মাথা ব্যথা ঘন ঘন! কিহ করবেন? কেউ কেউ মাথা ব্যথা শুরু হলেই ওষুধ বা চা-কফি খেতে শুরু করেন, তাতে ব্যথা আরও বাড়ে। মাথা ব্যথা কমাতে নিয়মিত সকালের নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত বলছে চিকিৎসকরা। মাথা ব্যথা বা হেডেক প্রায় সকলেরই হয়। জীবনে কোনও না কোনও সময় মানুষ এই সমস্যাতে পড়েন। আর যখন মাথা ব্যথা হয়, তখন কিছুই ভালো লাগে না।
সাধারণত অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, অতিরিক্ত গরম, শব্দ বা আলোতে মাথা ব্যথা শুরু হয়। অনেকের আবার ঘুম থেকে ওঠার পরেও মাথাব্যথা করে। অতিরিক্ত মাথা ব্যথায় মনে হয় কপালের দুই পাশের রগ যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে।মাথা ব্যথা সহ্য করা বেশ কঠিন। তাই অনেকেই আছেন ব্যথা শুরু হলেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন। অনেকে আবার চা-কফি খেতে শুরু করেন। তাতে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তা হলে মাথা ব্যথা শুরু হলে কী করা উচিত?
চিকিৎসকেরা বলছেন, ওষুধ না খেয়ে বা জেল না লাগিয়ে, কিছু নিয়ম মানলেই কাজ হবে বেশি। প্রাকৃতিক উপায়েই মাথা ব্যথা কমবে খুব তাড়াতাড়ি।
ঘরোয়া উপায়ে মাথাব্যথা কমানোর নিয়ম-
- নিয়মিত সকালের নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অনেকেই আছেন যারা কাজের তাড়াহুড়ায় সকালের নাস্তা না খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর সারা দিন কাজের মাঝে প্রচুর চা-কফি খেতে শুরু করেন। যার ফলে কাজের চাপ, খালি পেট সব মিলিয়ে মাথা ব্যথা শুরু হয় দ্রুত। আর তাই চিকিৎসকেদের পরামর্শ, নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খেতে হবে, খাওয়া বাদ দিলে চলবে না।
- সারা দিনে যদি বেশি করে পানি পান করুন, তা হলে মাথাব্যথা হবে না। এক জন প্রাপ্তবয়স্ককে দিনে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। তবে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগবালাই থাকলে দিনে কতটা পরিমাণ পানি পান কড়া উচিত তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ থেকে মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে। মাইগ্রেন থাকলে এই সমস্যা আরও বাড়ে। মাথাব্যথা হলেই যাঁরা ঘন ঘন ওষুধ খান, তাদের এই সমস্যা হতে পারে। তাই আগে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। অনেকেই মানসিক অবসাদের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। তাঁদেরও মাথাব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে। প্রতিদিন তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে কপালের দু’পাশ, ঘাড় ও কপালে হালকা হাতের মাসাজ করিয়ে নিন, অনেক আরাম পাবেন।
- কেউ কেউ আছেন যাদের পারফিউম বা যেকোন কড়া গন্ধে বা ঘ্রাণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের মানুষদের কড়া যে কোন ধরনের গন্ধ বা ঘ্রাণ থেকে দূরে থাকা উচিত।
- ঘুম ভাল না হলে মাথাব্যথা বাড়ে। বেশি ঘুম যেমন ভাল নয়, তেমনই কম ঘুমও ক্ষতিকর। টানা ঘুম জরুরি। মাথাব্যথা এড়াতে ঘুমের সময় মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না বা হেডফোনে জোরে গান শুনবেন না।
- অতিরিক্ত আওয়াজের মধ্যে থাকা, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাথাব্যথার সমস্যা হয়। যদি হেডফোনে কিছু শুনতেই হয়, তা হলে একটানা শুনবেন না। কিছুটা সময় বিরতি নিয়ে শুনুন। এতে কানের আরাম হয়।
- মাথাব্যথা শুরু হলে খুব বেশি আলোর মধ্যে থাকা উচিত নয়। পারলে ঘর অন্ধকার করে থাকুন। এতে মাথা যন্ত্রণা থেকে একটু আরাম পাওয়া যায়।
- শ্বাসের ব্যায়াম মাথাব্যথায় আরাম দিতে পারে। জোরে শ্বাস টানুন, কিছুক্ষণ ধরে রেখে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। ১০ মিনিট এই ব্যায়াম করতে পারেন। মাথাব্যথায় খুব আরাম দেয়।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়াই ভাল। মনে রাখবেন, বেশি মাত্রায় নিকোটিন বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
নেইল পলিশ লং লাস্টিং ধরে রাখতে কার্যকরী ১০টি হ্যাকস
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।