বজ্রাসন যোগব্যায়ামের সবচেয়ে সহজ আসন। অন্য ব্যায়ামগুলো ভরপেটে নিষিদ্ধ হলেও বজ্রাসনের সেই নিষেধাজ্ঞাটা নেই। সহজ ব্যায়াম হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। তাই বজ্রাসনকে বলা হয় উত্তম ব্যায়াম।
বজ্রাসন করার পদ্ধতি:
* প্রথমে কোনো সমতল স্থানে হাঁটু মুড়ে বসুন। এই সময় হাঁটু দুটো জোড়া অবস্থায় থাকবে এবং পায়ের গোড়ালির ওপর নিতম্ব অবস্থান করবে। এই সময় পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে।
* এবার দুই হাত হাঁটুর ওপর স্থাপন করুন। এই সময় হাতের তালু হাঁটুর দিকে ফেরানো থাকবে।
* এই অবস্থায় মেরুদণ্ড ও হাত সোজা রেখে ২ মিনিট অবস্থান করুন। এ সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
এ আসনটি চর্চা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে মেরুদণ্ড সোজা আছে কি-না। এজন্য সামনের দিকে ঘাড় সোজা রেখে তাকান। ঝুঁকে বসবেন না। এ আসন চর্চা করার সময় আপনি প্রাণায়াম অনুশীলন করতে পারেন।
২ মিনিট পর কিছুক্ষণ সবাসন করুন, অর্থাৎ দুই হাত দুই পাশে রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিন।
বজ্রাসনের উপকারিতা:
পড়ুন ব্যায়াম করার সঠিক সময় নির্ধারণ
প্রতিবেলা খাবার শেষে ৫ থেকে ১০ মিনিট এ আসন চর্চা করলে খাবার হজমে সমস্যা দূর হবে।
পাইলসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। নিয়মিত বজ্রাসন করলে পাইলসের সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
হাঁটু ও গোড়ালির বাত নিরাময়ে এ আসন খুব কার্যকরী। এটা নিয়মিত করলে আথ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
যাদের পায়ের পাতার খিল ধরা বা অসমতা সমস্যা রয়েছে তারা বজ্রাসনে আরোগ্য পেতে পারেন।
ঘুমের আগে কিছু সময় এ ব্যায়াম চর্চা করতে পারেন। এতে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়বে ও অনিদ্রা দূর হবে।