Wednesday , 4 October 2023

কাম রস কি এবং কেন বের হয়?

কামভাব জাগলে স্বচ্ছ পানির মত যে তরল পদার্থ পুরুষাঙ্গ থেকে বের হয়, তাকে কামরস বলে।কাম রসের ইংরেজিতে নাম ডগ ওয়াটার।কাম রস ও পুরুষের বীর্য প্রায় একই রকমরে তরল পদার্থ শুধু এই দুটির ভিতর উপাদানগত কিছু রাসায়নিক পার্থ্যক্য রয়েছে।সব পুরুষের সমানভাবে কামরস নির্গত হয় না।কারো কারো মোটেও হয়না আবার কারো কারো সর্বোচ্চ ৫ মি:লি এর মত নির্গত হয়।

কাম রস কি কি কাজ করে?
শুক্রানুর জন্য অম্লতা কক্ষিতিকর।প্রস্রাব করারপর কিছু পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ মুত্রনালীতে থাকে।শুক্রানকে নিরাপদে রাখতে কাম রস ঐ সকল রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং শুক্রানুর চলন পথ স্বচ্ছ করে।তাছাড়া নারীদের যোনীপথে অম্লীয়ভাব থাকে।যোনীতে বীর্য স্থলণ করলে এসিডিক পরিবেশে শুক্রানুর ক্ষতি করে।কিন্তু কম রস নারীর যোনী পথের এসিডিক ভাব দূর করে ফলে শুক্রানু নিরাপদ থাকে।নারীদের যোনীপথে সহজে লিঙ্গ সঞ্চালনের জন্য কামরস যোনীপথ পিচ্ছিল করে।

সমস্যা সমুহ :
কাম রসের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে।কারণ কাম রসের সাথে সামান্য পরিমাণে শুক্রানু বা পুরানো শুক্রানু বের হয়ে আসতে পারে।তাই সতর্ক থাকবেন যে, কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে ও গর্ভধারণ হতে পারে। তাছাড়া কাম রসের মাধ্যমে এইডসসহ অন্যান রোগ ও হতে পারে।

অন্যান্য দিক :
খুব কম পুরুষদের অতিমাত্রায় কাম রস নির্গত হয়। তবে কারো যদি এমন সমস্যা দেখা দয়ে,তবে দ্রুত ভালো কোন চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে।স্বভাবিকাবে কামরসে কোন শুক্রানু থাকে না, তবে কেউ যদি আগে যৌন মিলন করে সেই পুরানো শুক্রানু কাম রসের সাথে মিশে বের হতে পারে।

ইসালামে দৃষ্টিতে কাম রস :
ইসলামের দৃষ্টিতে কাম রস শরীরকে নাপাক করে না। যদি বীর্য নিঃস্বরিত হয়, তবে পবিত্রতার জন্য গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যেখানে কাম রস লেগেছে সে জায়গা ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে এবং আপনি তারপর নামাজও পড়তে পারবেন।

Spread the love

Check Also

নারীরা যৌন অতৃপ্তিতে ভোগেন যেসব কারনে

জীবনে নারীদের অসুখী হওয়ার হার অনেক বেশি। এমনকী নিজের ভালোবাসার পুরুষটির সঙ্গেও যৌন জীবন নিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *