মেয়েরা সব ক্ষেত্রেই খুব আবেগী হয়। তাদের এ আবেগ আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। অন্যদিকে ছেলেদের বেলায় ঠিক তার উল্টো। ছেলেরা সব কথা মুখে বলতে ও শুনতে পছন্দ করেন।
ছেলেদের মনের অজানা কথা বুঝতে না পারার কারণে মেয়েরা বেশিরভাগ সময় অভিমান করে। আর এতে করে ঝামেলায় পড়তে হয় ছেলেদের। তো, পাঠক, জেনে নিন- মেয়েদের অজানা কিছু গোপনীয় সত্য যা ছেলেদের বিপাকের কারণ।
এক. অনেক সময়েই মেয়েদের অভিমান পুরোটাই থাকে অভিনয়। মেয়েরা মাঝে মাঝে অভিমানের অভিনয় করে তার প্রেমিক বা স্বামীর পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। তারা দেখতে চান তার অভিমানের মূল্য তার প্রেমিক বা স্বামীর কাছে কতোটুকু। তাই আপনি যদি নিজের সঙ্গিনীর অভিমানকে অবহেলা করতে চান তবে ভুল করবেন।
দুই. মেয়েদের ন্য একটি গোপনীয় সত্য ভালোবাসা প্রকাশ করা। মেয়েরা ভালোবাসা প্রকাশ করাটা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি অনেক চাপা বা লাজুক স্বভাবের হলেও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করুন। সেটা যেভাবেই হোক। প্রশংসা করুন, উপহার দিন কিংবা সরাসরি তাকে বলুন আপনি তাকে কতোটা ভালোবাসেন।
তিন. মেয়েরা গিফট খুব বেশি পছন্দ করে থাকেন। যদি কোনোভাবেই নিজের সঙ্গিনীর অভিমান ভাঙাতে না পারেন তবে তাকে গিফট করুন তার পছন্দের কোনো জিনিস। দেখবেন অভিমান খুব বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারবেন না তিনি।
চার. আপনার সঙ্গিনী যদি আপনাকে ফোন দিয়ে সবসময় আপনার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন এবং আপনি ফোন না ধরলে মন খারাপ করেন, তখন বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন।
এখন কথা হলো সন্দেহের জন্য খোঁজ নেয়া এবং কেয়ার করার জন্য খোঁজ নেয়া নিয়ে।
যদি আপনার সঙ্গিনী সন্দেহ করেন আপনার প্রতি তাহলে তার কথার তীরের মাধ্যমেই আপনি তা বুঝতে পারবেন। আর যদি তার খোঁজ খবর নেয়ার পেছনে শুধুই কেয়ার থাকে তাহলে কথায় কোনই সন্দেহের লেশ পাবেন না। তাই এই খোঁজ খবর নেয়ার অর্থটাকে সব সময় আঠার মতো লেগে থাকা নামটি দেবেন না।
পাঁচ. মেয়েদের গোপনীয় সত্যের ভিতর অন্য কোন মেয়ের প্রশংসা শুনতে না পারাটা উল্লেখযোগ্য।আপনার সঙ্গিনী যদি আপনার মুখে অন্য কোনো মেয়ের নাম শুনে বিরক্ত বোধ করেন এবং কথা ঘুরানোর চেষ্টা করেন তবে অবশ্যই আপনি সেই নামটি আর মুখে আনবেন না। কারণ বেশিরভাগ মেয়েরাই নিজের পছন্দের মানুষটির মুখ থেকে নিজের নামটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মেয়ের নাম শুনতে চান না একেবারেই।
ছয়. আপনারা কথা বলার মাঝে আপনার কোনো কথার প্রেক্ষিতে যদি আপনার সঙ্গিনী আপনাকে বলেন, ‘কি বললে বুঝতে পারিনি, আবার বলো’, তাহলে তা ভুলেও দ্বিতীয়বার বলতে যাবেন না। এই কথার অর্থ হচ্ছে তিনি আপনার কথা শুনেছেন এবং বুঝেছেন কিন্তু তার কথাটি পছন্দ হয়নি।