Saturday , 4 May 2024

জেনে রাখুন কাদেরকে বিয়ে করা বৈধ এবং অবৈধ!

অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা যাবে কিনা ? তার উত্তর হচ্ছে- আসলে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে যাদের সাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সকলের কথাই বলে দিয়েছেন খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোন তাদের মধ্যকার কেউ নন ।অতএব,তাদেরকে বিবাহ করাও বৈধ হবে । জেনে রাখুন কাদেরকে বিয়ে করা বৈধ এবং অবৈধ!

জেনে রাখুন কাদেরকে বিয়ে করা বৈধ এবং অবৈধ!

যে সমস্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদেরকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
এক. স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ নারী- তারা তিন শ্রেণীর।
ক.বংশগত কারণে নিষিদ্ধ
তারা হচ্ছেন-
১. মাতা
২. দাদী
৩. নানী
৪. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে যত নিচেই যাক না কেন ।
৫. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন ।
৬. নিজের ফুফু, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর ফুফু ।
৭. নিজের খালা, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর খালা ।
৮. আপন ভাই, বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই ও তাদের অধঃতন ছেলেদের কন্যা ।
৯. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন ও তাদের অধঃতন মেয়েদের কন্যা ।
খ. দুগ্ধ সম্বন্ধীয় কারণে নিষিদ্ধ
বংশগত কারণে যাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ দুগ্ধ সম্বন্ধের কারণেও তারা নিষিদ্ধ । তবে, শর্ত হচ্ছে- দুই বছরের আগেই স্তন্য পান করা । দুই বছর বয়সের পর স্তন্য পান করলে স্তন্যদান কারীনীর সাথে তার দুগ্ধ সম্পর্ক সৃষ্টি হবে না ।
গ. বৈবাহিক সম্বন্ধের কারণে নিষিদ্ধ
১. পিতা, দাদা ও নানা (যতই উপরে যাক না কেন) যাদেরকে বিবাহ করেছেন ।
২. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পুত্র-পোত্র বা প্রপোত্রের সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৩. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পিতা-দাদা বা নানার সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৪. শাশুড়ী। মহিলার সাথে বিবাহ হলেই তার মাতা ও দাদী বা নানী হারাম হয়ে যাবে। দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক ।
৫. স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেই তার কন্যা, তার পুত্রের কন্যা ইত্যদি হারাম হয়ে যাবে ।
দুই. সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ মহিলা
সাময়িক কারণে কখনো কখনো মহিলাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। উক্ত কারণ দূর হয়ে গেলে তাকে বিবাহ করা বৈধ হবে।
১. কোন মহিলাকে বিবাহ করলেই তার আপন বোন, ফুফু, খালাকে বিবাহ করা হারাম গণ্য হবে । তবে, তাকে যখন তালাক দিয়ে দেবে কিংবা, স্বামী মারা যাবে এবং সে ইদ্দত শেষ করবে, তখন তাকে সে বিবাহ করতে পারবে ।
২. যে মহিলা অন্যের বিবাহাধীনে ছিল। তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে কিংবা মারা গেছে এবং সে ইদ্দত পালন করছে; এমতাবস্থায় তাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ । ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেই বিবাহ করতে পারবে ।
অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা যাবে কিনা ? জেনে রাখুন কাদেরকে বিয়ে করা বৈধ এবং অবৈধ! তার উত্তর হচ্ছে- আসলে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে যাদের সাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সকলের কথাই বলে দিয়েছেন খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোন তাদের মধ্যকার কেউ নন।অতএব,তাদেরকে বিবাহ করাও বৈধ হবে । এমনকি,চাচা মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে চাচীকে বিবাহ করার বৈধতাও ইসলাম দিয়েছে ।তবে,তাদেরকে বিবাহ করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ইচ্ছা ।

বি:দ্র: নিকটাত্মীয় স্বজনদের মধ্যকার খালাত,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা বৈধ হলেও অনেক আলেম তাদেরকে বিবাহ না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । কারণ,নিকটাত্মীয় স্বজনদেরকে বিবাহ করলে সন্তান নাকি দুর্বল হয় । তবে,তা হারাম বা অবৈধ নয় ।

 

সুন্দরী স্ত্রী হলে তবে কি সমস্যা দেখা দেয়?

আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।

যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।

আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

ফেসবুক পেজ

আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

 

 

Spread the love

Check Also

বড় বোন থাকলে তার কিছু মজার দিক সম্পর্কে জেনে নিন

যখন ভাইবোনের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যায় তখন অনেকেই মনে করেন বাবা মায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *