁদেরও রোজ চার কাপ এটি খাওয়া বারণ। এই যেমন থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলে এতটা এটি খাওয়া যাবে না।
গরমে ত্বকের জন্যে ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব