Monday , 4 December 2023

কেগেল ব্যায়াম করলে কি বীর্যপাত বিলম্বিত করা যায়?

যৌন মিলনকালে অনেকেরই খুব দ্রুত বীর্যপাত ঘটে। স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনেক স্বামী দিতে পারে না। অনেকই দ্রুতবীর্যপাতন থেকে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আজ আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে যে, কেগেল ব্যায়াম করলে বীর্যপাত বিলম্বিত করা যায় কিনা এই বিষয়ে।

প্রশ্নঃ পেনিসে মেয়েদের র্স্পশ লাগলে বা চরম যৌন আকাঙ্কা জাগলে বা মিলনের একটু পর যখন যৌন অনুভুতি চরমে গিয়ে বীর্য বের হতে চায়, তার সময় কি কেগেল ব্যায়াম এর মাধ্যমে প্রলম্বিত করা সম্ভব? মানে যেমন – কিছু ঔষধ খাওয়ার পর যৌনসঙ্গম বা ওরাল সেক্স করলে খুব দ্রুত র্বীয বের হয়না, অনেক সময় নিয়ে করতে পারি। কিন্তু ঔষধ না খেয়ে করলে আগের মতই খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত হয়ে যায়! ঐ অনুভুতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে ঔষুধ (medicine) না খেয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে মিলন করতে পারবো? কেগেলে তো এটা হয় না?

উঃ হ্যাঁ, কেগেল ব্যায়ামের মাধ্যমে “ঐ” অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে দীর্ঘক্ষণ যৌনসঙ্গম বা ওরাল সেক্স করা সম্ভব (যারা জানেন না তারা জেনে নিন ওরাল সেক্স কি ? এটি করা কি ক্ষতিকর ?)। সঠিক উপায়ে কেগেল ব্যায়াম করলে PC-পেশি শক্তিশালী হয় যার মাধ্যমে সঙ্গমের সময় বীর্যপাত বিলম্বিত করা যায়। সঙ্গম বা হস্তমৈথুন করতে করতে যখন মনে হবে আর একটু করলেই বীর্যপাত হয়ে যাবে তখন PC-পেশী সংকুচিত করে সঙ্গম থামিয়ে দিন। অতঃপর PC-পেশী ধীরে ধীরে শিথীল করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। এরপর উত্তেজনা খানিক কমলে আবার শুরু করতে পারেন। প্রথম প্রথম হয়তো ব্যাপারটা একটু কঠিন মনে হবে। কিন্তু এইভাবে কিছুদিন অভ্যাস করলে দেখবেন বীর্যপাতের উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর জন্য নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন।

আপনি ঔষধ খাবার পরিবর্তে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্থায়ীত্ব প্রদায়ী কন্ডোম (long lasting condoms, যেমন Durex extended pleasure) ব্যবহার করতে পার। ওইসব কন্ডোমে এক বিশেষ রাসায়নিক লাগানো থাকে যাতে লিঙ্গের সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং ফলস্বরূপ দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিছু কিছু desensitizing জেলও বাজারে পাওয়া যায় যাদের ব্যবহারেও সঙ্গমকাল বৃদ্ধি করা সম্ভব। যদি একান্তই ঔষধ খেতে হয় তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য, নাহলে হীতে বিপরীত হতে পারে।

সঙ্গম করার সময় কখনো তাড়াহুড়ো করবেনা। ধীরে ধীরে “স্লো মোশনে” শুরু কর, সময়ের সাথে আস্তে আস্তে স্পীড বাড়াও (কথায় আছেনা “slow and steady wins the race”)। আরেকটা জিনিস মনে রাখবে – আলাদা আলাদা “পোজ” বা ভঙ্গিতে সঙ্গম করলে যৌন উত্তেজনার হারও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কোন পোজ বা ভঙ্গিতে সঙ্গম করলে বীর্যপাত হতে বেশি সময় লাগছে সেটা জানতে বিভিন্ন পোজে সঙ্গম করে দেখ। উদাহরণস্বরূপ, অনেকেরই “ওমেন-অন-টপ” পজিশনে উত্তেজনা ধীরে হয় এবং বীর্যপাত বিলম্বিত হয়। নিয়মিত একই নারীর সাথে সঙ্গম করলেও বীর্যপাত দেরিতে হতে পারে। যৌনসঙ্গমের কিছু পূর্বে একবার হস্তমৈথুন বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমে বীর্য বের করে নিলেও সঙ্গমের সময় বীর্যপতন দেরিতে হবে। মনে রাখবেন শীঘ্রপতন প্রধানত একটি মানসিক সমস্যা।

Spread the love

Check Also

যোগ ব্যায়াম

যোগ ব্যায়াম কতটুকু শারীরিক এবং মানসিক ব্যায়াম?

যোগ ব্যায়াম (Yoga) এর অন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি মাংসপেশি বৃদ্ধি না করে বরং সমস্ত শরীরের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *