মুখ গহ্ববর দ্বারা বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের যৌনাঙ্গ চোষন বা লেহন করে যে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে ওরাল সেক্স বলা হয়। এটা দু ধরনের, যখন পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করে তাকে কনিলিঙ্গাস বলা হয়। আবার স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করলে তাকে ফেলাসিও বলা হয়।
যুগলদের মধ্যে কনিলিঙ্গাস এবং ফেলাসিও ই যখন চরম যৌন পরিতৃপ্তি লাভের একমাত্র ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন তা অস্বাভাবিক যৌনাচার হিসেবে গন্য করা হয়। যখন কোনো যুগল মুল রতি ক্রিয়া বা মিলনের পূর্বে এর অংশ হিসেবে ওরাল সেক্স করে তখন তা স্বাভাবিক যৌনাচার হিসেবেই গন্য করা হয় ।
ওরাল সেক্স উপভোগ করতে জানলে অত্যন্ত আনন্দদায়ক হতে পারে।সাধারণত মোটা মহিলারা ওরাল সেক্সের বেলায় বেশ পটু হয়ে থাকে।তবে যে জিনিসটি মনে রাখা প্রয়োজন তা হলো- ওরাল সেক্স আসলে একতরফা কিছু নয়।মুখ মেহনের মাধ্যমে যৌনসঙ্গী দুজনই পরস্পরকে আনন্দ দিতে পারে।
যৌনবিশেষজ্ঞরা ৬৯ পদ্ধতির ওরাল সেক্সের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।মুখ মেহন বা ওরাল সেক্স যৌনসঙ্গমের অংশও বটে।এর মাধ্যমে যৌন সঙ্গমকে আরো অধিক আনন্দময় করা যেতে পারে।
আমার দৃষ্টিতে এটি বিকৃত যৌনাচার বটে। এবং এট ইসলাম সমর্থন করে না। এবং এর দ্বারা যৌন রোগ হতে পারে।
যৌনতা মানুষের আদি সহজাত প্রবৃত্তিগুলোর অন্যতম। বিকৃত যৌনতায় মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা, যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বার ব্যবহৃত হচ্ছে। বিকৃত যৌনতার কারনে মুখে আলসার থেকে শুরু করে শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগের বিস্তার লাভ করেছে। মুখের আলসারের চিকিৎসায় ওরোজেনিটাল সেক্স সত্যিই বড় এক চ্যালেঞ্জ। ওরাল সেক্সের ক্ষেত্রে অসাবধানতা এবং অজ্ঞতার জন্য মুখের জটিল রোগ থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিকৃত যৌনতায় কেউ যদি অভ্যস্ত থাকে তা হলে চিকিৎসককে বিষয়টি না জানালে আপনার মুখের আলসারের যথার্থ চিকিৎসা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
ওরাল সেক্স বা মুখমেহন সম্পর্কে ইসলাম ধর্ম কি বলে?
সব চেয়ে ভালো হয় বিকৃত যৌনচার পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন সংক্রমিত রোগ বিস্তার লাভ করে। সব চেয়ে বেশি বিওস্তার লাভ করে হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস। এ ভাইরাস টাইপ-১ সাধারণত ঠোঁটকে আক্রান্ত করে, যা কোল্ডসোর নামে পরিচিত। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের মাধ্যমে ফ্যারিনজাইটিস, গলাব্যথা সহ আলসার হতে পারে।
আপনার ঠোঁটে যদি কোল্ডসোর থাকে তা হলে আপনার সঙ্গীকে ঠোঁটে চুমু দেয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ওরাল সেক্সের কথা তো এক্ষেত্রে চিন্তাই করা যাবে না। ওরাল সেক্স অংশগ্রহণকারী একজন যদি অন্যজনের সংক্রমণজনিত খোলা আলসারের সংস্পর্শে আসে তা হলে সিফিলিসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে সিফিলিসজজিত জিহ্বার আলসার দেখা দিতে পারে। ওরাল সেক্স অংশগ্রহণকারী দু’জনের একজনের যদি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থাকে তা হলে অন্যজনের জন্য তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ভাইরাস জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোটার সৃষ্টি করে থাকে। ওরাল সেক্সের মাধ্যমে একজন যদি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় থাকে তা হলে অন্যজনের দেহ সংক্রমিত হতে পারে এবং মুখের পাশে বা ভেতরে ওয়ারটস বা গোটা অর্থাৎ মুখের ভেতরে ভাইরাসের গোটা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওরাল সেক্সের অভ্যাসের কথা ডাক্তারকে রোগী অবগত না করলে বা লুকিয়ে গেলে চিকিৎসা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ওরাল সেক্স চলতে থাকে তা হলে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
69 স্টাইল কেমন ?
ওরো অ্যানাল সেক্স (অ্যানাল সেক্স কি ? এটি সম্পর্কে বিস্তারিত )অর্থাৎ মুখ ও পায়ু পথের যৌনতায় সালমোনিলা, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। এর মাধ্যমে মুখে আলসার ছাড়া পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে। হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে জন্ডিস ও পেটে ব্যথা হতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে ওরো অন্যাল সেক্সের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস বিস্তার লাভ করে। ওরাল সেক্স করার সময় যদি রক্ত বের হয় আর সঙ্গীর যদি হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস থাকে তা হলে তা সংক্রমিত হতে পারে। এইডস রোগের ক্ষেত্রেও রক্ত সঞ্চালিত না হলে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে বিস্তার লাভের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ‘বি’ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিভিন্ন প্যারাসাইট ওরো অন্যাল সেক্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তাই মুখের আলসার প্রতিরোধে ওরাল সেক্স পরিহার করা উচিৎ