রুপচর্চার যেসব উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও আবার তৈলাক্ত। অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলেও ত্বকে কালচে দাগ পড়তে পারে, র্যাশ বেরোতে পারে। বর্তমান সময়ের বায়ু দূষণ ও ধুলোবালির কারণে অনেকেই ত্বক নিয়ে সারা বছর ধরে নানা সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া খাদ্যাভ্যাসের কারণে ত্বকের নানা সমস্যা তো লেগেই থাকে। ত্বকের সমস্যার মোকাবিলা করতে অনেকেই নামীদামি ব্র্যান্ডের ক্রিম, লোশন ব্যবহার করেন, আবার দ্রুত ত্বকের উজ্জতলা ফেরাতে বা কালচে ভাব দূর করতে অনেকেই ভরসা করেন নানা ঘরোয়া পরিচর্যার উপর।
বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করেন প্রায় সবাই ই । কিন্তু অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেগুলো সবার ত্বকের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। যে কোনও বাজার চলতি প্রসাধনী হোক, কিংবা ঘরোয়া প্যাক, মুখে কী মাখছেন, সে বিষয়ে সব সময় বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকুন।
ত্বকের ধরন
সবার ত্বকের ধরন এক রকম নয়। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও আবার তৈলাক্ত। সারা দেহের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর।অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলেও ত্বকে কালচে দাগ পড়তে পারে, র্যাশ বেরোতে পারে, এমনকি ত্বক পুড়েও যেতে পারে।তাই যে কোন উপাদান ত্বকে প্রয়োগ করার আগে সেটা ভালো নাকি খারাপ তা যাচাই করে ব্যবহার করা উচিত। তবে কিছু উপাদান আছে যেগুলো ভালো বদলে উল্টো রিঅ্যাকশন করে ত্বকে।সুতরাং কোন উপাদানগুলি ভুলেও মুখে প্রয়োগ করবেন না, জেনে নেই-
পাতিলেবুর রস
অনেক ফেসপ্যাকেই নানা প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে লেবুর রসও ব্যবহার করা হয়। সেই প্যাক মুখে লাগালে মুখের কালো দাগছোপ দূর হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতেও কাজে লাগে। ফেসপ্যাকে লেবুর রস ব্যবহারে ক্ষতি নেই। তবে, শুধু লেবুর রস মুখে লাগালেই বিপদ। লেবুর রসের প্রকৃতি অত্যন্ত অ্যাসিডধর্মী। মুখে সরাসরি লেবুর রস প্রয়োগ করলে আপনার ত্বক পুড়েও যেতে পারে। তাই ভুলেও এই কাজটি করবেন না।
গরম পানি
কেবল শীতেই নয়, অনেকেই সারা বছর গরম পানিতে গোসল করেন। কিন্তু গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যায়। স্টিম ফেসিয়াল করাতেই পারেন, তবে সরাসরি গরম পানিতে মুখ ধোবেন না কখনই। মেকআপ পরিষ্কার করার সময় গরম পানির সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ করে তারপরেই মুখে প্রয়োগ করুন। এতে ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে।
ওয়াক্স
মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল হয়। হাতে-পায়ের রোম তুলতে ওয়াক্স ব্যবহার করা হলেও মুখে এর ব্যবহার একেবারেই উচিত নয়। মুখের রোম তুলতে থ্রেডিং করাই শ্রেয়।
টুথপেস্ট
পুড়ে গেলে অনেকেই ক্ষতস্থানের জ্বালা কমাতে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। চটজলদি ব্রণ কমাতেও এই উপায় অবলম্বন করেন অনেকেই। ত্বকে টুথপেস্ট লাগালে মেলানিন বেশি তৈরি হয়। ফলে, জায়গাটা কালো হয়ে যেতে পারে। মুখের ক্ষেত্রে তাই টুথপেস্ট একেবারেই প্রয়োগ করা উচিত নয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী
ত্বকের যত্নে অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেও অনেক সময়েই সেগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। যা আমাদের নজরে পড়ে না। অজান্তেই মুখে লাগিয়ে ফেলি সেই প্রোডাক্ট। এতে কিন্তু মুখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। দাগও বসে যেতে পারে। তাই এ সব বিষয়ে সতর্কতা একান্ত জরুরি।
ফেইস শেইপ অনুযায়ী পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।