যে ব্যায়াম সমূহ ঘরের জন্য উপযোগী এই ব্যস্ত জীবনে জিমে ব্যায়াম করার সময়টা খুব বেশী শরীর সচেতন মানুষ ছাড়া কেউই বের করতে পারেন। জিম দূরে থাক, নিত্যদিনের শতেক কাজের চাপে পার্কে গিয়ে হেতে আসাটাও সম্ভব হয়না কারো কারো পক্ষে।
আবার যারা গৃহিণী এবং সন্তানের মা, তাদের তো কথাই নেই। চব্বিশ ঘণ্টাই বাড়িতে কেটে যায় তাদের।
আবার অনেকের বাড়ির আশেপাশে নেই কোনও হেঁটে আসার পার্ক পর্যন্ত।
তাই বলে দিনরাত ঘরে তো আর বসে থাকা যায়না। কেবল যে ওজন কমানোর জন্যই ব্যায়াম করতে হবে, ব্যাপারটা তাও নয়।
ব্যায়াম প্রয়োজন শরীরের সুস্থতার জন্যই।
ব্যায়ামের ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ঘামের সাথে বেরিয়ে যায় অনেক ক্ষতিকর পদার্থ। আবার ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
-বাড়িতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না।
ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামের বই কিনতে পাওয়া যায়, সিডিও কিনতে পাবেন।
সকালে দেখবেন অনেক চ্যানেলেই এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠান হয়। অনুসরণ করতে পারেন সেইসব।
-বাড়িতে যতো সময় অবস্থান করবেন সেই সময়ে শুয়ে বা বসে না থেকে হাঁটা চলা করাও যে এক প্রকার ব্যায়াম তা অনেকেই জানেন না।
আপনার বাড়িতে যদি সিড়ি থাকে তাহলে কারণে অকারণে দৈনিক কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়।
এত আপনার মাংস পেশির ব্যায়াম হবে।
-বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের ফ্যাট ঝরে যায়।
-হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যে কোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন।
তবে এ সময় উপযুক্ত জুতো পরবেন, যাতে পায়ের ওপর চাপ না পড়ে।
-দু’হাত সোজা করে উপরের দিকে রাখুন।
পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে যতোটা পারেন লাফান। কোনো বিরতিছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফাবেন।
এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার সাইকলটা রিপিট করুন। অনেকটা ক্যালোরি ঝরে যাবে।
-পুশ-আপ করতে পারেন। এই ব্যায়াম আবার বুক ও হাতের মাসলের শক্তি বাড়ায়। মাটির ওপর উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার হাটুতে ভাজ না পড়ে। শুরুতে ৫ থেকে ১০ টা পুশ আপ দেয়ার চেষ্টা করুন।
সকালে এক সেট এবং বিকালে এক সেট পুস-আপ্স করতে পারেন।
-পেটের মাসলের শক্তি বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাটু ভাজ করুন।
ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন।
মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমশ শোয়া অবস্থায় ফিরে যান।
শুরুতে ৩ থেকে ৫টা সিট আপ যথেষ্ট হবে, আস্তে আস্তে বাড়ান।
এতে কমে যাবে পেটের বাড়তি চর্বি।
বিভিন্ন ধরণের শরীরচর্চা বিষয়ক টিপস পেতে আপনার ডক্টরের সাথে থাকুন।ধন্যবাদ
সূত্র: প্রিয় লাইফ
আশাকরি আমাদের আপডেটগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
আর নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।
ধন্যবাদ আমাদের সাইটের সাথে থাকার জন্য।
আশাকরি আমাদের আপডেট এবং টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।