জীবের দেহে নানান রকম রোগের বসবাস।আর এই নিয়মকে বরণ করে নিতেই হবে।তবে সতর্কতার সাথে চললে অনেক শারীরিক সমস্য থেকে মুক্তি মেলে। অনিয়মিত পিরিয়ড, হজমের গণ্ডগোল, গিটে গিটে ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ – রোজকার ব্যস্ততার মধ্যে এরকম ছোটখাট কত শারীরিক সমস্যা যে আমাদের বিব্রত করে তোলে, তার ইয়ত্তা নেই। সারাদিনের নানা ব্যস্ততার মধ্যে আধ ঘণ্টা সময় বের করে অভ্যাস করুন যোগাসন।কারণ নিয়মিত ব্যায়াম ওষুধের মতোই উপকারী ।যারা প্রথম যোগাসন শুরু করছেন, তারা অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিন। যদি কোনো বিশেষ ধরনের শারীরিক অসুস্থতা থাকে, সেটাও তাকে জানাতে ভুলবেন না। জেনে নিন দৈনন্দিন সমস্যার জন্য চারটি সহজ যোগাসন।
উপকারিতা
* শরীরের জয়েন্টগুলো মজবুত করে তোলে।
* তলপেটের পেশি মজবুত করে।
* অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যার সমাধান করে।
* ওভারি এবং ইউটেরাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে করবেন ধনুরাসন যোগাসন?
সমতল মাটিতে পাটি পাতুন। এর ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার পেট এবং থুতনি যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো পেছন দিকে নিন। হাঁটু ভাজ করে পা দুটো একসঙ্গে ওপর দিকে তুলুন। হাত দিয়ে পায়ের পাতা দুটো ধরে পেটের ওপর ভর দিয়ে শরীরকে ধীরে ধীরে তুলতে চেষ্টা করুন। ৫ সেকেন্ড এইভাবে থেকে নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের পজিশনে ফিরে আসুন। ১০ সেকেন্ড রিল্যাক্স করে আরো একবার এই আসন করুন। এভাবে ৪ বার পর্যন্ত এই আসন করতে পারেন।
মত্স্যাসন
উপকারিতা
* থাইরয়েড, পিনিয়াল, অ্যাড্রেনাল এবং পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে ঠিকঠাক কাজ করতে সাহায্য করে।
* কিডনি, পেট এবং ইন্টেস্টাইন সুস্থ রাখে।
* রিপ্রডাক্টিভ এবং সেক্সুয়াল অর্গানকে সুস্থ রাখে।
* পিঠের ব্যথা কমায়।
কীভাবে করবেন মত্স্যাসন যোগাসন?
সোজা হয়ে হাত দুটো পাশে রেখে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস নিতে নিতে কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে পিঠটাকে ওপর দিকে বাঁকান। মাথাটা ওপর দিকে তুলুন কিন্তু মাটি থেকে তুলবেন না। নিঃশ্বাস ছেড়ে দিন। এই ভঙ্গিমায় থাকার সময় গভীরভাবে শ্বাস নিন। কিছুক্ষণ এভাবে থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। যাদের রক্তচাপের সমস্যা, মাইগ্রেন, ইনসমনিয়া, পিঠ বা গলায় ইনজুরি আছে তাদের মত্স্যাসন না করাই ভালো।
বৃক্ষাসন
উপকারিতা
* পিঠ, থাই এবং নিম্নাঙ্গের পেশিকে মজবুত এবং নমনীয় করে তোলে।
* রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
* বাতের ব্যথা এবং সায়াটিকা সারিয়ে তোলে।
* মনঃসংযোগ এবং বাড়িয়ে তোলে।
কীভাবে করবেন বৃক্ষাসন যোগাসন?
শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। ডান পা ভাঁজ করে বাঁ থাইয়ের ওপর অংশে রাখুন। বাঁ পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান। হাত দুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে জোর করে বুকের কাছে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস টেনে নিতে নিতে হাত দুটো মাথার ওপরে তুলুন।
পড়ুন মেদ কমান মাত্র ৩ টি ব্যায়াম করে
ভুজঙ্গাসন
উপকারিতা
* লোয়ার ব্যাক পেইন কমায় এবং শিরদাঁড়ার পেশি মজবুত করে।
* রিপ্রডাক্টিভ সিস্টেমকে ঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
* ক্লান্তি এবং স্ট্রেস কমায়।
* খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
* অ্যাজমার রোগীদের পক্ষে উপকারী।
কীভাবে করবেন ভুজঙ্গাসন যোগাসন?
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু হাত ভাঁজ করে বুকের দু পাশে রাখুন। হাতের ওপর ভর দিয়ে শরীরের উপরের ভাগ তুলুন। এভাবে ১৫-২০ সেকেন্ড থেকে ধীরে ধীরে শুয়ে পড়ুন।