Friday , 18 October 2024

যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ায় পুরুষেরা বিপদে

যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই।স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি।

যৌন
যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ায় পুরুষেরা বিপদে

 

যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ায় পুরুষেরা বিপদে

 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, মায়ের পেটে থাকার সময় একটা শিশু পুরুষ নাকি নারী হবে-সেটাও এই হরমোনের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হতে থাকে।

“বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।”

মি. সেলিম বলেন, প্রজনন ও যৌন ক্ষমতা পুরোপুরিই এই হরমোনের উপর নির্ভরশীল।

“আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।


টেস্টোস্টেরন কী?

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে।

তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

অনেক কিশোরদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ হয় ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কী?

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিকে মেল হাইপোগোনাডিজম বা লো-টি(Low-T) ও বলা হয়। এটা এমন একটা অবস্থা যখন অণ্ডকোষ পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করতে পারে না।

তিনি বলেন, বয়সের সাথে সাথে এই হরমোন কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্রিশ বছর বয়সের পর সাধারণত প্রতিবছর এক শতাংশ হারে এটি কমতে থাকে। তবে যখন এই কমতির হার বয়স ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখনই এটিকে ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়।

মি. প্যান্টালোনের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মধ্যে যদি ২৫০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটারের কম টেস্টোস্টেরন থাকে তাহলে বলতে হবে যে, তার এই হরমোনের ঘাটতি রয়েছে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে।

প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

আমেরিকান ইউরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক পুরুষদের জন্য কমপক্ষে ৩০০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার থাকাটা স্বাভাবিক। এর চেয়ে কম যদি কারো টেস্টোস্টেরন থাকে তাহলে তার চিকিৎসা নেয়া উচিত।

এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে। ছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ কী?

ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে লিবিডোর মাত্রা কমে যাবে এবং এর কারণে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। এটা ব্যক্তি নিজে বা তার সঙ্গী বুঝতে পারবে।

পুরুষের পেশীর শক্তি কমে যাবে। ফলে যে আগের মতো কাজ করতে পারবে না।

খাওয়ার পর কাজ করার আগ্রহ কমে যাওয়া।

অনেকের চামড়া ঝুলে যেতে পারে। তবে এটা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি মারাত্মক হলে দেখা দেয়। কারণ পেশীর ঘনত্ব নির্ভর করে টেস্টোস্টেরনের কার্যক্রমের উপর। কমে গেলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি।

“তার হয়তো কোন কোন সময় আকাঙ্ক্ষা হয়, কিন্তু টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, রাস্তা-ঘাটে যে হয়রানিগুলো হচ্ছে, বাসে, ট্রেনে, যেকোন কিছু হতে পারে।”

তিনি বলেন, যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।

মি. সেলিম বলেন, “বাংলাদেশে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তারা নির্দিষ্ট রোগের কারণে আসে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে কেউ সন্তান নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, কারো কারো যৌন সক্ষমতা নিজেই বুঝতে পেরেছেন বা পার্টনার বুঝতে পেরেছে যে এটা স্বাভাবিক না, কেউ কেউ টগবগে তরুণ হলেও তার নিজেকে সেভাবে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তার দৈহিক আকৃতি ও সক্ষমতার জন্য, দুর্বলতার জন্য আমাদের কাছে আসে।”

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে:

  • যৌন তাড়না কমে যাওয়া
    যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা
    যৌন মিলনে অক্ষমতা
    অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া
    শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া
    বন্ধ্যাত্ব
    এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণ কী?

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই।

তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে। কারণ এই হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে।

পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

মি. সেলিম বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি ডায়াবেটিস রোগী এবং এদের ৯০ শতাংশের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। এদের সবাই পুরুষ না হলেও যারা পুরুষ তাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকে। এদের মধ্যে ইরেকটাল ডিসফাংশনও বেশি।”

আরেকটি কারণ হচ্ছে স্থূলতা। দেহের অতিরিক্ত মেদ সরাসরি টেস্টোস্টেরনের ঘাটতিতে অবদান রাখে।

এছাড়া যাদের বিভিন্ন ধরনের রেডিয়েশনে থাকতে হয় বা চিকিৎসাজনিত কারণে কেমো থেরাপি দিতে হয়, তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে।

কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোন ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এক গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের মধ্যে যারা স্থূলকায় তাদের ৩০ শতাংশের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকে। আর স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬ শতাংশ। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে এমন পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকে ২৫ শতাংশের মধ্যে। স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে এই হার ১৩ শতাংশ।

কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোন চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেসটোসটেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হচ্ছে,

  1. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
    নিয়মিত ব্যায়াম করা
    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
    অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা
    এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে।
  2. দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।
  3. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  4. মামস হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কীটনাশকমুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসা কী?

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর আসলে কোন একক চিকিৎসা নেই। কারণ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়।

তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই নিয়মিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

যৌন সুস্থতা, সর্বাঙ্গীণ সুস্থতায় ১০টি টিপস

 

ফেসবুক পেজ

মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।

এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,

আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

Spread the love

Check Also

সহবাস

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে ভুল ধারণা

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *