Tuesday , 5 November 2024

মাতৃত্বকালীন ছুটির পর কাজে ফেরা

মাতৃত্বকালীন ছুটির পর ফেরার পর অফিসে যোগ দেওয়ার পরও নানা সমস্যা থাকে। বাচ্চাকে ফেলে রেখে আসতে মন চায় না। আগের কর্ম-পরিবেশ ফিরে পাওয়া কঠিন। এক্ষেত্রে কিছু ভাবনা মাথায় রাখতে হয়। সেগুলো নিয়ে ভাবা প্রয়োজন-

মাতৃত্বকালীন
মাতৃত্বকালীন ছুটির পর কাজে ফেরা

মাতৃত্বকালীন ছুটির পর কাজে ফেরা

শিশুর জন্য নিরাপদ বাসা রাখবেন যেভাবে

দিনের লম্বা একটা সময় অফিসেই চলে যায়। বিকেলে ফিরে যতটুকু সুযোগ পাবেন বাচ্চাকে সময় দেবেন। বাড়িতে বিশ্বস্ত কেয়ারগিভার রাখতে পারলে ভালো। আর পরিবারে সদস্য থাকলে তো বিপদ নেই। এখন ফোনে ফোনে যোগাযোগ করা অনেক সহজ। তাই সহজেই আপনার সন্তানের খোজ রাখতে পারবেন।

কাজে কীভাবে ফিরবেন

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফেরার পর গ্রাস করতে পারে মন খারাপ, অনিচ্ছা আর আলসেমি। আপনার শিশু জন্মানোর আগেই এমন একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ঠিক করে রাখুন, যিনি বা যারা আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সন্তানকে দেখবে। বর্তমানে বেশকিছু নির্ভরযোগ্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে কেয়ার রয়েছে। পরিচিতদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

কালো ঘন চুল পেতে ম্যাজিকাল হেয়ার অয়েল

গরমে সুন্দর আর টিপটপ থাকুন

শরীর ব্যথা করে কেন ঘুম থেকে উঠার পর

কাজে তাড়াহুড়ো নয়

কর্মজীবী মা মনে করেন, লম্বা সময় বিরতিতে হয়তো পিছিয়ে গেছেন। তাই কাজ করে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে ফেলেন। তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিন। আপনার বসের সঙ্গে কথা বলুন। সন্তানের জরুরি প্রয়োজনে যেন ছুটি নিতে পারেন, সেটিও বলে রাখুন।

ভাগাভাগি করুন সঙ্গীর সঙ্গে

আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি করে নিন। আপনি যেমন মা হয়েছেন, তিনি হয়েছেন বাবা। তাই সন্তানের কাজগুলো একসঙ্গে করুন, একসঙ্গে সময় কাটান। আসলে মায়ের চাকরি সপ্তাহে ৭ দিন আর দিনে ২৪ ঘণ্টা, তা তিনি গৃহিণীই হোন বা চাকরিজীবী। আর নতুন মা হলে তো কথাই নেই। সারাদিন অফিসের কাজ করে তারপর বাসায় এসে বাচ্চার দেখাশোনা করতে গিয়ে নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সময়ই হয় না। এ সময় অনেক মায়েরাই বিষণ্ণতায় ভোগেন। তাই নিজেকে সময় দিন ও নিজের যত্ন নিন।

মায়ের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন

এমনিতেই মা হওয়ার পরে প্রত্যেক নারীর মধ্যে সাময়িক বিষণ্ণতা কাজ করে। অনেক সময় সেটি স্থায়ী হতে পারে লম্বা সময়। বাচ্চা ধারণ, জন্মদান শেষে আবার আগের মত শুরু করা তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য পরিবারের মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনার পরিবারে যদি কর্মজীবী মা থাকেন, তাকে সে সময় সাহস দেওয়া প্রয়োজন। একে তো বাচ্চাকে ছেড়ে দীর্ঘ সময় অফিসে দিতে হয় বলে মায়ের মধ্যে এক ধরনের অপরাধবোধ জন্ম নেয়, এরপরে যদি পরিবারে এসে শোনেন সন্তান মাকে না পেয়ে কেঁদেছে বা খুঁজেছে তাহলে মা বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। তাই স্বামীর কর্তব্য হবে সাধ্যমত সহায়তা করা। মনে রাখতে হবে, কর্মজীবী মায়ের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তার সঙ্গীর সহায়তা। দুজনে মিলে সংসার ও বাচ্চার কাজগুলো ভাগ করে নিলে চাপ কমে। অফিসের সহকর্মী যদি মা হন তবে দায়িত্ব রয়েছে আপনারও। তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। একটু সহযোগিতার অভাবে অনেক কর্মজীবী মা চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

ফেসবুক পেজ

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

Spread the love

Check Also

জুতা

শখের জুতা অনেক দিন ভালো রাখতে পারবেন এই ৮ টি নিওম মানলে

জুতা হতে হবে মানানসই। শুধু মানানসই হলেই হবে না। যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। জুতার যত্নের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *