যৌন মিলন হলো একজন পাকা খেলোযারের মত। যে যত করাযত্ব করতে পারবে তার পারফরমেন্স তত বেশি। আসুন আজ যৌন মিলন সম্পর্কিত জরুরী কিছু ডাক্তারী পরামর্শ জেন নিই।
যৌন মিলন সম্পর্কিত জরুরী ডাক্তারী পরামর্শ
০১. কোন অস্বাভাবিক পন্থায় সহবাস করলে কিংবা বীর্যপাতের সময় তা আটকে রাখলে গণোরিয়া (এক প্রকার রোগ যাতে প্রস্রাবে জ্বালা হয় ও মুত্রদ্বার দিয়ে পুঁজ-রক্ত ইত্যাদি নির্গত হয়) ও মুত্রনালীর নানাবিধ রোগ সৃষ্টি হয়।
০২. সহবাসের পর গোসলের পূর্বে আহার করলে স্মরণ শক্তি লোপ পায়।
০৩. সর্বদা সুন্দরী নারীর ধ্যানে ডুবে থাকলে, প্রেম কাহিনী ও উপন্যাস পাঠ করলে, বিবস্ত্র কুতসিত ছবি দেখলে, যৌন উত্তেজনাকর চিত্রের কল্পনা করলে এবং বিশেষতঃ এ যুগের সর্বাপো বড় অভিশাপ অশ্লীল বু-ফ্লিম দেখলে শীর্ঘ বীর্যঙ্খলন, শুক্রতারল্য ও ধাতু দৌর্বল্য রোগ সৃষ্টি হয়।
০৪. যৌন মিলন যত কম করা যায় ততই উত্তম। কারণ সহবাসে যে পদার্থ ব্যয় হয়, তাই জীবনের তেল বিশেষ। জীবন প্রদীপ এর দ্বারাই আলোময় থাকে।
৫. স্বামী-স্ত্রী সর্বদা একই বিছানায় শয়ন করলে যৌন দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
০৬. শীর্ঘ বীর্যপাত থেকে রক্ষা পেতে হলে বেশী বেশী টক খাওয়া বর্জন করা উচিত।
০৭. জ্বরাক্রান্ত অবস্থায় সহবাস করলে দেহে তাপ বসে গিয়ে ক্ষয়জ্বরের রূপ ধারণ করে।
০৮. যৌন মিলনের পর ঘৃতে পাকানো পুষ্টিকর ও মিষ্টি দ্রব্য খাদ্য যথাঃ ডিম ও গাজরের হালুয়া, মধু মিশ্রিত দুধ কিংবা ফল-ফলাদি খেয়ে নিলে যৌন শক্তি অটুট থাকে। যদি এর কোনটিই পাওয়া না যায় তাহলে অন্ততঃপক্ষে ১/২ তোলা গুড় খেয়ে নিলেও মন্দ হয়না। তবে পাক-পবিত্র হওয়ার পরই খাওয়া শ্রেয়। কারণ সহবাসের পর অপবিত্র অবস্থায় পানাহার করা সৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণ।
০৯. অন্যের ঘরে বা এমনস্থানে সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয় যেখানে হঠাত কারো এসে পড়ার আশংকা থাকে। এতে সহবাসের পূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়না এবং দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
১০. পেট ভরা অবস্থায় যৌন মিলন করলে একে তো বীর্যপাত তাড়াতাড়ি হয়, দ্বিতীয়তঃ পাকস্থলীর দুর্বলতা হজমের দুর্বলতা এবং পেট ও কলিজা ফোলা রোগ সৃষ্টি হয়। আহারের অন্ততঃ ৩/৪ ঘন্টা পর যৌন মিলন করা উচিত।
১১. পেশাবের বেগ ধারণ করে সহবাস করলে মূত্রথলি ও মূত্রনালীতে রোগ সৃষ্টি হয় আর পায়খানার বেগ ধারণ করে সহবাস করলে অর্শ্বরোগ ইত্যাদি জন্ম নেয়।
পড়ুন শুধু কথা বলে মেয়েদের মন জয় করার উপায়
১২. চোখ ব্যথা করা অবস্থায় সহবাস করলে চোখে ক্ষত ও শুভ্রতা সৃষ্টি হয়।
১৩. নেশা অবস্থায় যৌন মিলন করলে সর্বশরীরে পচন ধরার আশংকা রয়েছে। যে রাতে স্বামীর সহবাস করার ইচ্ছা হবে সেদিন সকালেই স্ত্রীকে তা স্বরণ করিয়ে দিবে যাতে সে যৌনকেশ কামিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে সেজে গুজে আগেই প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারে। আগেই জানিয়ে রাখলে স্ত্রীর মনেও সহবাসের স্পৃহা জাগ্রত হয়ে যায়। এতে উভয়েই সহবাসের পূর্ণ স্বাদ ও আনন্দ লাভ করতে পারে।
১৫. পেশাবের তীব্র বেগ না হলে অযথা পেশাব করবে না। অন্যথায় যৌনাঙ্গের উত্থান ও দৃঢ়তা দ্রুত রহিত হয়ে যায়।
১৬. যৌন মিলনের পূর্বে যদি স্ত্রী পেশাব করে ঠান্ডা পানি দ্বারা এস্তেঞ্জা করে নেয় তাহলে তাড়াতাড়ি তাঁর রমন স্পৃহা জাগ্রত হয় এবং দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়। সর্বোপরি যৌনাঙ্গ কিছুটা সংকীর্ণও হয়ে যায়, যা সহবাসের আনন্দ বৃদ্ধি করে।