এলিজাবিথ গ্রিট্টা হসপিটাল, লন্ডন এর এক গবেষনায় গবেষকগন নারীর যৌনাঙ্গের যোনীদ্বার/যোনীমুখ এবং যোনীনালীর আকার নিয়ে একটি গবেষনা পরিচালনা করেন। অনেকের মনে হতে পারে যোনীমুখ এবং যোনীনালী তো একই বিষয়। তা আসলে নয়। সাধারনের দৃষ্টিতে নারী যৌনাঙ্গের ধরণ একরকম হলেও ডাক্তারী ভাষায় অঙ্গ দুটি ভিন্ন। যোনীনালী হল লিঙ্গ সঞ্চালন এবং সন্তান প্রসবের পথ – পক্ষান্তরে যোনীদ্বার হল লিঙ্গ গ্রহন এবং নারীকে আনন্দদানের কেন্দ্রবিন্দু।
গবেষনায় তারা ৩৯ জন নারীর যোনীনালী এবং যোনী মুখের পর্দার রঙ – আকার – পুরুত্ব, জরায়ুর অবস্থান, পায়ুনালীর অবস্থান ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করেন। ফলাফলে তারা জানাতে পারেন “নারীর গোপনাঙ্গের গঠনে ব্যাক্তিবেধে বিস্তর তারতম্য রয়েছে”। এক কথায় প্রত্যেক নারীর যৌনাঙ্গের নিজস্বতা/তারতম্য রয়েছে। তারা লক্ষ্য করলেন নারীর শরীরের গঠনের সাথে তাদের গোপনাঙ্গের আকারের সাদৃশ্য রয়েছে। অর্থাৎ যে সকল নারী লম্বা এবং গঠনগত ভাবে চওড়া তাদের যোনীনালী কিছুটা দৈর্ঘ্যে বেশি। তাছাড়া গোপনাঙ্গের আকারের সঙ্গে বয়স এবং কতবার সন্তান প্রসব করেছেন তার একটি বড় প্রভাব রয়েছে।
গবেষকগন নারীর যোনীনালীর দৈর্ঘ্য 2 ¾ ইঞ্চি থেকে শুরু করে 5 ¾ ইঞ্চির মধ্যে পেয়েছেন। এবং প্রস্থে তা 2 থেকে 2 ½ ইঞ্চির কাছাকাছি।
শরীরের গঠন ছাড়াও অন্য গুরুত্বপুর্ন বিষয়গুলো, যেমন – বয়স এবং কত সন্তান প্রসব করেছেন তার সংখ্যার উপর যোনীনালীর পেশীর পুরুত্বের পরিবর্তন লক্ষনীয়। যাদের দুর্বল পেশী তাদের পেশীর পুরুত্ব ½ হতে পারে একই সময় স্বাস্থ্যবান নারীর যোনীপথের পেশী 2 ইঞ্চি কিংবা তারও বেশি পুরুত্বের হতে পারে।
একজন নারী তার যোনাঙ্গের অবস্থানের পরিবর্তন করতে না পারলেও সঠিক প্লাভিক ব্যায়াম এর মাধ্যমে যৌনাঙ্গের ঢিলে ভাব দুর করা সহ যোনী পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। কিগ্যাল ব্যায়াম এর মাধ্যমে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ লাভবান হতে পারেন। এতে করে মিলনে তার পুর্ন-তৃপ্তির মাত্রা বাড়ানোও সম্ভব।
পুরুষের তুলনায় নারীরা এ ক্ষেত্রে ভাগ্যবতী। পুরুষ তার লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের জন্য অনেক চেষ্টা করেও কোন ভাল ফলাফল পায়না। পক্ষান্তরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের প্লাভিক ব্যায়াম এর মাধ্যমে তার যৌনাঙ্গকে টাইট করতে পারেন।