Friday , 18 October 2024

নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কিছু তথ্য

যৌনাঙ্গের মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয়েই যৌনতৃপ্তি লাভ । sex বা যৌন আকাঙ্খা প্রত্যেক নর-নারীরই রয়েছে । একমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়েই নিবৃত করা সম্ভব এই যৌন আকাঙ্খা । সুতরাং এ সম্পর্কে নারী পুরুষ সকলেরই মুটামুটি ধারণা থাকা জরুরি । আপনার ডক্টর সেই দিক বিচার বিশ্লেষণ করে আজ আপনাদের সাথে মানবদেহের যৌনাঙ্গ সম্পর্কে কিছুটা তথ্য তুলে ধরছে।

যৌনাঙ্গের প্রকারভেদ : যৌনাঙ্গের তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে নর-নারীর মানব যৌনাঙ্গকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
• ১। পুরুষ যৌনাঙ্গ।
• ২। নারী যৌনাঙ্গ।
পুরুষ যৌনাঙ্গ : প্রাণীর সেই লিঙ্গকে পুরুষ লিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ বলে, যে নিজের শরীরে সন্তান ধারণ করে না কিন্তু স্ত্রী শরীরে যৌন সঙ্গমের দ্বারা শুক্রানু বা স্পার্ম প্রবেশ করিয়ে সন্তান উৎপাদন করে।সাধারণত পুরুষ যৌনাঙ্গের মধ্যে কয়েকটি অংশ দেহের বাইরে থাকে আবার কয়েকটি অংশ দেহের ভিতরে থাকে যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।

পুরুষদের দেহের নিচের দিকে একটি ঝুলন্ত থলি আছে, যাকে অন্ডকোষের থলি বা টেস্টিকলস বলা হয়। অন্ডকোষের থলির ভিতরে দুটো গোলাকার অন্ডকোষ থাকে।অন্ডকোষ থেকেই শুক্রাণু তৈরী হয় তখন যখন একটি ছেলে বড় হয় । পুরুষের শুক্রাণু যৌনমিলনের মাধ্যমে মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রণ সৃষ্টি হয়। এই শুক্রাণু তৈরীর পক্রিয়াটি সারাজীবন চলতে থাকে।

অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরী হবার পর শক্রবাহী নালী দিয়ে বের হয়ে এ শুক্রাণু বীর্যের সাথে মিলিত হয়। পুরুষদের দেহের তলপেটের নিচে দুটি বীর্যথলি আছে যা থেকে একরকম রস তৈরী হয়। এ রসই বীর্য বা সিমেন নামে পরিচিত। পুরুষদের যৌন উত্তেজনা হলে পুরুষাঙ্গ থেকে এ বীর্য বের হয়। বীর্য এবং মূত্র একই পথে বের হলেও একসাথে বের হয় না।

পুরুষাঙ্গ মূত্র ও যৌনমিলন উভয়কাজেই ব্যবহৃত হয়। এর আকার বা আকৃতি সকল পুরুষের একরকম হয় না। স্বাভাবিক অবস্থায় পুরুষাঙ্গ তুলতুলে নরম থাকলেও কোন কারণে এটি উত্তেজিত হলে শক্ত এবং বড় হয়ে লৌহদেন্ডর আকার ধারণ করে।

নারী যৌনাঙ্গ : প্রাণীর সেই লিঙ্গকে নারী লিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ বলে, যে নিজের শরীরে সন্তান ধারণ করে। নারীরা যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে পুরুষদের শুক্রানু নিজ দেহে প্রবেশ করিয়ে সন্তান উৎপাদন করে। নারী যৌনাঙ্গের মধ্যে কয়েকটি অংশ দেহের বাইরে থাকে এবং কয়েকটি অংশ দেহের ভিতরে থাকে যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।

নারীদের তলপেটের ভিতরে দুপাশে দুটো ডিমের থলি আছে। এগুলোকে ডিম্বাশয় বা ওভারি বলে। নারীরা যখন বড় হয় তখন প্রত্যেক মাসে এই ডিমের থলিতে একটি করে ডিম পরিপক্ক হয়। দুই ওভারির মাঝখানে রয়েছে জরাযু বা বাচ্চাদানী। এ জরায়ুতেই মাসিকের রক্ত তৈরী হয় এবং এখানেই শিশু বড় হয়। জরায়ুর ওপরের দিকে দুপাশ খেকে দুটি নালী শুরু হয়ে ডিম্বাশয়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়েছে। এ নালী দটিকে ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্ববাহী নালী বলে। যখন ডিম্বথলিতে প্রতিমাসে ডিম পরিপক্ক হয় তখন তা এই নালী দিয়ে জরায়ুতে আসে।

নারীদের বাচ্চা হবার রাস্তা বা যোনীপথ জরায়ুর নিচে রয়েছে। এটি জরায়ুর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নিচের দিকে ছোট একটি ছিদ্র হয়ে বাইরে এসে শেষ হয়েছে। যোনীপথ দিয়ে মাসিকের রক্ত বের হয়, এ পথেই যৌনমিলন হয় এবং এ পথ দিয়েই একটি শিশু মায়ের পেট থেকে বের হয়ে আসে। যদিও আজকাল পেট কেটেই শিশু জন্মগ্রহণ করানো হয়। যোনীপথ ছাড়াও আরো দুটি ছিদ্র রয়েছে। যোনীপথের সামনের ছিদ্রটি মূত্রনালী এবং পেছনের ছিদ্রটি মলনালী বা পায়ূপথ।

Spread the love

Check Also

সহবাস

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে ভুল ধারণা

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *