জীবনবৃত্তে পারস্পারিক ভালোলাগা থেকে জন্ম নেয় ভালোবাসা। আর ভালোবাসার শুভ পরিণতি বিয়ে। বিবাহ ধর্মীয়ভাবে ও সামাজিক রীতি হলেও এই সম্পর্ক স্থায়ী ও সুখী করতে উদ্যোগী হতে হয় দুজনকেই। সম্পর্কের এই যত্ন-আত্তিতে থাকা চলে না কোনো কার্পণ্য। আসুন জেনে নেয়- বিবাহিত জীবনকে আরও সুন্দর এবং সুখী হতে যে বিষয়গুলোর চর্চা করতে হবে:
মিলন
বিয়ের কিছুদিন পরই অনেকের কাছে সম্পর্ক একঘেঁয়ে মনে হয়। এক্ষেত্রে নিজেদের মাঝে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হওয়াটাও কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার অন্যতম শর্ত। মিলনে শুধু নিজের নয় সঙ্গীর চাহিদা ও ইচ্ছার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।
সময় কাটানো
একসঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী হতে হবে। দুজনের একান্ত সময়টুকু আনন্দময় করে তুলতে নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।
সততা
সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল স্তম্ভ হচ্ছে সততা। প্রতিটি সম্পর্কের বিষয়ে সততা দেখাতে হবে। একজনকে অন্যজনের অনেক কাছে নিয়ে আসবে যখন সে বলতে পারবে,‘যাই হোক তুমি আমার সম্পর্কে সত্যটাই জানবে’।
ক্ষমা
একদিনে কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। কোনো ভুল হলে প্রথমেই সম্পর্ক ভেঙ্গে দেওয়ার চিন্তা না করে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।
স্বামী/স্ত্রী উভয়ের সবকিছুকে আপন করে নেয়া
দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর ইম্পারফেকশনকে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে আপনাকে সবসময়। জীবন সঙ্গীর সব দোষ গুণ মেনে নেয়াই সত্যিকারের ভালোবাসা। তাকে পরিবর্তন করতে চাইলে তা কিন্তু ভালোবাসা নয়। আপনার সঙ্গীর পরিবার এবং তার প্রিয়জনদেরকেও আপনকরে নিতে চেষ্টা করতে হবে।
বোঝাপড়া
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া থাকাটা খুব জরুরি।
বিশ্বাস
এমন কিছু কখনো করা যাবে না যাতে করে দু’জনের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র অবিশ্বাসই একটি সম্পর্ক ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বন্ধুত্ব
‘বিয়ের আগে আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম’। তো, বিয়ের পরে কী হলো? বিয়ের পর সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করতে চাই দুজনের নিবিড় বন্ধুত্ব।
ধৈর্য
দাম্পত্য জীবনের পুরো সময়টাই হানিমুন মুডে থাকতে পারবো…এটা ভাবলে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হতে পারে। দুঃসময় আসতে পারে, এমন অবস্থায় ভেঙ্গে না পড়ে ধৈর্য ধরতে হবে।
এক বিয়েতে বিশ্বাস
এক সঙ্গীর সঙ্গেই সারাজীবন কাটানোর জন্য মনস্থির করতে হবে।
ভালোবাসা
সব সম্পর্কের মূলে থাকে ভালোবাসা। সঙ্গীর জন্য ভালোবাসা থাকতে হবে এবং সেই ভালোবাসার প্রকাশও করতে হবে।