Saturday , 13 September 2025

সাবান বারবার মেখে গোসল, ত্বকের হতে পারে যে ক্ষতি জানুন

সাবান জীবানু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষ্মতা বাড়ায়। শরীর সুস্থ রাখে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপন্ন। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই বারবার সাবান মেখে গোসল করেন। এতে ঘাম, ধুলো-ময়লা যেমন ধুয়ে যায়, তেমনই শরীরে তরতাজা ভাবও আসে। তবে বার বার ক্ষার-যুক্ত এটি মেখে নিজের অজান্তেই ত্বকের ক্ষতি করছেন নাতো?

সাবান
সাবান বারবার মেখে গোসল, ত্বকের হতে পারে যে ক্ষতি জানুন

 

আপনি রোজ গোসল করেন অনেকটা সময় ধরে। রোজ গায়ে দামি অথবা মাঝারি দামের সাবানও মাখেন? আপনি ভাবেন এর জন্য আপনার ত্বক কত ভাল থাকবে? আপনি কত সুন্দর এবং টানটান হয়ে থাকবেন অনেক বয়স পর্যন্তও।

তবে ইউরোপের চিকিৎসকরা একেবারে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাদের বক্তব্য, গোসল রোজ করছেন এটা খুবই ভাল। কিন্তু যে সাবান দিয়ে আপনি রোজ ঘসে ঘসে গা পরিষ্কার করছেন, চকচকে হচ্ছেন, সেটা কিন্তু মোটেই ভাল নয়।

সাবান মানেই খার। সেটা কম মাত্রা অথবা বেশি মাত্রা হতে পারে। কিন্তু রোজ আপনার শরীরে খার গেলে তা আপনার শরীরকে মোটেই চিরকাল ভাল রাখবে না। যার সুফল আজ টের পাচ্ছেন, তার অনেক বেশি কুফল কাল টের পেতে চলেছেন।

গোসলের সময় নিয়মিত সাবানের ব্যবহার করলে ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানের ব্যবহারে এই ক্ষতি বেশি হয়।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান প্রখর ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো প্রতিরোধ করা বা মেরে ফেলার পাশাপাশি উপকারীগুলোকেও প্রতিরোধ করে।

দিনে কত বার গোসল করবেন বা করবেন না তা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে প্রতি বার গায়ে ক্ষার-যুক্ত এটি মাখার প্রয়োজন নেই। গোসল করার পর তরতাজা লাগলেও আদতে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে ঘন ঘন সাবান ব্যবহারের ফলে। গায়ে র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

এবিষয়ে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সাবান মাখা যেতে পারে। রোজ এটি মাখতে হলে এমন সাবান বেছে নিতে হবে, যেগুলোর মধ্যে ক্ষারজাতীয় কোনো রাসায়নিক নেই। সেক্ষেত্রে গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড কিংবা ইউরিয়া দেওয়া তরল সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

গরমকালেও ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম মাখতে হবে। বিশেষ করে শরীরের খসখসে বা অতিরিক্ত শুষ্ক অংশগুলোতে। যেমন- পিঠ, ঘাড়, কনুই, নিতম্ব, হাঁটু, গোড়ালি এবং দুই পায়ে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। শুধু ‘মাইল্ড’ কোনও বডিওয়াশ দিয়ে স্নান সেরে নিলেই ত্বকের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া যায় না।

বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজারও ত্বকের ধরন বুঝে কিনতে হয়। গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড কিংবা ইউরিয়া এবং শিয়া বাটার- যার যেটি প্রয়োজন সেই বুঝে ময়েশ্চারাইজার কিনতে পারেন।

গরমে বারবার গোসলের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন- যতই গরম পড়ুক, অনেকক্ষণ পানির তলায় থাকা যাবে না। খুব বেশি হলে ১০ মিনিট আপনি শাওয়ারের নিচে থাকতে পারেন। রোদ থেকে ফিরে গোসল করা ঠিক নয়, কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে গোসল করা উচিত।

চিনির ব্যবহার ত্বক ভালো রাখতে

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব

Spread the love

Check Also

শীতে চুলের যত্ন

শীতে চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে জানুন

শীত মানেই হচ্ছে উৎসবের মৌসুম। শীত মানেই মিঠেকড়া রোদে ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গে আছে পিকনিক, হইচই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *