প্রথম রহস্য : স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করার পর সকলকে গোসল করতে হবে। এটি খুব জরুরী ও ইসলামি বিধান অনুযায়ী ফরজ কাজ। গোসলের সময় সারা শরীরে পানি ঢালবে। সামান্য স্থানও যেনো শুকনা না থাকে। কেননা, যৌন মিলন করার সময় যে বীর্যপাত হয়ে থাকে তা সমস্ত শরীর থেকেই হয়ে থাকে। বীর্য শরীরের মূল উপকরণ যা সমস্ত শরীর হতে নিসৃত হয়ে কোমরের পথা দিয়ে এসে যৌনাঙ্গে দিয়ে বের হয়। এ বীর্য বের হওয়ার দ্বারা শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। আর যেহেতু বীর্য শরীরের সকল অঙ্গ থেকে এসে থাকে সেহেতু গোসলের সময় সমস্ত শরীর পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। সামান্য স্থান শুকনো থাকলেও পূর্ণাঙ্গ গোসল হবে না। আর পুর্ণাঙ্গ গোসল না হলে সে পবিত্রও হবে না। [বেহেশতি জেওর]
দ্বিতীয় রহস্য : যৌন মিলন দ্বারা শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, অলসতার ভাব দেখা দেয়। আর গোসলের দ্বারা এসব দূর হয়ে যায়। সে সাথে অন্তরে শক্তি, প্রফুলতা, আগ্রহ ও উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়। হযরত আবু গিফারী রা. বলেন- সহবাসের পর গোসল করলে মনের হালত এমন হয় যেন মাথা হতে পাহাড়সম ভার দূর হয়ে গেল। [বেহেশতি জেওর]
তৃতীয় রহস্য : যৌন মিলন এর পর মানুষের অন্তরে একপ্রকার অস্থিরতা ও সংকীর্ণতা থাকে। আর এটা কেবল গোসলের দ্বারাই দূর হয়ে থাকে। বিনা গোসলে খাওয়া-দাওয়া করা ও অধিক সময় অবস্থান করার দ্বারা দারিদ্রতা দেখা দেয়। [রুহানি এলাজ]
চতুর্থ রহস্য : অভিজ্ঞ হাকিমগণ বলেন,যৌন মিলন এর পর গোসল করলে সহবাসের ক্ষয়কৃত শক্তি ও উদ্দিপনা পুনরায় ফিরে আসে এবং দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। সহবাসের পর গোসল করাশরীর ও আত্মার জন্য খুবই উপকারী। পক্ষান্তরে সহবাসের পর গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় থাকার কারণে শরীর ও আত্মার অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। [রুহানি এলাজ]
পঞ্চম রহস্য : যৌন মিলন দ্বারা বীর্যপাত হলে শরীরের সমস্ত ছিদ্র খুলে যায়। এতে সে ছিদ্র দিয়ে ঘাম বের হওয়ার সাথে সাথে শরীরের দুর্গন্ধযুক্ত সারাংশও বের হতে থাকে। আর সে দুর্গন্ধযুক্ত সারাংশ লোক ও ছিদ্রের মুখে এসে থেমে যায়। সুতরাং গোসলের মাধ্যমে সমস্ত শরীর পরিষ্কার করা না হলে রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। সেহেতু সহবাসের পর গোসল করা সকলের জন্যই আবশ্যক। আর তা না সহবাসে হোক আর স্বপ্নদোষে হোক কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে বীর্যপাত হয়ে থাকুক। [বেহেশতি জেওর]
সূত্র: প্রিয়.কম