Tuesday , 7 May 2024

নারীর যন্ত্রনাধায়ক শাররীক মিলন – কারন ও প্রতিকার

নারীর যোনী মিলন উপযোগী করেই বিধাতা সৃষ্টি করেছেন। এটি যেকোন আকারের লিঙ্গ গ্রহনে সক্ষম। তার পরও বিভিন্ন কারনে শাররীক মিলনের ব্যথা অনেক বিবাহিত যুগলের মাঝে দেখা যেতে পারে। মিলনকালে যন্ত্রনা মিলনের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই বিষয়টি যত তাড়াতাড়ী সম্ভব কারন উদঘাটন করে প্রতিকারের ব্যবস্থা জরুরী।

কি কারনে মিলনকালে ব্যথা অনুভুত হতে পারে?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর যোনী প্রয়োজন মত আঠাল তরল উৎপাদন না করলে মিলনকালে যন্ত্রনা অনুভব করতে পারে। মিলনকালে নারী যদি রিলাক্সড থাকেন তাহলে এ সমস্যা থেকে অনেক ক্ষেত্রে উত্তোরণ পেতে পারেন। অথবা মিলন-পুর্ব-সিঙার (ফোর প্লে) এর সময়কালে বাড়িয়ে নারীকে প্রয়োজন মত উত্তেজিত করে, কিংবা বাজারে পাওয়া পার্সোন্যাল লুব্রিকেটর দিয়েও উল্ল্যেখিত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে নারী যন্ত্রনাদায়ক শাররীক মিলন অনুভব করতে পারেন যদি নিন্মক্ত কোন একটি কারন বিদ্যমান থাকেঃ

 

ভেজাইনিসমাস্ঃ এটি একটি সাধারন অবস্থা, যাতে যৌনাঙ্গের পেশি সংকোচিত হয়ে যায়। এর প্রধান কারন হচ্ছে যৌনঙ্গে ব্যথা পাবার ভয়। অর্থাৎ ব্যথা পাবার ভয় থেকে পেশী সংকোচনের ফলে মিলনে যন্ত্রনা অনুভব।
যোনী পথে সংক্রমণঃ যদি যোনী পথে কোন প্রকার ইনফেকশান থাকে তাহলে মিলনে ব্যথা অনুভব হতে পারে। সন্তান প্রসবের সময় যোনাঙ্গ চিরে যাওয়া কিংবা যোনী এবং পায়ুপথের মাঝের পর্দা চিড়ে যাওয়া থেকেও এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
জরায়ু মুখের ব্যথাঃ এক্ষেত্রে গভীরভাবে যোনীতে লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের ফলে লিঙ্গের আগা জরায়ু মুখের ইনফেকশান (যদি থাকে) যুক্ত স্থানে ছোঁয়ার ফলে মিলনকালে ব্যথা অনুভুত হতে পারে।

ইনডোমেট্রোসিসঃ জরায়ুর শ্লেষ্মাঝিল্লি জরায়ুর বাহিরে বিস্তৃত হবার ফলে মিলনকালে যন্ত্রনা হতে পারে।
শ্রেণীচক্রের জ্বালাপোড়া রোগঃ গভীরতায় লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের ফলশ্রুতিতে মিলনকালে পেশীকলার গভীরে জ্বালাপোড়া এবং প্রচন্ড চাপ অনুভুত হতে পারে।

অস্বাভাবিক গর্ভধারনঃ গর্ভশয়ের বাহিরে ডিম নিষিক্ত হয়ে অস্বাভাবিক স্থানে তার পরিবর্ধন হতে থাকলে মিলনকালে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।

মাসিক ঋজচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হবার পরঃ নারীর ৫০ থেকে ৫৬ বছর বয়সের পর মাসিক ঋজচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই বয়সের পর যোনী স্বাভাবিক আদ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তার ফলে মিলনকালে যন্ত্রনা হতে পারে।
সন্তান জন্মের পর পর অথবা অস্ত্রপ্রচাররের কিছু দিনের মধ্যে মিলন করলে তা যন্ত্রনাদায়ক হবে।
যন্ত্রনাদায়ক যৌন মিলনের চিকিৎসাঃ

কিছু কিছু যন্ত্রনাদায়ক শাররীক মিলনের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়না। যেমন, সন্তান প্রসবের পর মিলনে ব্যথা হলে প্রসবের পর অন্ততঃ ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করে শাররীক মিলনে লিপ্ত হতে হবে। শুষ্ক যোনীর ক্ষেত্রে ওয়াটার বেইসড পার্সোন্যাল লুব্রিকেটর ব্যবহার করা যেতে পারে। যেসকল নারীর যোনীরস সহজে নিষ্কৃত হয়না তাদের ক্ষেত্রে মিলন-পুর্ব-সিঙার জোরালো করে তাদেরকে সঠিকভাবে উত্তেজিত করার পর যখন যোনী ভিজে যাবে তার পর মিলন শুরু করলে মিলনে ব্যথা হবেনা।

কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে দেখা করা জরুরী। মাসিক ঋজচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবার ফলে যদি শুষ্কতা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তার ইস্ট্রোজেন ক্রিম কিংবা অন্য কোন ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। অন্য অনেক কারনও ঔষধের সহায়তায় চিকিৎসা করা যেতে পারে।
যদি মিলন যন্ত্রনা কোন মেডিক্যাল করন ছাড়া হয়ে থাকে তাহলে থেরাপি সেক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে।
যদি মিলনে সবসময় রক্তপাত, স্রাব, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।

Spread the love

Check Also

যৌন

যৌন নিপীড়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *