ঈদ মানেই যেমন খুশি। ঈদের সময় মজার মজার খাওয়া ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। আর কোরবানির ঈদ মানেতো জমপেশ খানাপিনা। এ ঈদে মাংসের তৈরি খাবারের পাশাপাশি থাকে ভারি নাস্তা ও হরেক রকমের মিষ্টিজাতীয় খাবার।তাই হঠাৎ করে ঈদের দিন বেশি পরিমাণে ভারী খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন। কখনও কখনও অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়ায় অনেকের বদহজম দেখা দেয়। আবার অনেকক্ষেত্রে ওজন অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
সেক্ষেত্রে ঈদের খাবার খেতে হবে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে-
- যেহেতু ঈদের সময় সবার বাড়িতে প্রচুর দাওয়াত থাকে এবং এই দাওয়াত এড়িয়ে চলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই অতিরিক্ত খাওয়ার পরে টক দই খেলে সহজে খাবার হজম হবে।
- খাওয়ার সময় কোন খাবার অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। এক প্লেট পোলাও নিয়ে মোটামুটি সবকিছু খাবেন পরিমিতভাবে। তবে যদি লাল মাংস বা রেড মিট খাওয়া হয় তবে চর্বি কাটানোর জন্য কুসুম গরম লেবু পানি অথবা গ্রিন টি পান করলে চর্বি কেটে যাবে।
- শরীরের ক্যালরি চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেললে হাঁটার মাধ্যমে ও ব্যায়ামের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে হবে।
- যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তারা খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিট আগে একটু পেট ভরে পানি পান করবেন। তাহলে বেশি ভারি খাবার খাওয়ার চাহিদা থাকবে না।
- খাবারের লিস্টে প্রতিদিন বেশি করে শাকসবজি এবং টকজাতীয় ফল খাবেন যেন দেহে অতিরিক্ত চর্বি না জমে।
- অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে কিটো ডায়েট থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে হার্টের বিপরীত হবে।
- যেদিন দাওয়াত থাকবে একবেলার খাবার হালকা রাখুন। তবে রাতে ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
- যাদের দেহে কোলেস্টেরল বেশি তারা অতিরিক্ত তেল-মসলা জাতীয় খাবার এবং লাল মাংস থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলবেন।
- যেহেতু এই সময়ে গরমকাল তাই বেশি করে পানি পান করুন, যেন শরীর ডি-হাইড্রেটেড না হয়ে যায়।
- এই সময়ে ছুটি থাকে, তাই ঘরে বসে থাকলেও অল্প জায়গায় হাঁটার অভ্যাস করুন। ভারি জাতীয় খাবার খাওয়া হচ্ছে বলেই যে সোডা জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড বেভারেজ ইত্যাদি খাবেন, তা কিন্তু নয়। এগুলো এড়িয়ে চলবেন।
- ঈদের তিন দিন পর থেকে খাবারের লিস্টে একবেলা স্যুপ, সালাদ এবং টক দই রাখবেন। এতে করে খাবার সহজে হজম হবে এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে।
- শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটির মতো খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। ডায়েট লিস্টে একই সঙ্গে মাছ, মাংস থাকলে কখনই মাছের ঝোল তৈরি করে খেতে যাবেন না। সাদা ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য মাছ ভাজাতে প্রাধান্য দেবেন। এতে করে আপনার খাবার দ্রুত হজম হবে।
- মাংস কম ঝোল দিয়ে রান্না করতে চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে মাংসের আইটেমে ব্যবহার করুন কাচা পেঁপে। মাংস দ্রুত হজম করতে সাহায্য করবে এটি।
- মাছ, মাংস যাই খান না কেন অবশ্যই দুটি সবজি ও রঙিন সালাদের আইটেম রাখুন। খাবারের ভারসাম্য রাখতে রিচ খাবারের সঙ্গে সবজি ও সালাদ খেতে হবে।
- খাবারে অবশ্যই পেঁপে অথবা করলা ভর্তার একটি আইটেম নিয়মিত রাখুন। এতে আপনার হজম শক্তি দ্রুত বাড়বে।
ত্বকের আর্দ্রতা ফেরাতে কি করবেন জানেন
ফেসবুক পেজ
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব