আরামদায়ক পোশাক যদি না হয় এই গরমে তো হার্টএটাক হতে পারে।চারদিকে এখন ভ্যাপসা গরম। এই প্রচণ্ড গরম শিশু, তরুণ, বয়স্ক – সব বয়সীদেরই জন্যই অস্বস্তিকর। প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ঘামার কারণে এর থেকে সর্দি, কাশি, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন অসুস্থতাও হতে পারে। এছাড়াও পড়তে হয় নানা অস্বস্তিতে। আর তাই এই গরমে ঘরে বা বাইরের পরিধেয় পোশাকটা হওয়া চাই আরামের। কারণ এ সময়ে পোশাক যদি আরামদায়ক না হয় তবে সারাটাদিনই কাটে হাঁসফাঁসের মধ্য দিয়ে। তবে আরামের কথা ভাবতে চেয়ে ফ্যাশনটাও কিন্তু ভুলে যাওয়া যাবে না। ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরামটাও পুরোপুরি পাওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসব নিয়েই কয়েকটি পরামর্শ :
গরম সবার জন্যই অস্বস্তিকর। শিশুদের জন্য তা আরও কষ্টদায়ক। তাই গরমে শিশুর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। গরমের দিনে শিশুর পোশাক ঢিলেঢালা হওয়া প্রয়োজন, যেন গায়ে বাতাস ঢোকে, সেই সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাকে শিশু যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে তেমনি অতিরিক্ত ঘাম থেকেও মুক্ত রাখতে সহযোগিতা করবে। শিশুদের এ ধরণের আরামদায়ক পোশাক দেশীয় সব ফ্যাশন হাউসেই রয়েছে। মেয়েদের জন্য আছে ছোট ও বড় ফ্রক, স্কার্ট, ফতুয়া, সালোয়ার কামিজ,টিশার্ট সহ আরও অনেক পোশাক। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট-প্যান্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট। এসব পোশাকের ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রে আরামদায়ক সুতি কাপড়ই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কটন, লিলেন, ডেনিম ও গেঞ্জি কাপড়ের আরামদায়ক পোশাকও আছে এ তালিকায়। উজ্জ্বল বা হালকা – যার যেমনটা পছন্দ তেমন প্রায় সব রং এর পোশাকই পাওয়া যাবে।
শিফন, সুতি, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, ভালো মানের নেটের তৈরি পোশাকগুলোতে গরমে আরাম পাওয়া যাবে। সুতির কাপড় সব থেকে আরামের হলেও সেটি সব জায়গার জন্য মানানসই নয়। শিফনের কাপড় এ ক্ষেত্রে হতে পরে আদর্শ বাছাই। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসবে। মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই। জায়গা বুঝে কাপড় নির্বাচন করতে হবে। খুব বেশি চলাফেরা করতে হলে সুতির তৈরি পোশাক না পরাই ভালো। তাড়াতাড়ি ভাঁজ পড়ে যায়। দিনের বেলায় হালকা হলুদ, হালকা গোলাপি, বিভিন্ন শেডের প্যাস্টেল রঙগুলো দেখতে ভালো লাগবে। আবার অনেক মেয়েও গরমে শাড়ির পরিবর্তে শর্ট ফতুয়া, শর্ট কামিজ পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গরমে আরামদায়ক পোশাক ছাড়াও এটাকে তারা ফ্যাশন হিসেবেও ব্যবহার করে।
গরমে ছেলেদের সেরা আরামদায়ক পোশাক হচ্ছে টি-শার্ট। বিশেষ করে কলেজপড়ুয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেদের এটির কোনো বিকল্প নেই। কারণ টি-শার্ট জিন্স, গ্যাবাডিন কিংবা অন্য প্যান্টের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়। যারা চাকরি করেন এই গরমে পোশাকের ব্যাপারে তাদের নতুন করে ভাবতে হবে অনেক কিছুই! এমন পোশাক পরুন যাতে আপনিও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন আবার ক্লায়েন্টও অস্বস্তিবোধ না করে। হাফহাতা সুতি বা প্রিন্টের শার্ট, পোলো শার্ট অথবা ফতুয়ার সঙ্গে স্ট্রেইট কাটের জিন্স পরতে পারেন। অথবা সুতির ফরমাল পোশাক পরিধান করুন। তবে খেয়াল রাখুন শার্টের কাটিং যেন আপনার জন্য আরামদায়ক হয়, একটু ঢিলা-ঢালা কাটের শার্ট পরুন। এক্সক্লুসিভ বা বেশি দামের শার্ট যত সুন্দরই হোক, এই গরমে তা স্বস্তি দেবে না।
বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে নারকেল তেলের ৩ টি ব্যবহার
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব