মানুষ হয়ে জন্মালে তাকে দুশ্চিন্তায় পড়তেই হবে। এমন কোন মানুষ নাই যে, দুশ্চিন্তা করে না। তবে কারো কারো দুশ্চিন্তা বেশি আবার কারো কম। কারণ মানুষ মাঝে মাঝে এমন নতুন নতুন অবস্থার সম্মুখীন হয় যা আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি। নতুন এবং খারাপ ধরণের পরিস্থিতি মানুষকে আরো বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে। বৃদ্ধ যুবক সব বয়সের মানুষের দুশ্চিন্তা থাকলেও বৃদ্ধ বয়সে এই দুশ্চিন্তা চূড়ান্ত এবং দীর্ঘ রূপ নেয়। মানে জীবনের সাথে গেথে যায়। দুশ্চিন্তার জন্খুয নান রকম রোগের জন্বম নেয়।আর সব থেকে বড় রোগ হলো মনের রোগ। কম লোক আছে যারা দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো অাওড়ালে দুশ্চিন্তা কমানো যায়। তবে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল আদৌ সম্ভব না। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব দুশ্চন্তা থেকে মুক্তি পেতে কিছু exercise tips ছাড়াও আরো কিছু টিপস। জানা যাক কীভাবে দুশ্চিন্তা কমানো যায় তার কিছু টিপস।
১. আপনি হয়তো মেডিটেশনের নাম শুনে থাকবেন। যাদুরমত কাজ করে মেডিটেশন পদ্ধতি।কারণ মেডিটেশনের মূল উদ্দেশ্য মনকে স্থির করা।অন্য কোন চিন্তা মনের ভিতর থাকে না।সুতরাং অনেকটা উপকার পাবেন এই পদ্ধতিতে।
২. অনেকে আবার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করেন। সাময়িক উপকার আপনি ঠিকই পাবেন। তবে একবার ভেবে দেখুন তো সামনে কি করবেন? কারণ এই সমস্ত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
৩. একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন। আপনি যদি কাজের ভিতর থাকেন তবে অনেক সময় ভাত খেতে বা অন্যান অনেক রুটিন মাফিক কাজ ও করতে ভুলে যান। তাই দুশ্চিন্তা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে নিজেকে কোন কাজের ভিতর ব্যস্ত রাখুন।
৪. মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়লে অসামাজিক হয়ে যায়। কেউ তার সাথে মেশে না, সেও মিশতে পারে না।তবে সামজিক ভাব না থাকলে কেউ ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারে না।আপনার সমস্যা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। নিজিরে ভিত চেপে রাখবেন না।দেখবেন অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে।
৫. কোন কাজকে কঠিন মনে করবেন না।অনেক কাজের ভিতর জটিল কাজ থাকাটা স্বভাবিক।তবে তার ভিতর যে সহজ নাই তা না। আপনার উচিত সবগুলো কাজের ভিতর যেটি আপনার কাছে সহজ মনে হয়ে, প্রথমে সেটি করুন। দেখবেন পরবর্তী কাজগুলো আস্তে আন্তে সহজ হয়ে যাবে।
পড়ুন নতুন ইতিহাস, বিশ্বব্যাপী একইদিনে ঈদ হবে এবার
৬. প্রতিদিন যে কোন খোলামেলা জায়গায় ঘুরে বেড়ান। অনেকের কাজ থাকার কারণে প্রতিদিন ঘুরতে পারেন না। অন্তত্য শুক্রবারে প্রিয় কোন স্থানে বা পার্কে ঘুরতে যেতে পারেন। দেখবেন মনের উপর থেকে চাপ অনেকটা কমে গেছে।
৭. মনে রাখবেন সুস্থ্য দেহ মানে সুস্থ্য মন। দেহকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।আর ভোরে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন।