Friday , 3 May 2024

নারীর গোপনাঙ্গে মুখ দেওয়া নিয়ে ইসলাম যা বলে জেনে নিন

মেয়েদের বলতে গেলে প্রায় পুরো দেহটিই স্পর্শকাতর। তার মাঝেও কিছু কিছু স্থান রয়েছে যেগুলোতে আদর পেলে তারা চূড়ান্ত উত্তেজনার দিকে তড়িৎগতিতে অগ্রসর হয়। তবে ছেলেদের দেহেরও শুধুমাত্র লিঙ্গই একমাত্র যৌন অঙ্গ নয়। আজকালকের দিনে এমনকি আমাদের দেশের ১০-১২ বছরের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কিভাবে সেক্স করতে হয়। তাই বলা যায় বিয়ে তো বহুদূরের কথা, এখনকার ছেলেমেয়েদের গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড হওয়ার আগেই তারা এ বিষয়ে বহু কিছু জানে। কিন্ত তাদের এ জানাই কি যথেষ্ট? ছোটকালে বাচ্চারা একটা খেলা খেলে, এটাকে ওরা বলে ডক্টর ডক্টর খেলা। বিশেষ করে একটি বাচ্চা ছেলে ও মেয়ে খেলার সাথী থাকলেই তারা লুকিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। এতে দুজনেই কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে একজন-আরেকজনের যৌন-অঙ্গগুলো নিয়ে খেলা করে, তাদের মাঝে পার্থক্য আবিস্কার করে। সবার অবশ্য এ অভিজ্ঞতা হয়না। তবে সে যাই হোক মোটকথা আমাদের সঙ্গী-সঙ্গিনীকে পরিপূর্ন যৌনসুখ দিতে হলে তাদের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গগুলো সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারনা থাকা দরকার। অনেকে বলতে পারেন কি দরকার? নিজে মজা পেলেই হল। তাদের জন্য বলছি আমার এ প্রয়াস ভালোবাসার অনুভুতিবিহীন যৌন লালসাময় সেক্সের জন্য নয়। যে তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ভালবাসে সে অবশ্যই চাবে তাকে আনন্দ দিতে এবং এতে সে নিজেও আনন্দ লাভ করে।
মূলত ছেলে ও মেয়ের যৌনকাতর অঙ্গগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই Common রয়েছে এবং তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছেলে বা মেয়ে ভেদে প্রায় একই হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন। এসকল কিছু উল্লেখপূর্বক এখানে আমি তাদের এ অঙ্গগুলোর বিবরন ছাড়াও কি কি উপায়ে সেগুলোকে উত্তেজিত করে তোলা যেতে পারে তার উপরেও আলোকপাত করেছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

গোপনাঙ্গে

নারীর গোপনাঙ্গে মুখ দেওয়া
মেয়েদের ক্ষেত্রেঃ মেয়েদের দেহের বেশ কয়েকটি যৌনস্পর্শকাতর অংশ আছে যেগুলো সরাসরি তাদের যৌনত্তেজনার সূচনা ঘটায়। সাধারন অবস্থা থেকে এ অংশগুলোর মাধ্যমেই একটি ছেলে তার মাঝে যৌনাভুতি জাগিয়ে তুলতে পারে। আর কিছু অংশ আছে যেগুলো মেয়েটির যৌনত্তেজনার সূচনা ঘটার পরই উত্তেজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে, অথচ সাধারন অবস্থায় এগুলো উত্তেজিত করার চেষ্টা করলে মেয়েটি এমনকি ব্যাথা বা অসস্তিও বোধ করতে পারে। মেয়েদের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর অংশটিও এই দ্বিতীয় শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত।

পড়ুন নারীদের যৌনাঙ্গ সুন্দর রাখার উপায় কি?

গোপনাঙ্গে মুখ দেয়া নিয়ে ইসলামিক বিধান কি? ইসলাম এটিকে হারাম বলেছেন কারন নাপাক জায়গায় মুখ দিলে মানুযের মুখ আপবিএ হয়। যা ইসলামে সম্পৃণ নিষিদ্ধ।

প্রথমতঃ
শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করা স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক কোন হস্তক্ষেপ করেন না। তারা নিজেদের শারীরিক সুখের ব্যাপারে কি করবে না করবে সেটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তবে অস্বাস্থ্যকর যৌনকর্ম ইসলামে নিষিদ্ধ। যেমন পায়ুপথে যৌনমিলনে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির সম্ভাবনা পাওয়া গেছে, ইসলামে অনেক আগে থেকেই নিজের স্ত্রীর সাথেও পায়ুপথে যৌন মিলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া হারাম না হালাল সেটা নিয়ে অনেক মতপার্থক্য আছে। একদল মনে করেন, যে মুখ দিয়ে আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পবিত্র নাম নেওয়া হয় সে মুখ অন্য কোন অপবিত্র স্থানে দেওয়া ঠিক না। আবার,
আরেক দল মনে করে যৌনমিলনে নিজের জীবনসঙ্গীকে চরম সুখ দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেক নর-নারীর কর্তব্য। এমতাবস্থায় যৌনাঙ্গে মুখ দিয়ে যদি যৌনসুখ বাড়ানো সম্ভব হয় তবে তা নিশ্চয়ই দোষের কিছু হবে না। জানুন নারীর গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করতে যা করবেন ।
এছাড়া যৌন মিলন করলে শুধু মুখ না, মানুষের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গই অপবিত্র হয়ে যায়। ফরজ গোসলের মাধ্যমে সারা দেহের প্রতিটি অঙ্গের পবিত্রতা ফিরে আসে। তবে চর্মরোগজনিত কোন সমস্যা থাকলে যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া থেকে বিরত থাকা-ই ভাল।

দ্বিতীয়ত্বঃ
যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটি একটি পশুভিক্তিক আচরণ। যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটা সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারেনা। পুশুদের হাত নেই বলেই তার সঙ্গীনিকে মুখ দ্বারা উত্তেজিত করে। কিন্তু আপনার তো হাত আছে। আপনার হাত থাকতে কেনো আপনি (পুরুষ ও নারী) কেনো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগিয়ে আপনার সঙ্গীনিকে উত্তেজিত করবেন?? জানা মতে পুশুরাও তো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগায় না। তবে আপনি কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন? ইসলামের চোখে হস্তমৈথুনের খারাপ দিক ।
এটা তো প্রসাবের রাস্তা। আপনি কি যে পাত্রে প্রসাব করেন সে পাত্রে কি খাদ্য রেখে খাবেন? আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার এই কথার বিপরীতে যদি আপনি বলেন এটা (যৌনাঙ্গ) তো ধোয়া ও পরিস্কার থাকে। জবাবে আমি আপনাকে বলবো আপনি কারো বাসায় মেহমান হয়ে গেলেন। আপনার সামনে সে বাসার মালিকের ছোট্ট ছেলে ফল রাখার পাত্রেতে প্রসাব করে দিল এবং বাসার মালিক তা ধুয়ে সে পাত্রে আপনাকে ফল বা খাবার আপনি কি সে খাবার খাবেন? অবশ্য আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন। আপনি তাকান তো আপনার নিজের দিকে। আপনি যখন আপনার মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখন মহান আল্লাহ আপনার মায়ের মাসিকের রক্ত বন্ধ করে সে রক্ত দিয়ে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সে মাসিকের রক্ত কি আপনাকে মুখ দিয়ে পান করিয়েছেন না কি নাড়ী দিয়ে। মহান আল্লাহ মাসিকের রক্ত নাড়ী দিয়ে আপনার দেহ প্রবেশ করিয়ে আপনার প্রাণ রক্ষা করেছেন। কেনো করেছেন? উত্তর হচ্ছে এই রক্ত যদি আপনার মুখ দিয়ে আপনার দেহে প্রবেশ করাতেন তাহলে আপনার মুখ টা নাপাক হয়ে যেত। তা হলে আপনি দুনিয়াতে এসে অপবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম নিতেন। আপনি যাতে পবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম জপতে পারেন সে জন্য মহান আল্লাহ এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মায়ের গর্ভে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন।

পড়ুন মেয়েদের যৌন চাহিদা কখন বেশি থাকে?
তৃতীয়তঃ
যৌনাঙ্গতে মুখ লাগালে যৌনাঙ্গতে লেগে থাকা জীবাণু আপনার দেহে প্রবেশ করবে। তাতে আপনি অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাছাড়া আপনি যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন সে যদি যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তখন আপনি কি করবেন?
এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন ডাক্তারেরা তো বলে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাতে। উত্তরে আমি বলতে চাই, ডাক্তারেরাতো বলে পানি ফুটালে পানিতে থাকা জীবাণুরা মরে যায়। কিন্তু পানিতে থাকা জীবাণুরা মরে কি উড়ে যায় নাকি সে জীবাণু পানিতেই থেকে যায়? এখন আপনি যদি সে পানি খান তাহলে মরা জীবাণুর সাথেই সে পানি খাচ্ছেন।

Spread the love

Check Also

যৌন

যৌন নিপীড়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *