Sunday , 28 April 2024

কেনো মেয়েরা তাদের নগ্ন ছবি Boyfriend এর কাছে পাঠায়

ধরুন, আপনার কিশোরী মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল, আপনি ভাবলেন, সে হয়তো তার ক্লাসের পড়া তৈরি করছে। কিন্তু সব সময়ই তা হয় না । কারণ আপনার ভাবনার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে যায় । জেনে নিন কেনো মেয়েরা তাদের নগ্ন ছবি Boyfriend এর কাছে পাঠায় –

মেয়েদের দুধের ছবি

১৫ বছরের কিশোরী বেথ হোয়াইট। তাঁর মা একটি অফিসের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। স্কুল থেকে যখন বেথ বাড়ি ফিরে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে, তখন কিন্তু সে তার ক্লাসের বই নিয়ে বসে না । মায়ের অগোচরে নিজের ঘরের আলমারির আয়নায় সে তখন নিজের ছবি তোলে। তবে সেসব ছবি একেবারে সাধারণ নয়। কারণ স্কুল ড্রেস বদলে, অন্তর্বাস খুলে শুধু নিজের নগ্ন দেহের ছবি তোলে বেথ ।

মেয়েদের বড় নিতম্ব

ছবি তোলা শেষ। এবার আসে ছবি সম্পাদনার পালা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছবিটি সম্পাদনায় লেগে পড়ে বেথ। শরীর থেকে অনাকাক্সিক্ষত দাগ, ভাজ দূর করে ফেলা হয়। তারপর আসে পুরো ঘটনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবার ছবি থেকে মাথা কেটে বাদ দেওয়া হয়। সেইসাথে বাদ দেওয়া হয় শনাক্তকারী যেকোনো বৈশিষ্ট্যও । এবার আসে মূল কাজ । ছবিটি বেথ পাঠিয়ে দেয় তারই স্কুলের এক কিশোরের কাছে । কারণ এর আগের দিনই ছেলেটির কাছ থেকেও একই ধরনের ছবি পেয়েছিল বেথ ।

মেয়েদের বড় বড় বুনি

এবার ছেলেটির কাছ থেকে উত্তর আসে। ছবির উত্তরে ছেলেটি এসএমএস পাঠায়, ‘হট, এর চেয়ে বেশি কখন দেখতে পাব?’
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে একটি কিশোরীর বিশেষ ছবি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ।
এভাবেই কিশোর প্রেম আর স্মার্টফোনের জগতে প্রবেশ হয় বেথের মতো কিশোরীদের। যদিও ওই ছেলেটির সাথে মাত্র কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রেমের বা ভালোলাগার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বেথের। তবে এরই মধ্যে তারা দুজনেই দুজনের নগ্ন ছবি আদান প্রদান শুরু করেছে ।

বেশ উচ্চাভিলাষী এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। একটি ভালোবাসাপূর্ণ পরিবারে সে বড় হয়েছে। তবু তার আচরণে এমন পরিবর্তন এসেছে। তাই এই বয়সী সন্তানদের মা-বাবাদের উচিত এখনই সচেতন হওয়া।
যদি আপনার একটি কিশোর সন্তান থাকে, তারাও এমন করতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? শুধু এসব কারণেই যুক্তরাজ্যের ইটন কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ফটো শেয়ারিং অ্যাপ যেমন স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ এসব অ্যাপ ব্যবহার করেই গোপন ছবি আদান প্রদান করা হচ্ছিল।

তবে এসব ছবি আদান প্রদানের জন্য স্ন্যাপচ্যাট সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ বা মাধ্যম। এর মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করতে পারে। এই অ্যাপের সবচেয়ে সুবিধা হলো ছবি পাঠানোর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তা প্রাপকের ফোন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায় । ফলে শিক্ষক বা অভিভাবকের কাছে ধরা পড়তে হয় না ।

ব্রিস্টলের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী বেশির ভাগ কিশোরীই জানিয়েছে যে তারা নিজেদের এই ধরনের ছবি কাউকে না কাউকে পাঠিয়েছে । এদের মধ্যে আবার অনেককেই ফিরতি মেসেজে একই ধরনের ছবি পাঠানো হয়েছে । আবার প্রতি চারজনে একজন কিশোরী বলছে, নিজেদের নগ্ন বা বিশেষ ভঙ্গির ছবি পাঠাতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে ।
এদিকে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম কোনো মানুষের নগ্ন ছবি আদান প্রদান করা দ-নীয় অপরাধ। একে শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ধরনের ছবি প্রেরকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ।

বেথের বয়স এখন ১৭। সে বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের স্টকপোর্টের বাস করে। নৃত্য ও অভিনয় শিল্পের ওপর লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বেথ। নিজের জীবনের যৌন বিকৃত অধ্যায়ের কথা স্বীকার করে সে জানায়, এখন সে বড় হয়েছে। সবকিছুই বুঝতে শিখেছে।
তবে জীবনের ওই অধ্যায়টা বেথকে প্রেম, পুরুষসঙ্গী এবং ভালোবাসার বিষয়ে একটি বিকৃত ধারণা দিয়ে গেছে। এখন সে মনে করে, ওই সময়টার জন্য শৈশবের একটা সুন্দর সময় তার কাছ থেকে দূরে চলে গেছে।

নিজের জীবনের সেই সময়টার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বেথ বলে, ‘এটা সে সময় শুরু হয়েছিল যখন একটা ছেলে তার গোপন অঙ্গের ছবি তুলে আমাকে পাঠিয়েছিল । আমি খুব একটা অবাক হইনি । কারণ এর আগে যখন আমার বয়স ১৪ বছর ছিল তখন একজন অপরিচিত মানুষ আমাকে এ রকম একটা ছবি পাঠিয়েছিল । আর ওই ছেলে যখন আমাকে ছবি পাঠায় তখন আমি ১৫, আর আমার ক্লাসের অনেক মেয়ের কাছেই স্ন্যাপচ্যাটে ওই রকম ছবি আসত । ছেলেটি বেশ কয়েকবার আমাকেও এই ধরনের ছবি পাঠাতে অনুরোধ করে । কয়েক সপ্তাহ পর আমিও আমার গোপন অঙ্গের ছবি তুলে ছেলেটিকে পাঠাই। কারণ আমি চাইনি যে সে আমার ওপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলুক এবং অন্য কোনো মেয়ের কাছে ছবি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করুক।’

বেথ আরো বলে, ‘সে আমার কাছে আরো বেশি ছবি দেখানোর অনুরোধ করতে থাকে। কিন্তু আমি পাঠাইনি । কারণ দেখেছি যে, এই ধরনের ছবি পাঠানো মেয়েদের বেশ্যা বলে গালি দেওয়া হতো । কিন্তু এর পরই আমি বুঝতে পারলাম যে তাকে ছবি পাঠানোর বিষয়টি সে তার বন্ধুদের বলেছে। আরো বিস্তারিত ছবি না পাঠানোয় তার বন্ধুরা আমাকে নির্জীব বলে ক্ষ্যাপাতে শুরু করল। তখন আমার ভীষণ রাগ হচ্ছিল এই ভেবে যে আমি জিততে পারলাম না, হেরে গেলাম।’

সাধারণত প্রশংসা পাওয়ার জন্যই মেয়েরা এই ধরনের ছবি পাঠায়। তাকে কেমন দেখাচ্ছে সেটা জানতেই ছেলেদের হাতে তুলে দেয় নিজের বিশেষ ধরনের ছবি । এই প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণা করে বেথ বলে, ‘আমি এমন একটা মেয়ের কথা জানি, যে নিজেও জানত না যে তার ছবি অন্যদের কাছেও শেয়ার করা হচ্ছে। অথচ একটি পার্টিতে কিছু ছেলেকে ওই মেয়ের ছবি নিয়ে আলোচনা করতে শুনেছি । তারা বলছিল যে মেয়েটির বুকের গঠন সুন্দর নয়। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন কোনো পর্ন ছবি দেখছে । এগুলো শুনতে ভীষণ খারাপ লাগছিল । এটা এমন এক সময় যখন আপনি কোন পোশাক পরেছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং গৎবাঁধা ধারণার বড় বুকের অধিকারী হতে হবে আপনাকে । আর সেটা যদি না থাকে তাহলে আপনাকে হেয় করা হবে ।’
আর এসব ঘটনা ঘটে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নাকের নিচেই। কারণ এগুলো এমন কথা যা কিশোর-কিশোরীরা কাউকে বলতে পারে না ।

তবে এখানে এটা বলতে হয় যে, বেথ অনেক বুদ্ধিমতী ছিল । সেই কারণে যৌন বিকৃতির এই খেলায় তাকে খুব বেশি হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়নি । সে সহজেই ধরে ফেলেছিল খেলার নিয়মকানুন । তাই সুকৌশলে ওই ছেলেটির ছবি নিজের ফোনে সংরক্ষণ করে রেখেছিল বেথ। ফলে বেথের ছবি কোনো পাবলিক ফোরামে শেয়ার করতে পারেনি ছেলেটি । কারণ সেটা করলে তার নিজের ছবিও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল ।

কেনো মেয়েরা তাদের নগ্ন ছবি Boyfriend এর কাছে পাঠায় ,অনেক ছেলেই এভাবে ছবি আদান-প্রদান করে যৌনাকাঙ্খা পূরণকে ডেটিংয়ের চাইতে নিরাপদ বলে মনে করে।
২১ বছর বয়সী অভিনেতা জ্যাক ল্যান্ড । তিনি জানান, ১৫ বছর বয়সে নারীর শরীর সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় তাঁর। ১৬ বছরের কম বয়সী পাঁচজন মেয়ের কাছ থেকে অন্তত ১০০ ছবি পান তিনি । এদের মধ্যে মাত্র একজনের সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল। জ্যাক বলেন, ‘স্ন্যাপচ্যাটে পাঠানো এসব ছবির স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র দুই থেকে ১০ সেকেন্ড। ফলে কোনো ম্যাসেজ লিখে পাঠানোর চাইতে ছবি পাঠানোটাই সবচেয়ে নিরাপদ ছিল।’

জ্যাকের স্কুলের সময়কার ৬০ শতাংশ ছেলের কাছেই এ রকম ছবি আসত বা তারা নিজেরাও এ রকম ছবি পাঠাত। কিন্তু বিষয়টি কখনোই বড়দের নজরে আসেনি। সাধারণত প্রথম দিকে আয়নার সামনে ছবি নিজের নগ্ন বা আকর্ষণীয় ছবি তুলে পাঠানো হতো। এর পরের ধাপে পাঠানো হতো শুয়ে বিশেষ ভঙ্গির ছবি। জ্যাক জানান, সেই সময় মেয়েরা বিভিন্ন পর্ন ছবি থেকে ছবি তোলার অঙ্গভঙ্গি শিখত। জ্যাক বলেন, একটা সময় ছিল যখন একজন ছেলে কোনো বুকের ছবি দেখেই সন্তুষ্ট থাকত। তবে এখন সেই দিন আর নেই।

তবে সেই সব সময়ের জন্য এখন দুঃখ প্রকাশ করেন জ্যাক। তিনি বলেন, আমি এখন দুঃখ পাই। কারণ ওই সময়গুলো আমার জীবনকে আরো জটিল করেছে। সেই সময় আমার উচিত ছিল লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া। কিন্তু তা না করে আমি ক্রমাগত ছবি আদান প্রদান করে গেছি। তবে এখন আমি বড় হয়েছি। এখন কোনো মেয়েকে ওই রকম ছবি পাঠাতে বলার চাইতে তাকে কাছ থেকে জানতে বেশি আগ্রহী হবো আমি।’

সম্পর্কের ঠিক কোন পর্যায়ে এই ধরনের ছবি পাঠানো যেতে পারে সে সম্পর্কে উত্তর লন্ডনের এ-লেভেলের শিক্ষার্থী ফ্লো থমসন ডেইলি মেইলকে বলে, সাধারণত দুজন ছেলেমেয়ের সম্পর্ক আরেকটি পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার আগে এই ধরনের ছবি চাওয়া হয়। একজন মেয়ে চায় অন্য কেউ দেখার আগে তার বিশেষ ছবি যেন হতে যাওয়া প্রেমিক দেখতে পায়। তবে সেই ছবিটাই পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ, ছবি পাঠানোর আগে সম্পাদনা করে নিজের শরীরের খুঁতগুলো ঢেকে দেয় মেয়েরা ।

ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বিপুল ছবি শেয়ার ও সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সীদের ছবি রয়েছে সাত গুণ। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ২০১৫ সালে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ৬০ হাজারের বেশি ছবি ইন্টারনেট থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে । তা ছাড়া এখনকার দিনে খুব অল্প বয়সেই শিশু-কিশোরদের হাতে উন্নতমানের মোবাইল ফোন উঠে আসছে। ফলে এই ধরনের যৌনবিকৃত ঘটনাও ঘটছে অহরহ ।

 

কম বয়সে বিয়ে করার সুখ

আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।

যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।

আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

ফেসবুক পেজ

আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

বড় বোন থাকলে তার কিছু মজার দিক সম্পর্কে জেনে নিন

যখন ভাইবোনের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যায় তখন অনেকেই মনে করেন বাবা মায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *