আজকাল প্রায় সবাই চা্য় নিজেকে স্মর্ট করে তুলতে।তবে নিজেকে স্মার্ট এবং বুদ্ধিদীপ্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় লুকায়িত আছে কিছু ভাল অভ্যাস অঅযত্ব করার মধ্যে। কে না চয় নিজের স্মৃতিশক্তি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে? আপনি জানেন কি এটা কি করে আয়ত্ব করা সম্ভব?স্বভাবিকভাবে হ্যাঁ, উত্তরটা খুব সহজ। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রত্যহিক জীবনে নিচের তিনটি অভ্যাসকে যোগ করুন এবং ফলাফল নিজেই টের পাবেন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান:
ঘুম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ্য মস্তিষ্কের পূর্বশর্ত।সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও প্রখর স্মৃতিশক্তি নির্ভর করে ভালো ঘুমের উপর।তবে বিকালে কখনই ঘুমানো উচিত নয়।সবার জন্য ঘুম সমান না। এক এক জনের জন্য এই পরিমানের তারতম্য আছেকারো কারো৬ ঘন্টা ঘুমানো যথেষ্ট আবার কারো কারো ৯ ঘন্টা ও লাগতে পারে।তবে আপনার শরীর এবং মতিষ্কের জন্য যতটুকু দরকার ঠিক ততোটুুকু ঘুমানো উচিত।তবে অনেকের বদঅভ্যাস জনিত কারণে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।এগুলো পরিহার করে চলতে হবে। ৬-৯ ঘন্টার মধ্যেই ঘুম হওয়া উত্তম।গবেষণায় দেকা গেছে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংষ হয়ে যায়।
ব্রেইনকে দিন সঠিক পুষ্টি:
একজন সুঠাম-সুগঠিত দেহের অধিকারী ব্যক্তি ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।মানে আপনি দেখতে সুগঠিত হলেও আপনার মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি না ও পেতে পারে। এজন্য আমাদের দরকার সুষম খাদ্য খাওয়া।দেখতে হবে যে, মস্তিষ্ক সুষম খাদ্য আমাদের প্রয়োজন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনার ব্রেইনও সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে। আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার মানসিক শক্তি বিকশিত করার জন্য আপনি সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন? আপনার হয়তো সুঠাম-সুগঠিত দেহ থাকতে পারে, কিন্তু তারপরও আপনার ব্রেইনে পুষ্টির অভাব হতে পারে। খেয়াল রাখুস যে ব্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ওমেগা-৩ যেমন কাঠ বাদাম, সয়াবিন, মাছের তেল ইত্যাদি খাদ্য খাওয়া হচ্ছে কিনা।
আপনি কি যথেষ্ট পরিমাণ পাচ্ছেন? বিভ্রান্ত হবার কিছু নেই, আমি জানতে চাচ্ছি আপনি কি সেইসব খাবার খাচ্ছেন যেগুলোতে ওমেগা-৩ আছে যেমন, ইত্যাদি।তবে ফ্যাট এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যেমন, ফাস্ট ফুড, ভাঁজা-পোড়া ইত্যাদি বর্জন করুন। কারণ এইসব খাদ্য ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করুন:
প্রত্যেকদিন নতুন নতুন কিছু শিখলে আপনার বুদ্ধি এবং স্মার্টনেস্ দুটোই বাড়বে।যার ফলে জ্ঞান বৃদ্ধি মানসিক শক্তি বৃদ্ধি,মস্তিষ্কের চর্চা এবং এর কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।শুধু যে, বই পড়ে শিখতে হবে এমন কোন বাধ্যবধকতা নেই।আপনি টিউটোরিয়াল দেখে, ভিডিও দেখে বা ঘুরে বেড়িয়ে ও শিখতে পারেন অনেক কিছু।এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে আপনার উপর যে, কীভাবে আপনি আপনার নিজের চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে শিখবেন।
আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।